ঈদুল আজহায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকের ছুটি আগে হওয়ায় যানজট এড়াতে আগেই বাড়ি ফিরছেন।
রবিবার (১ জুন) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাধারণ সময়ের মত যাত্রীরা টিকিট কেটে বাড়ি যাচ্ছেন। অন্যান্যবার ঈদকে কেন্দ্র করে যেমন সাধারণ মানুষের চাপ থাকে সেটা দেখা যায়নি। পরিবহন মালিকরা আশা করছেন, আগামী বুধ থেকে বৃহস্পতিবার তাদের টিকিট বিক্রি বাড়ার সম্ভাবনা আছে।
মেহেরপুরের যাত্রী ফারিয়া তাবাসসুম নিগার রঈশা রাইজিংবিডিকে বলেন, “পরিবারের সবাই মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য বাড়ি যাচ্ছি। পরিবারের ছোট বাচ্চা আছে তাই আগেই যাচ্ছি।এবারের ঈদযাত্রা গত কয়েকবারের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক।”
আরো পড়ুন:
শরিফুল রাজের যে অভ্যাস ফারিণকে অবাক করে দিয়েছে
ঈদে জবি শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন শিবিরের
ঝিনাইদহের যাত্রী কাইয়ুম চৌধুরী রাইজিংবিডিকে বলেন, “আজ গাবতলীতে আগের মতো ভিড় নেই। আর ঈদে বাস মালিকরা যে বাড়তি ভাড়া নিতো এখন পর্যন্ত দেখলাম না। আমার কাছ থেকে আগের ভাড়াই নিয়েছে। গাড়ি সঠিক সময় মতো ছেড়ে যাচ্ছেন।”
খুলনা পাইকগাছার যাত্রী মেহেদি হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমি আগে পাইকগাছায় যেতাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা টিকিটে, আজ এইচআর পরিবহন আমার কাজ থেকে চেয়েছে ৯৫০ টাকা। ঈদ আসলে বাস মালিকরা বেশি ভাড়া নেয়। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ এই বিষয়গুলো নিয়ে তদারকি করা।”
সোহাগ পরিবহনের বুকিং ক্লার্ক আব্দুল জলিল রাইজিংবিডিকে বলেন, “এখন পর্যন্ত ঈদের যাত্রীর চাপ নেই। ঈদের দুই-তিন দিন থাকতে যাত্রীদের চাপ বাড়বে। বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করছি।”
বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত-৭) মো.
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব
পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।