ভূমিধসের শঙ্কা, লামায় ৬০ রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
Published: 1st, June 2025 GMT
টানা ভারী বর্ষণে বান্দরবানে ভূমিধসের ঝুঁকি বেড়েছে। এ অবস্থায় জেলার লামা উপজেলার পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ ৬০টি রিসোর্ট সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (১ জুন) লামা উপজেলা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
তিনি বলেন, ‘‘ভূমিধসে প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে মিরিঞ্জা ভ্যালিসহ উপজেলার ৬০টি রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী নির্দেশনায় রিসোর্টগুলো আবারো চালু করা হবে।’’
আরো পড়ুন:
বৃষ্টিতে লামা-সুয়ালক সড়কের ৩ স্থানে ভাঙন, যান চলাচল বন্ধ
হবিগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, বাঁধে ধস
লামা উপজেলা পর্যটন শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে রিসোর্টগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও রিসোর্ট মালিক সমিতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’
বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘গত ২৪ ঘণ্টায় (সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) জেলায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিভারি বৃষ্টিপাতের ফলে জেলায় ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।’’
বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টিতে সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।’’
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘‘দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওদের সমন্বয়ে ‘দুর্যোগকালীন জরুরি সেবা কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।’’
ঢাকা/চাই মং/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প হ ড় ধস ভ ম ধস উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের দিন অমোচনীয় কালি সরবরাহ না হলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে: ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে অমোচনীয় কালি সরবরাহ না করলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতারা। এ ছাড়া এমফিল কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্রদলকে ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
রোববার উপাচার্যের সভাকক্ষে রাজনৈতিক ও সক্রিয় সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫–এর আচরণবিধিবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ছাত্রদলের নেতারা এমন মন্তব্য করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটে, তাহলে আমরা একচুল ছাড় দেব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয়— কোনো ছাড় হবে না। নির্বাচনের সময় অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্বাচন কমিশন অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকবে।’
ভোটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘ম্যানুয়ালি’ ভোট গণনার দাবি জানিয়ে শামসুল আরেফিন বলেন, ‘কত ব্যালট ছাপানো হলো, কত ভোট গণনা হলো, কত ব্যালট নষ্ট হলো—এসব তথ্য স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকাশ করতে হবে। কারণ, আমরা ডাকসুতে ব্যালট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্পর্কে জানি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা না দিয়ে ছাত্রদলকে ‘মাইনাস’ করার একটি মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘জকসু গঠন ও পরিচালনা বিধিমালায় বলা হয়েছে, তফসিল ঘোষণার পর নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার কিংবা প্রার্থী ছাড়া কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। অন্যদিকে এমফিল শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থীর যোগ্যতা না দিয়ে আমাদের মাইনাস করা ছিল মাস্টারপ্ল্যান—আর সেই মাস্টারপ্ল্যান সফল হয়েছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য রেজাউল করিম, প্রক্টর, সিন্ডিকেটের সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন ২০২৫-এর নির্বাচন কমিশনার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।