ফেনীতে টানা চার দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে পানি বেড়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার বিকেলে মুহুরী নদীর পানি ১২ দশমিক ১০ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর বিপৎসীমা ১৩ মিটার। টানা বর্ষণে বেড়িবাঁধের মাটি সরে গিয়ে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর কিছু অংশে বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে। ধসে পড়ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) গ্রামীণ সড়ক। বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন নদীপাড়ের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টানা ভারী বর্ষণে ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়ায় মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ও আনন্দপুর ইউনিয়নের খিলপাড়ায় সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের একাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া, জগৎপুর এবং আনন্দপুর ইউনিয়নের খিলপাড়া, বন্দুয়া দৌলতপুর, হাসানপুরসহ দক্ষিণ আনন্দপুর এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

ফেনীর ফুলগাজী উপজোলার আনন্দপুর ইউনিয়নের খিলপাড়া এলাকায় সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। আজ দুপুরে তোলা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নদ র ব ড় ব

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ