বৃষ্টির মধ্যে কুড়িলে বাসের জন্য অপেক্ষার সময় গাড়িতে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি, পরে উদ্ধার
Published: 1st, June 2025 GMT
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে অপহরণের আড়াই ঘণ্টা পর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাসা থেকে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। অপহৃত মনির নারায়ণগঞ্জে এন জেড টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানার জুনিয়র কর্মকর্তা।
রোববার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯–এ ফোন করে জানান তাঁর সহকর্মী হেমায়েতপুরে একটি কারখানা পরিদর্শনে যাওয়ার পর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। ওই ব্যক্তি তাঁর সহকর্মীকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯৯৯–এ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার ভাটারা থানায় বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা–পুলিশ অপহৃতের অবস্থান শনাক্ত করে কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় মনির হোসেনকে (৩৫) উদ্ধার করে। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রোববার বিকেলে ভুক্তভোগীর সহকর্মী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনির হোসেন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় আশপাশে তেমন লোকজন ছিল না। এ সময় দুজন ব্যক্তি জোর করে মনিরকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাসায় আটকে রাখেন। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। ফোন পেয়ে মনিরের বড় ভাই মাহমুদুল আলম বিষয়টি তাঁকে জানান। পরে তিনি ৯৯৯–এ ফোন করে সহায়তা চান।
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনিরকে উদ্ধার করেছে। তবে অপহরণকারীরা পালিয়ে গেছে। মনির হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ড় ল ব শ বর ড মন র হ স ফ ন কর ৯৯৯ এ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
আড়াইহাজারে সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করনীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বৈইলার কান্দী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্ড কার্যালয়ের সামনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ জোন- ২ ।
উক্ত প্রশিক্ষণে আড়াইহাজার এলাকায় অর্ধশতাধিক নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন এবং সচেতনার মাধ্যমে সেফটি ট্যাংকির দূর্ঘটনার মোকাবেলা করে জীবন রক্ষা করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন।
প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গনি । এই সময় নারায়ণগঞ্জ জোন-২ এবং আড়াইহাজার ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো: রবিউল হাসানসহ অনান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া নির্মাণ শ্রমিক বাছেদ বলেন, নতুন এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে আমরা অনেক কিছু শিখলাম। আমরা চাই এই ধরণের প্রশিক্ষণ সবাইকে দেওয়া হোক।