পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর দর্শক-সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। বলেছেন, তাঁর দল সামনে ঘুরে দাঁড়াবে।

গতকাল লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। একই মাঠে আগের দুই ম্যাচে ৩৭ ও ৫৭ রানে হেরেছিল লিটনের দল।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশকে দিয়েছিল ২০২ রানের লক্ষ্য। আর শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকে দিতে পেরেছে ১৯৭ রানের লক্ষ্য। আগের দুই ম্যাচে রান তাড়ায় বাংলাদেশ সফল না হলেও প্রায় কাছাকাছি রান পাকিস্তান তুলে নিয়েছে ১৬ বল হাতে রেখে।

ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘আমরা আগের দুই ম্যাচেও বোলিং ও ফিল্ডিং ভালো করিনি। (আজকের) পিচে ব্যাটিং ভালো করেছি। ভালো উইকেট। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাটসম্যানের জন্য কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা আমাদের শেখা দরকার এবং ভাবা দরকার।’

সিরিজের তিন ম্যাচের সব কটিতে হেরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি আসলে কিছুই নেই। তবে ইতিবাচক দিক কী আছে—সঞ্চালকের এমন প্রশ্নে লিটন তুলে ধরেছেন তৃতীয় ম্যাচে পারভেজ হোসেন-তানজিদ হাসানের ১১০ রানের জুটি ও অন্যদের ব্যক্তিপর্যায়ের সাফল্যের কথা, ‘ইমন (পারভেজ) ও তানজিদ সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। আর বেশির ভাগ ছেলেই নিজেদের চেষ্টাটা করে গেছে, ভালো করেছে।’

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সিরিজের সব ম্যাচেই বাংলাদেশ সমর্থন পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন লিটন, ‘দর্শকদের সমর্থন চমৎকার ছিল। তারা দুই দলকেই সমর্থন করেছেন। কোনো ম্যাচই জিততে পারিনি বলে আমি বাংলাদেশের সমর্থকদের কাছে সরি। আশা করি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

লিটনের দলের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর পরবর্তী অভিযান জুলাই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে শ্রীলঙ্কাতেই দুই টেস্ট ও তিন ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ দল। যার শুরুটা হবে ১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সন্দ্বীপে প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মো. শিপন (৪৫) নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ আনি গোপাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিপন মগধরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফফর তহসিলদার বাড়ির আনসারুল হকের ছেলে।

শিপনের চাচাতো ভাই মো. মিন্টু বলেন, শিপন কয়েক মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় শিবেরহাটে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পাঁচ আনি সড়কে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে শিপনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ততক্ষণে তার রক্তে পুরো রাস্তা ভেসে গেছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য ও সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিপন মগধরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল আলম সমীরের ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলচালক ছিলেন। এ কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে। 

সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অপু চক্রবর্তী বলেন, শিপনকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এ সময় তার ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। বাম হাতও প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। এছাড়া গভীর ক্ষত ছিল মুখে ও মাথায়।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, শিপনের হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ