ইন্টারের জন্য বিমানবন্দরে মাত্র একজন সমর্থক, বললেন, ‘আমিই একমাত্র আহম্মক’
Published: 2nd, June 2025 GMT
১৫ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মিউনিখে গিয়েছিল ইন্টার মিলান। এই ট্রফি জিতে ইউরোপে নিজেদের রাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যও ছিল তাদের। কিন্তু ইন্টারের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। পিএসজির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয় তাদের।
এমন হতাশাজনক হারের পর পিএসজির উৎসবের মাঝেই অনেকটা নীরবে মিউনিখ ছাড়ে ইন্টার। ইন্টারের ফেরা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই মিলানের বিমানবন্দরেও ছিল না কোনো উচ্ছ্বাস। দলের খেলায়াড়েরাও হয়তো চেয়েছিলেন চুপচাপ বিমানবন্দর ছাড়তে।
তবে কেউ না গেলেও দলের এমন কঠিন সময়ে এক ভক্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিমানবন্দরে গিয়ে হাজির হন। মাত্র একজন ভক্তের একাকী দলকে বরণ করতে যাওয়ার খবরটি জানিয়েছে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত’।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পিএসজির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ইন্টার মিলান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেটারদের মনোবিদের কাছে পাঠানোর পরামর্শ নান্নুর
জাতীয় দলের বর্তমান কোচিং স্টাফের মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে গেছে আগেই। এ কারণে আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুটা ভালো হবে। সেখানে প্রথম সিরিজে হোঁচট খায় আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হেরে। শারজাহর তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে হারাটা ছিল ভীষণ লজ্জার।
পাকিস্তানেও সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে দুর্বল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। দলের ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণে ব্যাটারদের ব্যর্থতার দায় দেখছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ক্রিকেটারদের মানসিকতায় ঘাটতির পাশাপাশি পরিকল্পনার ঘাটতি দেখেন।
জাতীয় দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন মনে করেন, মনোবল হারিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেটাররা। ‘পাকিস্তানে ফ্ল্যাট ট্র্যাক, বল স্কিড করে, ঘাস ছিল। সেখানে টেকনিক্যালি ভালো ব্যাটারকে খেলাতে হতো। নাজমুল হোসেন শান্তর ভালো করার সম্ভাবনা ছিল বেশি। এই টিম ম্যানেজমেন্ট কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি। বরং ব্যাটিং-বোলিং কোথাও পরিবর্তন হয়নি। বরং মনমানসিকতায় নিচে নেমে গেছে। এখান থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে একজন ভালো মনোবিদ নিয়োগ দিয়ে ক্রিকেটারদের নিয়ে আলাদা সেশন করতে হবে। খারাপ খেলার কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা ব্যাটিং করতে পারিনি। আরব আমিরাতের সঙ্গেও না, পাকিস্তানেও না। যে উইকেটে খেলা হয়েছে সেখানে ২২৫ থেকে ২৩০ রান হওয়া উচিত ছিল।’ শ্রীলঙ্কা সফরের আগে ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙা করার পরামর্শ দেন জাতীয় দলের সাবেক এ দুই অধিনায়ক।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল রানের জন্য স্বর্গ। প্রথম ম্যাচে ১৬৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৪ রান করেছেন তারা। শেষ ম্যাচে ওপেনিং জুটির কল্যাণে ১৯৬ রান করলেও বোলাররা ডিফেন করায় ব্যর্থ। সুজন বলেন, ‘পাকিস্তানের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলা অনেক কঠিন। ওরা অনেক ভালো দল। হ্যাঁ, আমাদের ব্যাটিং-বোলিং ভালো হয়নি, দল হিসেবে পারফর্ম করতে পারিনি। দুঃখ লেগেছে আমিরাতের সঙ্গে পারফর্ম করতে না পারায়। যেখানে আমাদের ৩-০ ব্যবধানে জেতা উচিত ছিল সেখানে ২-১ ব্যবধানে হেরেছি। পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ আশা করেছিলাম। কালকের (রোববার) ম্যাচে ভালো শুরু করার পরও ২০০ রানে যেতে পারেনি। সত্যি কথা বলতে বোলিংটাও ভালো হয়নি। আমার মনে হয় মুস্তাফিজ আর তাসকিন বড় ম্যাটার করে। তারা না থাকলে বোলিং বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া একজন বাঁহাতি স্পিনারের ঘাটতি আছে।’