সংকট কাটিয়ে উঠতে বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে: মীর নাসির হোসাইন
Published: 2nd, June 2025 GMT
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সোমবার বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে তিনি এ কথা বলেন।
মীর নাসির হোসেন বলেন, সুতা এবং ম্যানমেড ফাইবারের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া টেক্সটাইল খাতে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ ছিল। সেটি উঠিয়ে দিয়ে নতুন বাজেটে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ওপর। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে করছাড় সুবিধা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে উত্তরণে শুল্ক-কর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এত দিন এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ও বিতরণ উভয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ছিল। তবে নতুন বাজেটে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট কমানোর ফলে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হলে ভালো। কিন্তু এটা যদি ভর্তুকি কমানোর জন্য এ সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসবে না। কারণ সম্প্রতি গ্যাসের দাম ব্যাপক হারে বাড়ানো হয়েছে।
এ ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, জ্বালানি নিশ্চিতে সরকার বেশ কিছু রূপরেখা দিয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে স্থানীয়ভাবে গ্যাস উত্তোলন বাড়ানো। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে আমদানি-নির্ভরতা কমবে। তবে খরচ কমানোর পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিতে আরও কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ জ্বালানি না পাওয়া গেলে শিল্পের চাকা ঘুরবে না, বিনিয়োগও বাড়বে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব জ ট ২০২৫ ২৬ ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে যাত্রীর অপেক্ষায় দূরপাল্লার পরিবহন
ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে, এখনো ঈদযাত্রার তেমন প্রভাব পড়েনি শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার সড়কগুলোতে। উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো যাত্রীর অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (৪ জুন) সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে বাইপাইল ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী সোনালী, হানিফ, এনা ও সীমান্তসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে যাত্রীর দেখা নেই বললেই চলে।
আশুলিয়ার বাইপাইলে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সোনালী পরিবহনের চালক সালাউদ্দিন হক বলেন, “অনেকক্ষণ হলো বসে আছি। এখনো যাত্রী পাইনি। আশা করছি, আজ বিকেলের পর থেকে চাপ বাড়বে। গত ঈদে ধাপে ধাপে কারখানাগুলো ছুটি হয়েছিল, এবার একসঙ্গে ছুটি হলে রাস্তায় পরিবহনের চাপ বাড়বে, যানজটও হতে পারে।”
আরো পড়ুন:
সাভারে ৩ মহাসড়কে চাপ বাড়ছে
ঈদে বাড়ি ফেরা: গাজীপুরের ২ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
সাভারের বিভিন্ন শিল্পকারখানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকেই আশুলিয়া ও সাভারের অধিকাংশ গার্মেন্টসে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বাড়বে। দুই মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে রওনা হবেন। তখন যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি ছালেহ আহমেদ বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। আজ সকাল থেকেও গাড়ির চাপ আছে, তবে কোনো সমস্যা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলছে। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারে।”
এদিকে, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ