জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা
Published: 2nd, June 2025 GMT
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। এ কারণে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে বিটিভিসহ দেশের সব টেলিভিশনে একযোগে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড.
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটিদূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজন কর্মসূচি, স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রভাব বিশ্লেষণ, নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডকে কেন্দ্র করেই দেশের অভিযোজনমুখী কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে যেসব বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে—নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে বায়ু ও পানিদূষণ রোধে প্রকল্প গ্রহণ, উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে টেকসই কৃষি ও পানীয়জলের ব্যবস্থা, নারীদের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং শিশু, নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য জলবায়ু সুরক্ষার নির্দিষ্ট কর্মসূচি।
ঢাকা/এনএফ/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দাম কমছে চিনি-সয়াবিন তেল-পেঁয়াজসহ বেশ কয়েকটি আমদানি পণ্যের
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে চিনি, সয়াবিন তেল, ধান, গম, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এ ঘোষণা দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সংসদ না থাকায় এবারের ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হয়েছে। এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
বাজেট বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঋণপত্রে এক শতাংশ থেকে দশমিক শূন্য ৫ করা হয়েছে উৎসে কর।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে উৎসে কর রাজস্ব আদায়ে কিংবা পণ্যের দামের ক্ষেত্রে বড় কোনো প্রভাব রাখে না। তবুও এক শ্রেণির ব্যবসায়ী এই উৎসে করের অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন বাজেটে উৎসে কর বা সোর্স ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করা হচ্ছে। বর্তমানে ১ শতাংশ উৎসে কর রয়েছে। যা করা হয়েছে .০৫।
এতে করে দাম কমে যাবে- ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটরশুঁটি, ছোলা, মসুর ডাল, আদা, হলুদ, শুকনো মরিচ, ডাল, ভুট্টা, মোটা আটা, আটা, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, কালো গোলমরিচ, দারুচিনি, বাদাম, লবঙ্গ, খেজুর, ক্যাসিয়া পাতা, কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের ফলের। সেক্ষেত্রে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তির হবে।
প্রতিবছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার সংসদ না থাকায় তা ঘোষণা করা হয়েছে বেতার-টেলিভিশনের মাধ্যমে। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থ বছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। এর আগে আজ দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।