রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই হবে জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ
Published: 3rd, June 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলো যেসব মতামত দিয়েছে তার ভিত্তিতে পরিবর্তিত প্রস্তাব নিয়েই রচিত হবে জাতীয় সনদ।”
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.
আরো পড়ুন:
আমরা ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন
নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই
সব প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না; যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না, সেগুলো জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত হবে না উল্লেখ করে কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, “আমরা কিছু জায়গায় একমত হবো। বাকিটা রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করবে। জনগণ কতটা গ্রহণ করবে সেটা তাদের বিষয়।”
তিনি বলেন, “আমাদের সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কী কাজ করছে, তা জানতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ জনগণ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন।”
জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে রাখতে হবে যে, আমরা যেন ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের সভায় সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের নিম্নকক্ষে সংসদ সদস্যের দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে বিরোধীদলের সদস্য থেকে মনোনয়ন দেওয়া, নিম্নকক্ষের নারী আসন এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।”
এতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট জ ত য় সনদ
এছাড়াও পড়ুন:
লাঙ্গল মার্কার কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বন্দরে যারা লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচন করে বা জাতীয় পার্টির হয়ে কাজ করেছেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।
এইসব লোক খুনি সেলিম ওসমানের দালালি করেছে। তারা মুখে মুখে বিএনপির কথা বলে, অথচ কাজ করে জাতীয় পার্টির জন্য। এদের কোনভাবেই বিএনপির সদস্যপদ দেওয়া যাবে না।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সবসময় গণতন্ত্রের কথা বলেছে কিন্তু এই চেতনাকে ধারণ করে ৭১ থেকে ২৪ পর্যন্ত তারা এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অসম্মানিত করেছে, লন্ডিত করেছে, পদদলিত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে, লুটপাট চুরি ডাকাতি করে। এদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার বিদেশে করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, অন্যায় অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। আর আমরা যেন বিএনপির, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদল সব মিলিয়ে ১১টি অঙ্গ সংগঠন আমরা যেন জনগণের মুখের হাসি কেড়ে না নেই। এবং আমরা যেন জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের যেকোনো সমস্যার সমাধানে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, শহীদ যুবদল নেতা আবুল হোসেন স্বজনের পিতা জাকির হোসেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহমেদ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সম্রাট হাসান সুজন, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল মিয়া, সহ- সভাপতি কবির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন রাজিব,বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানস, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আল আমিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।