ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলকে মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
Published: 3rd, June 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিচালক হিসেবে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল এবং আমিনুল ইসলামকে পরিচালক মনোনীত করার সিদ্ধান্ত কেন আইন বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতেও নির্দেশ দেওয়া দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এতে সভাপতি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আদালতে ফারুকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.
আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল ও স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। অর্থাৎ যারা যেভাবে আছেন তারা সেভাবেই দায়িত্বে থাকবেন। এর ফলে বিসিবির বর্তমান পর্ষদের কারও কোনো দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা থাকছে না।
গত ১ জুন আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ। রিটটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিচালক ও বিসিবি সভাপতি পদে আমিনুল ইসলামের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদীকে করা হয়। পরদিন সোমবার ওই রিটটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কার্যতালিকা (আউট অব লিস্ট) থেকে বাদ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই রিট ফের হাইকোর্টের নতুন একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ সভাপতি নির্বাচিত হন।
গত ২৯ মে বিসিবি পরিচালক পদে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে এনএসসি। পরদিন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ র ক আহম দ আম ন ল ইসল ম ব স ব র পর চ ফ র ক আহম দ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি মুলতবি
এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামের নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ ১৭ মে রিটটি করেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জুয়েল আজাদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ও আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আগামী সপ্তাহে রিটটি শুনানির জন্য আসবে।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট১৭ মে ২০২৫রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।