রংপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলাও নেয়নি পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুর জেলা সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন। তবে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে দাবি করেন তিনি। পরে অভিযোগপত্র দাখিল দেওয়া হয়। এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলটির ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।   

এ বিষয়ে এনসিপি নেতা আলমগীর রহমান নয়ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে ও অতর্কিত হামলা চালায়। পরে ছড়ানো হয় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।’ তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলা করদে গেলে ওসি ওপর মহলে কথা বলে ঘণ্টা দুয়েক গড়িমসি করেন। শেষে এসে বলেন, তারা অভিযোগটি নিয়েছেন। কিন্তু মামলা রেকর্ড হয়নি। 

একইভাবে জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে মহানগর কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমতি ও এনসিপি নেতা নাহিদ হাসান খন্দকারসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। তাতে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারটি দায়ের করেন জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সদস্য সদস্যসচিব আরিফ আলী। সেটিও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। 

এ ব্যাপারে মহানগর কোতোয়ালি থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন মর্মে এনসিপির পক্ষে আলমগীর রহমান নয়ন একটি অভিযোগ দিয়েছেন শনিবার রাতে। আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাতীয় পার্টির পক্ষে আরিফ আলীর দেওয়া এজাহার সম্পর্কেও একই ধরনের কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুরে আসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সন্ধ্যায় তিনি নগরীর সেনপাড়াস্থ বাসভবন ‘স্কাইভিউ’ এ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জি এম কাদেরের রংপুরে অবস্থানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা। রাত ৯টার দিকে ওই বাসভবনে আকস্মিকভাবে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ওই বাসার সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প এম ক দ র র র রহম ন ব সভবন এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চলছে যে বিএনপি সংস্কারের বিরোধী: মির্জা ফখরুল
  • কাঁচাপাট রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেএ চেয়ারম্যানের
  • বাবাকে না পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে যায় শিশু, মুহূর্তে ট্রাকচাপায় নিহত
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার
  • উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে সিলেটবাসীর গণঅবস্থান
  • অসুস্থ যুবদল নেতা শহিদুলকে দেখতে তার বাসভবনে ছুটে গেলেন সজল ও সাহেদ
  • ক্ষুব্ধ-বিরক্ত আঁখি বললেন, ভণ্ডামি থেকে মুক্তি চাই
  • ‘বয়স বাড়ছে, বুঝে ফেলি কে মিথ্যা বলে’—ফেসবুকে আঁখি আলমগীর
  • ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য অ্যান্ড্রুর প্রিন্স উপাধি বাতিল, ছাড়তে হবে রাজকীয় বাড়িও