চট্টগ্রামে নারীকে লাথি দেওয়া সেই আকাশ গ্রেপ্তার
Published: 2nd, June 2025 GMT
চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে এক নারী ও যুবককে লাথি দেওয়ায় বহিষ্কৃত জামায়াত কর্মী আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে তাকে নগরের কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আকাশ সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেচার উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালী থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, জামালখানে গণতান্ত্রিক জোটের কর্মসূচিতে হামলার মামলায় আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির প্রতিবাদে গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি ছিল গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের। কর্মসূচি শুরুর কিছুক্ষণ পর সেখানে মিছিল নিয়ে আসে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডা জড়ায়। পরে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র লোকজন। এতে ১২ জন আহত হন।
এদিকে ওই হামলার একটি ভিডিও ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে। ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পর প্রেস ক্লাবের পাশে একটি ভবনের নিচে আশ্রয় নেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মী। সেখানে আকাশ চৌধুরী কৌশলে নেতাকর্মীদের পেছনে যান। এরপর সেখানে দাঁড়িয়ে হঠাৎ এক যুবককে লাথি মারেন তিনি। এরপর ঘুরে এক নারীকে লাথি দেন।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহর সই করা এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে নারীকে লাথি মারার ঘটনায় আকাশ চৌধুরীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ছ ত র ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’