৭ ঘণ্টা পর উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
Published: 3rd, June 2025 GMT
কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল থেকে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে উখিয়া-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষকরা। সাত ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়ার কোট বাজার ও টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও চালিত স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ করেন। তাদের অভিযোগ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলোতে ১২৫০ জন শিক্ষক কাজ করতেন। সম্প্রতি ওইসব সংস্থা রোহিঙ্গা শিক্ষকদের রেখে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা–সংক্রান্ত সব প্রকল্পের কার্যক্রম বুধবার (৪ জুন) থেকে স্থগিত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গ ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরি পুনর্বহাল না হবে, ততদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ
হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার জবির অধ্যাপকের জামিন
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানে ভূমিকা রেখেছি। এখন আমাদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের শিক্ষক হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও আন্দোলন করেছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।’’
রেজাউল করিম নামে অপর এক শিক্ষক বলেন, ‘‘চাকরি ফিরে পেতে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অর্থ সংকটের অজুহাত দেখাচ্ছেন। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
৭ ঘণ্টা পর উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল থেকে স্থানীয় ১২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে উখিয়া-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষকরা। সাত ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের উখিয়ার কোট বাজার ও টেকনাফের হোয়াইক্যং উনচিপ্রাংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এনজিও চালিত স্কুল থেকে চাকরিচ্যুত স্থানীয় শিক্ষকরা সড়ক অবরোধ করেন। তাদের অভিযোগ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলোতে ১২৫০ জন শিক্ষক কাজ করতেন। সম্প্রতি ওইসব সংস্থা রোহিঙ্গা শিক্ষকদের রেখে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) সঙ্গে কথা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা–সংক্রান্ত সব প্রকল্পের কার্যক্রম বুধবার (৪ জুন) থেকে স্থগিত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গ ক্যাম্পে স্থানীয় শিক্ষকদের চাকরি পুনর্বহাল না হবে, ততদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে ৭ শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ
হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার জবির অধ্যাপকের জামিন
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানে ভূমিকা রেখেছি। এখন আমাদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের শিক্ষক হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও আন্দোলন করেছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি।’’
রেজাউল করিম নামে অপর এক শিক্ষক বলেন, ‘‘চাকরি ফিরে পেতে বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অর্থ সংকটের অজুহাত দেখাচ্ছেন। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ