জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে অপহরণের আড়াই ঘণ্টা পর শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাসা থেকে মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। অপহৃত মনির নারায়ণগঞ্জে এন জেড টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানার জুনিয়র কর্মকর্তা।

রোববার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তারের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯–এ ফোন করে জানান তাঁর সহকর্মী হেমায়েতপুরে একটি কারখানা পরিদর্শনে যাওয়ার পর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। ওই ব্যক্তি তাঁর সহকর্মীকে উদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৯৯৯–এ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার ভাটারা থানায় বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে বলেন। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ভাটারা থানা–পুলিশ অপহৃতের অবস্থান শনাক্ত করে কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় মনির হোসেনকে (৩৫) উদ্ধার করে। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

রোববার বিকেলে ভুক্তভোগীর সহকর্মী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মনির হোসেন কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় আশপাশে তেমন লোকজন ছিল না। এ সময় দুজন ব্যক্তি জোর করে মনিরকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে কুড়িল বিশ্বরোডের একটি বাসায় আটকে রাখেন। এ সময় তাঁকে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তাঁরা। ফোন পেয়ে মনিরের বড় ভাই মাহমুদুল আলম বিষয়টি তাঁকে জানান। পরে তিনি ৯৯৯–এ ফোন করে সহায়তা চান।

রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আড়াই ঘণ্টার মধ্যে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মনিরকে উদ্ধার করেছে। তবে অপহরণকারীরা পালিয়ে গেছে। মনির হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এখন বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ড় ল ব শ বর ড মন র হ স ফ ন কর ৯৯৯ এ

এছাড়াও পড়ুন:

জমির নিবন্ধন ব্যয় কমছে

জমিজমা বিক্রিতে অপ্রদর্শিত অর্থ কমিয়ে আনতে নিবন্ধন ব্যয় কিছুটা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। দুই বছর আগেও জমির নিবন্ধন ব্যয় কিছুটা কমানো হয়েছিল। তখন জমি নিবন্ধনের খরচ তথা করের পরিমাণ মৌজা ভিত্তিতে করা হয়।

গতকাল সোমবার অর্থ উপদেষ্টা আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। এতে জমি বিক্রেতার হাতে অপ্রদর্শিত অর্থ সৃষ্টি কমাতে প্রকৃত বিক্রয়মূল্যে সম্পত্তি নিবন্ধনে উৎসাহ দিতে মূলধনি মুনাফা কর বা উৎসে কর কমানো হয়েছে।

বর্তমানে জমি বা সম্পত্তি হস্তান্তরে উৎসে কর ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৮ শতাংশ, অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ৬ শতাংশ এবং পৌরসভা পর্যায়ে ৪ শতাংশ। সেটি কমিয়ে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৩ সালে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা ও এর বাইরে অবস্থিত জমিকে মৌজা অনুযায়ী ক থেকে ঙ—এই পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করে। তার পর থেকে মৌজার অবস্থান অনুসারে জমির শ্রেণিবিভাগ করে কর নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়মে কর কমে যাওয়ায় জমি কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই লাভবান হন।

এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ক শ্রেণির মধ্যে রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন বাণিজ্যিক এলাকা। আর ক শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন আবাসিক এলাকাগুলোকে রাখা হয়েছে খ শ্রেণিতে। অন্যদিকে ক শ্রেণিতে উল্লেখিত সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণে নেই কিন্তু আবাসন কোম্পানি বা ভূমি উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক এলাকাকে রাখা হয়েছে গ শ্রেণিতে। এসব স্থানের (গ শ্রেণিভুক্ত) আবাসিক এলাকাকে রাখা হয়েছে ঘ শ্রেণিতে। আর ক, খ, গ, ঘ ছাড়া বাকি সব জমিকে ঙ শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে ঢাকার গুলশান, বনানী, মতিঝিল ও তেজগাঁও থানার মৌজার সব শ্রেণির জমির ক্ষেত্রে দলিলে উল্লেখিত জমির মূল্যে ৮ শতাংশ হারে উৎসে কর ধার্য রয়েছে। সেটিকে হ্রাস করে ৬ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে বাজেটে। একইভাবে ধানমন্ডি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, রমনা, পল্টন, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত মৌজার ক্ষেত্রে জমির মূল্যে ৮ শতাংশের পরিবর্তে এখন ৬ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে।

ঢাকা জেলার কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর ও গেন্ডারিয়া মৌজার ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ হবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এসব এলাকার ঙ শ্রেণির মৌজার জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী এই করহার কমে ৪ শতাংশে দাঁড়াবে।

ঢাকা বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী, ভাটারা, শাহজাহানপুর, মিরপুর, দারুসসালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা ও আদাবর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ সদর ও রূপগঞ্জ থানার ক, খ, গ ও ঘ শ্রেণির জমি নিবন্ধনে করহার ভূমির মূল্যের ৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ হবে। অন্যদিকে এসব এলাকার ঙ শ্রেণির জমি নিবন্ধনে জমির মূল্যের ৬ শতাংশের পরিবর্তে ৪ শতাংশ হবে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এসব এলাকা বাদে অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরে জমি নিবন্ধনে জমির দামের ৬ শতাংশের পরিবর্তে এখন ৪ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। এর বাইরে অন্য যেকোনো পৌরসভায় ৪ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ হারে জমি নিবন্ধন কর দিতে হবে গ্রাহকদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশের মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন : সজল
  • ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে ওই নারীকে ‘ধর্ষণ করেন’ ভাড়ার মোটরসাইকেলচালক
  • সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার সাথে একই মঞ্চে জেলা যুবদলের আহবায়ক, ক্ষোভ 
  • এনসিপি’র নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন
  • জমির নিবন্ধন ব্যয় কমছে
  • প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তিসহ ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
  • ঢাকায় অপহরণের শিকার যুবক ময়মনসিংহে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
  • ঢাকায় অপহৃত মোটরসাইকেলচালক যেভাবে ময়মনসিংহে উদ্ধার হলেন
  • টিউশনের কথা বলে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৩