পশুর হাট কেন্দ্রীক বিশৃঙ্খলা দেখলে আমাদের জানাবেন : অতি. পুলিশ সুপার
Published: 2nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) মো: হাসিনুজ্জামান বলেছেন, সিদ্ধিরগঞ্জে যে কয়টি হাট বসেছে আজ আমরা সবগুলো হাট পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন করে আইনশৃঙ্খলার অবস্থা এবং লোকাল কমিউনিটির সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানলাম।
আমাদের পক্ষ থেকে যে সব নির্দেশনাগুলো ইজারাদার যারা আছেন তার পাশাপাশি ওনাদের সেচ্ছাসেবক যারা রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছি।
আমাদের যত নাম্বার রয়েছে তাদের জন্য খোলা থাকবে। যে কোন ইস্যুতে, যে কোন আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট যদি তাদের কোন সহযোগিতা দরকার হয় তাহলে তা বাস্তবায়ন করার জন্য ৪টি মোবাইল পেট্রোল টিম রেখেছি, যারা গাড়ীতে করে সব সময় হাটগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখবে।
পাশাপাশি আমাদের রিজার্ভ ফোর্স থাকবে। যারা কোন ধরণের সিচুয়েশন হলে মোবাইল পার্টি মোটরসাইকেল বা গাড়িতে করে মুভমেন্ট করবে এবং যে ধরণের আইনগত সহায়তা দরকার তা প্রয়োগ করবে। আগামী কাল ৩ তারিখ থেকে প্রত্যেকটি হাটে আমাদের ফোর্স থাকবে, অফিসার্স ফোর্স থাকবে।
যে কোন আইনগত বিষয়ে দরকার হলে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং সদরে যারা রয়েছে তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ কোন ধরণের বাজার কেন্দ্রীক বিশৃঙ্খলা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি দেখলে আমাদের জানাবেন।
সোমবার (২ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিআইখোলা বালুর মাঠের অস্থায়ী পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহীনূর আলম বেপারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন, অপরিচিত কারো দেয়া কোন কিছু আপনারা খাবেন না। টাকা পয়সা নিয়ে লেকের পাড়ে ঘুরবেন না, প্রয়োজনে ব্যাংকে জমা অথবা হাটের ইজারাদারের নিকট গচ্ছিত রাখবেন। এছাড়া বিক্রির সময় যাচাই করে টাকা নিবেন। আপনাদের সেবায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। যে কোন মুহুর্তে, যে কোন সময় প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিআইখোলা বালুর মাঠ অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটের পরিচালক ও নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: রওশন আলী চেয়ারম্যান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম জুয়েল, মো: ইউসুফ খান ও মহানগর যুবদলের সদস্য শহিদুল ইসলামসহ প্রমূখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট স দ ধ রগঞ জ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব