মিউনিখের ফাইনাল নিয়ে ছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা। প্রত্যাশা ছিল হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ের। কিন্তু বাস্তবে দৃশ্যপট হলো একেবারে ভিন্ন। ফাইনালকে একতরফা করে তুলল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। শনিবার রাতে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব ছিনিয়ে নিল ফরাসি ক্লাবটি।

এই জয়ের মাধ্যমে ইতিহাস গড়ল পিএসজি—এক মৌসুমে জিতল তিনটি বড় শিরোপা। এর আগে তারা ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান এবং ফ্রেঞ্চ কাপের ট্রফিও ঘরে তুলেছিল। ইউরোপ সেরা হয়ে সেই সাফল্যে যোগ হলো আরেকটি মুকুট, পূর্ণ হলো ঐতিহাসিক ট্রেবল।


পিএসজি সেই ৯ ক্লাবের একটি, যারা কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ এক মৌসুমে তিনটি শিরোপা বা ট্রেবল জিতেছে।

 

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আগের ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছে এ পর্যন্ত মোট ২৩ ক্লাব। পিএসজি সেই তালিকায় সর্বশেষ ২৪তম সংযোজন।

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ের ২৯ বছরের অপেক্ষা ফুরাল পিএসজির। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে উয়েফা কাপ জিতেছিল তারা।

ফ্রান্সের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে পিএসজি। সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মাঁশেই। ৩২ বছর পর ফ্রান্সের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল পিএসজি। এ ছাড়া পেপ গার্দিওলার পর দ্বিতীয় কোনো কোচ হিসেবে দুইবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড গড়েছেন পিএসজির স্প্যানিশ কোচ লুই এনরিকে। এবং সেই ছয় ভাগ্যবান কোচের তালিকায় নিজেকে নিয়ে গেছেন, যারা কিনা ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবের হয়ে অন্তত দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।

ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ (১৯ বছর ৩৬২ দিন) হিসেবে দেজিরে দুয়ে দুটি গোল করেছেন। এ ছাড়া দুয়ে ফরাসি ফুটবলারদের মধ্যে প্রথম, যিনি কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জোড়া গোল করেছেন। এ ছাড়া দুয়ে ও সেনি মায়ুলু প্রথম দুই কিশোর, যারা কিনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কোনো দলের হয়ে একাধিক গোল করেছেন। এ ছাড়া আশরাফ হাকিমিও প্রথম সেই খেলোয়াড়, যিনি কিনা এই আসরের ফাইনালে তাঁর কোনো সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেছেন।

গত পঁচিশ বছরের মধ্যে ইন্টার মিলানের সবচেয়ে বড় হার (৫-০ গোলে)। এর আগে ২০০১ সালে এসি মিলানের কাছে তারা ৬-০ গোলে হেরেছিল।

মিউনিখে এ পর্যন্ত যে পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনাল হয়েছে, তার সবকটিতেই নতুন চ্যাম্পিয়ন দল উপহার পেয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে চেলসি, ১৯৯৭ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, ১৯৯৩ সালে মাঁর্শেই এবং ১৯৭৯ সালে নটিংহ্যাম ফরেস্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানির এই শহর থেকেই।

ফাইনালে খেলা পিএসজির শুরুর একাদশে যারা খেলেছেন, তাদের মূল্য ৪১৭.

৩ মিলিয়ন ইউরো। সেখানে ইন্টার মিলানের ছিল ১৪৯.২৫ মিলিয়ন। ব্যবধান ৩২২.০৫ মিলিয়ন ইউরো।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউর প য় ন ক প গ ল কর ছ ন র ফ ইন ল প এসজ র

এছাড়াও পড়ুন:

সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে: প্রসূন আজাদ

ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান এই অভিনেতা। তার রহস্যজনক মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেন অভিনেতার স্ত্রী সামিরা হক। সালমান শাহর মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর আদালতের নির্দেশে তার অপমৃত্যুর মামলা, হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সামিরা হককে। 

সালমান শাহর ক্যারিয়ারের বৃহস্পতি যখন তুঙ্গে তখন অনন্তের পথে তার যাত্রা। তার মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারেননি, এমনকি এখনো না। তার মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তদন্ত ও বিচার কাজ সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হলেই এই রহস্যের জাল ভেদ করে সত্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা সালমান শাহর ভক্ত-অনুরাগীদের।

আরো পড়ুন:

আমার বাচ্চার দাদা-দাদিও কী এক্স হয়ে গিয়েছেন, প্রশ্ন পরীমণির

সালমানকে ভাই ছাড়া অন্য চোখে দেখিনি: শাবনূর

এদিকে, ছোট ও বড় পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ তার ফেসবুকে সালমান শাহকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সন্দেহ প্রকাশ করে এই অভিনেত্রী বলেন—“সত‍্যিকার অর্থে সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে।”

প্রসূন আজাদ বলেন, “আমার ধারনা সালমান প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সত‍্যিকার অর্থে তাকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে।” 

কারণ ব্যাখ্যা করে প্রসূন আজাদ বলেন, “স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না। তার মা কিংবা বউ কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কি না সন্দেহ। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়, যারা অভিমানী।” 

১৯৮৫ সালে ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটক দিয়ে অভিনয়ের যাত্রা শুরু করেন সালমান শাহ। এটি বিটিভিতে প্রচার হয়। ১৯৯৩ সালে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে সালমান শাহর। অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে পান মৌসুমীকে। 

চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। এর মধ্যে ১৪টি সিনেমায় শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি। ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথম জুটি বাঁধেন তারা। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমা পরিচালনা করেন জহিরুল হক। 

সালমান শাহ অভিনীত সিনেমাগুলো হলো—‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’ (১৯৯৫), ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬), ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’ (১৯৯৭)।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না আমার সন্দেহ আছে: প্রসূন আজাদ