এক বছর পরে চোখ খুলেছেন সৌদি প্রবাসী শ্রমিক আবদুল জব্বার সরদার (৪৫)। তবে দুই চোখ এখনো খুলতে পারেননি। কেবল বাম চোখ খুলে তাকিয়েছেন। এতেই তার পরিবার উচ্ছ্বসিত। আবদুল জব্বার সড়ক দুর্ঘটনার পরে সৌদি আরবে টানা এক বছর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন।

দেশে এনেও গত ২৬ মে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শনিবার (৩১ মে) তাকে হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে। আইসিইউ থেকে বের করার সময় তিনি এক চোখ মেলে তাকান।

হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, আবদুল জব্বার সরদার একেবারে কঙ্কাল হয়ে গেছেন। ওখানে এক বছর ইউসিইউতে ছিলেন। তার শরীরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি দরকার। মাথায় একটা অস্ত্রোপচার লাগবে। তিনি আশা করছেন, এরপরই জব্বারের জ্ঞান ফিরতে পারে।  

আরো পড়ুন:

জোড়া মাথার দুই কন্যাশিশুর জন্মের আগেই মৃত্যু

শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেওয়ার পরদিন থেকেই অনুপস্থিত চিকিৎসক

তিনি আরো জানান, তার গলার মধ্যে ‘ট্রাকিওটমি টিউব’ ঢোকানো রয়েছে। সেটা সৌদি আরবেই আইসিইউতে ভর্তির পরে ঢোকানো হয়েছে। এই পাইপটা আর কয়েকদিন পরে বের করে নেয়া হবে। তাহলে তিনি কথা বলতে পারবেন। এখন পাইপের কারণেই কথা বলতে পারছেন না।

রাজশাহীর তানোর উপজেলার হিরানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা জব্বার সরদার। তিনি কৃষিশ্রমিক ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। দুর্ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী আদরি খাতুন স্বামীকে দেশে ফেরানোর জন্য পাগালের মতো ছুটে বেড়াচ্ছিলেন। এমনকি ইউএনও অফিসে ঢোকার জন্য তাকে ২২ দিন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তার চোখে একটাই স্বপ্ন ছিল, স্বামী চোখ মেলে তাকাবেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি সৌদি আরবে যান। সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার পর বিমানবন্দর নামলেই তাকে ক্লিনারের কাজে লাগিয়ে দেয়া হয়। পরে তিনি বুঝতে পারেন, দালালেরা তাকে বিমানবন্দরের ক্লিনার হিসেবে বিক্রি করে দিয়েছেন। তিন বছর পর শূন্য হাতে তাকে বিমানবন্দর থেকে বিদায় করে দেয়া হয়।

হঠাৎ দেখা পাওয়া এলাকার এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরে অন্যত্র কাজ পেলেও সুদিনের আর দেখা পাননি জব্বার। এক বছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এই খবর পেয়ে স্বামীকে ফেরাতে সরকারের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে ছোটাছুটি শুরু করেন স্ত্রী। তার চেষ্টায় অচেতন অবস্থায় দেশে ফিরেছেন জব্বার সরদার।

শনিবার (৩১ মে) রাতে রামেক হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাবার মাথার কাছে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন মেয়ে জলি আরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘‘আব্বা আমাকে চিনতে পারচে। আমি কথা বুলছি, তখন একখানি মুখটা হাসির মতোন করল। কথা বুলার চেষ্টা করছে।’’

স্ত্রী আদরি খাতুন জানান, দুর্ঘটনায় পড়লে তাকে ফিরিয়ে আনার মতো টাকাও বাড়িতে ছিল না। ধারদেনা করে সাত লাখ টাকা জোগাড় করে বিদেশে গিয়েছিলেন জব্বার সরদার। সেই ঋণও শোধ হয়নি। তার স্বামী ধারণা করেছিলেন, সৌদি আরবে পুলিশ ধরলে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেবে। তিনি নিজে থেকে পুলিশের কাছে ধরা দেন। কিন্তু পুলিশ তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তাকে আবার ছেড়ে দেয়। এরপর নিরূপায় হয়ে জব্বার সেখানকার একটা নদীর ধারে বসে কাঁদছিলেন। পকেটে তখন ভাত খাওয়ার একটি টাকাও ছিল না।

এ সময় তাকে দেখে অপরিচিত একজন লোক খাবার দিয়ে যান। কয়েক দিন পর লোকটি জানতে চান, কী হয়েছে, বসে কাঁদেন কেন। পরিচয় হয়। লোকটা রাজশাহীর তানোর উপজেলার মন্ডুমালা এলাকার মানুষ। নাম মোয়াজ্জেম। তিনি ভারতীয় একটি মালিকের টাইলস কারখানায় জব্বারকে একটি কাজ জুটিয়ে দেন। সেখানেই কাজ করছিলেন। এই অবস্থায় গত বছর ১০ মে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করায়। এরপর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করে এক বছর পর তিনি স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

আদরি জানান, স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে যা টাকা পয়সা লেগেছে সবই ধার। তিনি আশা করছেন, তারা স্বামী সুস্থ হলে সব ধার শোধ করে দেবেন। আদরি বলেন, বিমানবন্দর থেকে এনে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে সাত ঘণ্টা রাখতেই ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। তখন নিরূপায় হয়ে ২৫ হাজার টাকায় অক্সিজেনসহ গাড়ি ভাড়া দিয়ে গত ২৪ মে রাজশাহী আসেন। প্রথম দিন আইসিইউতে বেড পাওয়া যায়নি। পরদিন ২৫ মে বেড পান। জব্বারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে তার পরিবার।

প্রবাসী কর্মী বা তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রবাসে আহত ও অসুস্থ কর্মীকে দেশে ফেরত আনা এবং হাসপাতালে ভর্তিতে সহায়তা করার কার্যক্রম রয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের। জব্বারের স্ত্রী আদরি এ জন্য গত ১৩ জানুয়ারি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেন। কিন্তু আর্থিক সহায়তা পাননি।

জানতে চাইলে বোর্ডের সহকারী পরিচালক (তথ্য ও জনসংযোগ) মাইন উদ্দিন বলেন, ‘‘জব্বারের পরিবার গত জানুয়ারিতে আবেদন করেন। পরে আমরা তার দেশে ফেরানোর বিষয়ে দূতাবাসে চিঠি দিই। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল দূতাবাসে একটি তাগিদপত্র দিয়েছি। পরে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। এখন তার পরিবার চিকিৎসা সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারে। জব্বার নিবন্ধিত শ্রমিক হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিতে পারব।’’

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র পর ব র আইস ইউত দ র ঘটন এক বছর

এছাড়াও পড়ুন:

সকালের সবচেয়ে বরকতময় সময় ব্যবহারের ৭ কৌশল

সকাল মানুষের জীবনের একটি মূল্যবান সময়, যা দিনের বাকি অংশের জন্য সুর নির্ধারণ করে। সকাল আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার, শরীর ও মনকে প্রস্তুত করার এবং দিনের লক্ষ্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ।

সামাজিক মাধ্যম, কাজের চাপ এবং পারিবারিক দায়িত্ব আমাদের অনেক সময় কেড়ে নেয়, তাই সকালকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে আমরা জীবনকে আরও উৎপাদনশীল করতে পারি।

১. আল্লাহর সঙ্গে দিনের শুরু

ফজরের নামাজের ১৫-২০ মিনিট আগে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং দোয়া করা জীবনকে আমূল বদলে দিতে পারে। এই সময়টি শান্ত ও পবিত্র, যখন আল্লাহর সঙ্গে কোনো বাধা থাকে না।

কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫

নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি রাতে, যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের রব নিকটতম আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন, ‘কে আছে আমাকে ডাকার, আমি সাড়া দেব? কে আছে আমার কাছে চাওয়ার, আমি দান করব? কে আছে ক্ষমা প্রার্থনা করার, আমি ক্ষমা করব?”’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১,১৪৫)।

তাহাজ্জুদের সময় আপনার হৃদয়ের কথা আল্লাহর কাছে প্রকাশ করুন। এতে মানসিক শান্তি বাড়বে এবং দিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। যদি আপনি নতুন হন, সপ্তাহে এক দিন থেকে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে এটি অভ্যাসে পরিণত করুন।

ফজরের আগে অবশিষ্ট সময়ে কোরআন তিলাওয়াত করুন, কারণ কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ভোরে কোরআন পড়া (ফেরেশতাদের) দ্বারা প্রত্যক্ষ করা হয়।’ (সুরা ইসরা. আয়াত: ৭৮)।

আরও পড়ুনইশরাকের নামাজ: সকালের আলোয় আল্লাহর নৈকট্য ০৪ জুলাই ২০২৫২. ফজরের পর ঘুম থেকে দূরে থাকুন

ফজরের নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস, কিন্তু এটি সকালের বরকতময় সময় নষ্ট করে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১)।

এই সময়ে বড় বড় কাজ সহজে সম্পন্ন করা যায়, কারণ এতে আল্লাহর বিশেষ বরকত রয়েছে।

আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য সকালের সময়কে বরকতময় করেছেন। মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ২৬,৪৮১

ফজরের পর ঘুমের প্রলোভন এড়াতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। এই সময়ে পড়াশোনা, কোরআন মুখস্থ করা বা কোনো ব্যক্তিগত প্রকল্পে কাজ করা যায়। এটি দিনের বাকি সময়ে অবসরের জন্য সময় বাঁচায় এবং আগামী দিনে আরও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করে।

বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।

৩. করণীয় তালিকা তৈরি করুন

একটি করণীয় তালিকা তৈরি করা দিনের পরিকল্পনাকে সুসংগঠিত করে। আমরা প্রায়ই মনে মনে কাজের পরিকল্পনা করি, কিন্তু মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা সীমিত। একটি ডায়েরি বা ফোনের নোট অ্যাপে কাজের তালিকা লিখে রাখলে সময় ও শক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়। সম্পন্ন হওয়া কাজগুলো তালিকা থেকে কেটে দেওয়ার একটা আলাদা আনন্দ আছে।

এই তালিকায় দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন কোরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ মুখস্থ করা বা একটি নতুন দক্ষতা শেখার পরিকল্পনা। এটি আপনাকে দিনের শুরুতে ফোকাসড রাখবে এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

আরও পড়ুনযে ৪টি পরীক্ষা নবীজি (সা.)–এর জীবনকে দৃঢ়তা দিয়েছে২২ জুলাই ২০২৫বিশ্বের সফল ব্যক্তিরাও ভোর চারটা বা পাঁচটায় উঠে কাজ শুরু করার কথা বলেন, যা তাদের সাফল্যের একটি রহস্য।৪. সকালে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন

সকালের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে বা ফোনে অযথা স্ক্রল করে নষ্ট করা উচিত নয়। অনেকে সকালে ফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু একটু দেখে নিই’ ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হারিয়ে ফেলেন। এটি মানসিক চাপ বাড়ায় এবং সকালের শান্তি নষ্ট করে।

নিয়ম করুন, সকালের নাশতা বা কিছু কাজ শুরু না করা পর্যন্ত ফোন বা সামাজিক মাধ্যমে যাবেন না। সকালে খবর পড়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারে। যখন ফোন ব্যবহার করবেন, তখন ইতিবাচক ও প্রেরণাদায়ক কনটেন্ট দেখুন, যা আপনার দিনকে উজ্জ্বল করবে।

৫. শরীরচর্চা করুন

শরীরচর্চার উপকারিতা আমরা সবাই জানি। বিশেষ করে এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়ি থেকে কাজ করছেন, শরীরচর্চা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। বাড়িতে কাজ করার ফলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা, পেশির সমস্যা বাড়ছে।

সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।

ইউটিউবে হাজারো ধরনের ব্যায়ামের ভিডিও পাওয়া যায়, যা বাড়িতে সামান্য জায়গায় করা যায়। যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তবে সকালে ৩০ মিনিট হাঁটুন। লক্ষ্য হলো শরীরকে সচল রাখা এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।

আরও পড়ুনসুস্থ জীবন যাপনে মহানবী (সা.)-এর ৯ অভ্যাস২৪ জুলাই ২০২৫সকালে মাত্র ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, যেমন যোগ, পাইলেটস, হাই-ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং বা ব্রিস্ক ওয়াক, আপনার শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এবং মনকে সতেজ করবে।৬. পুষ্টিকর নাশতা গ্রহণ

ব্যস্ততার কারণে অনেকে সকালের নাশতা বাদ দেন, কিন্তু গবেষণা বলছে, পুষ্টিকর নাশতা দিনভর মনোযোগ বাড়ায়, অপ্রয়োজনীয় চিনির লোভ কমায় এবং শক্তি জোগায়। নাশতায় উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন ওটস বা মাল্টিগ্রেইন রুটি, স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অ্যাভোকাডো বা বাদাম, গ্রিক ইয়োগার্ট এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।

সময় কম থাকলে একটি স্মুদি তৈরি করুন—পালংশাক, আপেল এবং হিমায়িত কলা ব্লেন্ড করে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নাশতা তৈরি করা যায়। এটি দিনের শুরুতে সবুজ শাকসবজি গ্রহণের একটি সহজ উপায়।

৭. নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন

বাড়ি থেকে কাজ করার সময় অনেকে ক্যাজুয়াল পোশাকে থাকেন। বরং সকালে সুন্দর পোশাক পরুন, যা আপনার মেজাজ উজ্জ্বল করবে। একটু পছন্দের সুগন্ধি ব্যবহার করলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১

নবীজি (সা) বলেছেন, ‘আল্লাহ সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১)। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা শুধু বাহ্যিক নয়, বরং এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতি ও দিনের জন্য উৎসাহ বাড়ায়।

সকাল আমাদের দিনের ভিত্তি। ইসলাম আমাদের শেখায় যে সকাল আল্লাহর বরকত নিয়ে আসে। তাহাজ্জুদ, ফজরের পর জাগ্রত থাকা, করণীয় তালিকা তৈরি, স্ক্রিন থেকে দূরে থাকা, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর নাশতা এবং নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন—এই সাতটি অভ্যাস আমাদের সকালকে উৎপাদনশীল করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সূত্র: দ্য মুসলিম ভাইব ডট কম

আরও পড়ুনরহমতের দুয়ারে হাজিরা১৫ জুন ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ