বন্ধু নাকি শত্রুর সতীর্থ হবেন মডরিচ, ডাকছে ইতালির জায়ান্টও
Published: 3rd, June 2025 GMT
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন লুকা মডরিচ। আগামী সেপ্টেম্বরে ৪০ বছর বয়সে পা রাখবেন তিনি। কিন্তু আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্নে অবসরের ভাবনা এখনো মাথায় আনেননি এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলে নতুন কোন ঠিকানা খুঁজে নিতে হবে মডরিচের। বয়স হলেও আরও এক বছর খেলে যাওয়ার মতো ফিটনেস আছে তার। যে কারণে বেশ কয়েকটি ক্লাবে খেলার সুযোগ আছে সামনে।
এই যেমন বন্ধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর খেলা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে যোগ দিতে পারেন তিনি। যদিও আল নাসরে রোনালদোরই চুক্তি শেষ। তবে ক্লাবটি ওই চুক্তি নবায়ন করতে চায়। মডরিচকে নিতেও আগ্রহী প্রো লিগের ক্লাবটি।
ওদিকে লিওনেল মেসি দীর্ঘদিন মডরিচদের শত্রু শিবির বার্সেলোনায় খেলেছেন। বর্তমানে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। ওই মায়ামি আবার মডরিচের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে। মেজর লিগে যাওয়াও সাবেক হতে যাওয়া রিয়াল মিডফিল্ডারের জন্য একটা অপশন।
তবে মডরিচের জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাব নিয়ে হাজির হতে পারে ইতালির জায়ান্ট এসি মিলান। ফ্রি এজেন্টে ক্রোয়াট মিডফিল্ডারকে দলে নিতে চায় দলটি। ইতালির সংবাদ মাধ্যম লা গেজেত্তে দেল্লে স্পোর্টস দাবি করেছে, এসি মিলানের পরিচালক ইগ্লি তারে কিংবদন্তি মিডফিল্ডার মডরিচকে দলে নিতে আগ্রহী। দলটির নতুন কোচ হতে যাওয়া ম্যাক্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির তাতে সম্মতি আছে।
এর বাইরে মডরিচের সামনে আরও একটি ক্লাবে খেলার সুযোগ আছে। ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিভাগে খেলা দল সোয়ানসি সিটিতে যেতে পারেন তিনি। মডরিচ সোয়ানসি সিটির একজন অংশীদার। নিজের মালিকানাধীন ক্লাবে গিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ক মডর চ ফ টবল দলবদল মডর চ র
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় ঘরমুখো মানুষের ঢল, চাপ বেড়েছে এক্সপ্রেসওয়েতে
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে নাড়ির টানে সড়ক ও রেলপথে পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ঘরমুখো মানুষের যেন ঢল নেমেছে। পদ্মা সেতুর কল্যানে এই পথে এবারের ঈদ যাত্রাও বিড়ম্বনাহীন ও নির্বিঘ্ন। সেতুর মাওয়া অংশের টোল প্লাজায় ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। তবে যানজটের তেমন ভোগান্তি চোখে পড়েনি দক্ষিণবঙ্গের এ প্রবেশপথে।
ঈদের আগে শেষ কার্যদিবস শেষে বুধবার রাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে যা বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি যানবাহন অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। গাড়ির সংখ্যা বেশি হওয়ায় টোল প্লাজায় কিছুটা দেরী হলেও নির্বিঘ্নেই পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে এসব যানবাহন। তবে দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল চোখে পরার মতো। এছাড়াও মহাসড়কে প্রচুর সংখ্যায় মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে সাধারন মানুষকে।
থেকে থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজা থেকে এক কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় দেখা গেছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। সেতুর টোল প্লাজায় মোটরসাইকেলের আধিক্যের কারনে মোটরসাইকেল বুথ ছাড়াও ৭টি বুথে টোল নিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না টোল আদায়ে দায়িত্বরতরা। ভোরের দিকে দীর্ঘ সারি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে কিছুটা কমেছে এসব গাড়ির চাপ। তবে বেড়েছে দুরপাল্লার গণপরিবহনের সংখ্যা।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন, এবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ৭টি বুথে যানবাহনের টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি বাড়িয়েছে সেতুর নিরাপত্তা কর্মীরা। তবে যানবাহনের তীব্র চাপে কখনো কখনো দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টার পর থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল বেড়েছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রচুর। তাই টোল আদায়ের জন্য আলাদা আরও দুটি অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখন সেতু এলাকায় মোট ৩টি বুথের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের টোল আদায় করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, যাত্রী নিরাপত্তার জন্য পদ্মা সেতু এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি টহল টিম রাখা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের আলাদা টহল টিম মোতায়েন রয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে ও ওভারটেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৮টি ইউনিট কাজ করছে। সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে আনসার বাহিনীও।