ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে। গতকাল সোমবার বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। 
মীর নাসির হোসেন বলেন, সুতা এবং ম্যানমেড ফাইবারের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া টেক্সটাইল খাতে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ ছিল। সেটি উঠিয়ে দিয়ে নতুন বাজেটে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ওপর। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে করছাড় সুবিধা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে উত্তরণে শুল্ক-কর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এত দিন এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ও বিতরণ উভয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ছিল। বাজেটে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ভ্যাট কমানোর ফলে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হলে ভালো। কিন্তু এটা যদি ভর্তুকি কমানোর জন্য এ সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে ব্যবসায়ীদের কোনো উপকারে আসবে না। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ