বাংলাদেশের সমর্থকদের সরি বললেন লিটন
Published: 2nd, June 2025 GMT
পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর দর্শক-সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বলেছেন, তাঁর দল সামনে ঘুরে দাঁড়াবে।
গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। একই মাঠে আগের দুই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে হেরেছিল লিটনের দল।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশকে দিয়েছিল ২০২ রানের লক্ষ্য। আর শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকে দিতে পেরেছে ১৯৭ রানের লক্ষ্য। আগের দুই ম্যাচে রান তাড়ায় বাংলাদেশ সফল না হলেও প্রায় কাছাকাছি রান পাকিস্তান তুলে নিয়েছে ১৬ বল হাতে রেখে।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘আমরা আগের দুই ম্যাচেও বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো করিনি। (আজকের) পিচে ব্যাটিং ভালো করেছি। ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের জন্য কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা আমাদের শেখা দরকার এবং ভাবা দরকার।’
সিরিজের তিন ম্যাচের সব কটিতে হেরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি আসলে কিছুই নেই। তবে ইতিবাচক দিক কী আছে—সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে লিটন তুলে ধরেছেন তৃতীয় ম্যাচে পারভেজ হোসেন-তানজিদ হাসানের ১১০ রানের জুটি ও অন্যদের ব্যক্তিপর্যায়ের সাফল্যের কথা, ‘ইমন (পারভেজ) ও তানজিদ সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। আর বেশির ভাগ ছেলেই নিজেদের চেষ্টাটা করে গেছে, ভালো করেছে।’
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সিরিজের সব ম্যাচেই বাংলাদেশ সমর্থন পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন লিটন, ‘দর্শকদের সমর্থন চমৎকার ছিল। তারা দুই দলকেই সমর্থন করেছেন। কোনো ম্যাচই জিততে পারিনি বলে আমি বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে সরি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’
লিটনের দলের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর পরবর্তী অভিযান জুলাই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে শ্রীলঙ্কাতেই দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ দল। যার শুরুটা হবে ১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি