৩ টি দল বাদে বাকি সবাই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে : নুরুল হক
Published: 2nd, June 2025 GMT
তিনটি রাজনৈতিক দল বাদ বাকি সব দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, নিক্কেই এশিয়া ফোরামে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য এসেছে, যে একটি মাত্র দল ডিসেম্বর এর আগে নির্বাচন চেয়েছে, যে বক্তব্যটি সঠিক নয়।
আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুরুল হক।
নির্বাচনের বিষয়ে নুরুল হক বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় বলা আছে আগামী ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা। তিনি বলেন, ‘বিএনপিসহ আমরা বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছি। এটাও প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত রোডম্যাপ এর মধ্যে আছে। যেহেতু সংস্কার কমিশন ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তাবনাগুলো চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, এখন চাইলে ডিসেম্বরের আগেও নির্বাচন হতে পারে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে তিনটি রাজনৈতিক দল বাদ বাকি সব দল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে।
ওই তিনটি রাজনৈতিক দলের নাম জানতে চাইলে নুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এটা তিনি বলবেন না। নামগুলো সাংবাদিকদের বুঝে নিতে বলেন তিনি।
সংস্কারের বিষয়ে নুরুল হক বলেন, যে সংস্কারগুলোর বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে, সে সংস্কার গুলো বাস্তবায়ন হোক। সব সংস্কার চাইলে এখন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। কারণ কিছু সংস্কার অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যাবে, কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সংসদ লাগবে। তিনি বলেন, ‘সে জন্য আমরা বলেছি, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যতটুকু সংস্কার করা যায় সেদিকে হাঁটা উত্তম।’
নুরুল হক নুর বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্যকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা আপত্তি তৈরি হয়েছে। ফলে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠনটাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের এই বৈঠকের জন্য গণঅধিকার পরিষদসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই বৈঠকে অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড স ম বর র ন র ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে বরিশালে মামলা
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ ২৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম সাগর শনিবার (৩১ মে) রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
রবিবার (১ জুন) বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
এফডিসিতে রামদা নিয়ে এক ব্যক্তির হামলা, ২৪টি গ্লাস ভাঙচুর
জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫
আরো পড়ুন: জাপা-গণঅধিকার পরিষদের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১৫
মামলায় নাম উল্লেখ করা উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু, সাইদুল ইসলাম ট্যাপা, রুহুল আমিন, রত্মা আমিন, হাফিজ আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মাসুতউদ্দীন চৌধুরি, একেএম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৩০ জন। নাম না জানা আসামি ২৫০ জন।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার (৩১ মে) জাতীয় পার্টির একটি বিক্ষোভ মিছিলে গন্ডগোল হয়। এ ঘটনায় মো. শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম সাগর বলেন, “শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদ হেল্প ডেস্ক খুলেছিল। বিকেলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা নগরীর ফকিরবাড়ী রোডের মুখে চা পান করছিলেন। এ সময় জেলা ও মহানগর কার্যালয় থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়।”
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের বিনয়ের সঙ্গে সরকার বিরোধী স্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যৌথভাবে বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের ওপর হামলা করে।”
গণঅধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, “ হামলায় বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচএম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সালসহ ১৫/২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ