গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবারের একজনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে রাখা, আসামিপক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে জবানবন্দি রেকর্ড করা, ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করা, মামলার আগে প্রাথমিক তদন্ত করা, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য কোথাও না রেখে শুধু থানায় রাখাসহ ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের প্রাথমিক খসড়ার বিভিন্ন প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলেছেন, প্রস্তাবিত খসড়ায় অনেক বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। সেগুলো চূড়ান্ত করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স-২০২৫’-এর খসড়া নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইনজীবী, আইনের শিক্ষক, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নিজেদের মত তুলে ধরেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

খসড়া অনুযায়ী বেত্রাঘাতের বিধান বাতিল করার ভাবনাকে স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারা হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখানে যেসব চেঞ্জ (সংশোধন) নিয়ে কথা হচ্ছে, সেগুলো যথাযথভাবে করা গেলে আমি মনে করি, গত ২৫ বছরে যে পরিবর্তনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি, সেটা আমরা পেয়ে যাব।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

আসাদুজ্জামান বলেন, খসড়ায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির ‘মেডিকেল এক্সামিনেশনের’ (স্বাস্থ্য পরীক্ষা) উল্লেখ থাকলেও কারা এটা করতে পারবেন, তার উল্লেখ নেই—এটি থাকলে ভালো হতো। খসড়া প্রস্তাবে প্রাথমিক তদন্তের কথা বলা হয়েছে। সিআরপিসিতে (ফৌজদারি কার্যবিধি) তদন্তের সংজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত কী, সেটা স্পষ্ট নয়। এটা স্পষ্ট করা দরকার।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবীর উপস্থিতি থাকার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুলিশ অ্যাক্ট, প্রিজন্স অ্যাক্ট, প্রিজনার্স অ্যাক্ট এবং জেল কোড ইত্যাদির ভেতর থেকে ঔপনিবেশিকতা বাদ দিতে হবে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় আইনজীবীর উপস্থিতি ও অডি-ভিডিও রেকর্ড করা উচিত। ভারত তাঁদের সিআরপিসিতে ইতিমধ্যে এটা যুক্ত করেছে। যদি কোনো অভিযুক্ত চান তাঁর আইনজীবীর উপস্থিতিতে জবানবন্দি নিতে হবে। একা একা গোপনে ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে নেওয়া যাবে না।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিবার থেকে অন্তত একজনকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু আসামি গ্রেপ্তারের সময় এটা অনুসরণ করা কঠিন হবে। এটা করতে গেলে অনেক সময় আসামির পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সিআরপিসি সংশোধনের খসড়ার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মত দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, পাবলিক প্রসিকিউটর মো. ওমর ফারুক ফারুকী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওনসহ বেশ কয়েকজন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আইন সংস্কারের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শতাধিক বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার প্রস্তাব চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আইনের এমন সংস্কার করতে সরকার কাজ করছে যেন আরেকটি ফ্যাসিবাদ গড়ে ওঠা কঠিন হয়ে ওঠে। তাদের (স্বৈরশাসকদের) জন্য আইন যতটা সম্ভব কঠিন করে যেতে চাই।’

আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেকে বলেন সংস্কার হচ্ছে না। আমরা এমন কাজ করেছি, যা কেউ কখনো করেনি। অনেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসব কাজের প্রশংসা করেছেন। এমনকি সমালোচকেরাও সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধনের প্রশংসা করেছেন।’ উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকের অনুরোধে আমরা পাওয়ার অব অ্যাটর্নির বিধান পরিবর্তন করেছি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করেছি। এ কাজ করতে গিয়ে বাধা এসেছিল। অথচ যাঁরা তখন প্রতিবাদ করেছিলেন, এখন তাঁরা এসে বলেন ভালো হয়েছে।’

বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সুশিক্ষিত মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, এটা আলাদা অপরাধ কেন? এটা প্রতারণার জায়গায় ছিল, যার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। এটাকে আমরা আলাদা করে ফেলেছি। আর ভয়ংকর যে ধর্ষণের ঘটনা, সেটাকে আমরা দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করেছি।’

সংস্কার চলমান থাকবে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় যেসব গঠনমূলক পরামর্শ এসেছে, তা বিবেচনায় নিয়ে আইনটি সংশোধন করা হবে।’ মামলার জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবাই বলেন মামলার জট কমাতে হবে। আমরা সেদিকেই কাজ করছি। লিগ্যাল সার্ভিস অ্যাক্টে বড় পরিবর্তন আনছি। সেখানে একটা বিধান করা হবে, যাতে ছোটখাটো অপরাধ, পারিবারিক বিরোধ বা মীমাংসাযোগ্য মামলা আগে মধ্যস্থতায় যেতে হবে। মধ্যস্থতায় যাওয়ার পর আদালতে আসতে পারবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইনজ ব র উপস থ ত গ র প ত র র সময় র আইনজ ব প রস ত ব ক জ কর উল ল খ তদন ত র আইন

এছাড়াও পড়ুন:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়

ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত হয়েছিল সংবিধানে, তা–ই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে আপিল বিভাগে এ–সংক্রান্ত শুনানিতে বলেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল–পরবর্তী নির্বাচনগুলোর চিত্র দেখিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে—দেশের জনগণ এমন বিতর্কিত কোনো নির্বাচন হোক, তা চায় না।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ রোববার ষষ্ঠ দিনের মতো শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে বিএনপি মহাসচিবের আপিল–সংক্রান্ত শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেলা ১১টা থেকে মাঝে বিরতি দিয়ে ১টা পর্যন্ত শুনানি চলে। পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিন রাখা হয়েছে। এদিন বিরতির পর শুনানি শুরুর আগে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে আসেন বাংলাদেশে সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে এই শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেই একটি আলোচিত বিষয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে যুক্ত করেছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার দুই বছর পর সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে এই ব্যবস্থা বাতিল করে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

ওই রায়ের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন ও আপিল বিভাগের রুলসের ব্যত্যয় ঘটেছে দাবি করে শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ে সইয়ের আগেই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার, সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে সংবিধান সংশোধন (পঞ্চদশ সংশোধনী) করে। পূর্ণাঙ্গ রায় লেখা ও স্বাক্ষরের (বিচারপতিদের রায়ে সই করা) আগে সরকার সংসদ তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যের বলে তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করে, যা দেশবাসীর জানা। দেশের বিবেকবান মানুষ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগে এই সংবিধান সংশোধনকে সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিল। এটি জনগণের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র।’

বিএনপির একসময়ের আইনবিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করেছেন। সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে বহাল রাখার লক্ষ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি (বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক) দেশের প্রচলিত আইন ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রুলস যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সর্বশেষ (পূর্ণাঙ্গ রায়) রায় দেন, যা প্রথমে দেওয়া রায়ের (শর্ট অর্ডার সংক্ষিপ্ত রায়) সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।’

শুনানিতে অবসরের পর রায়ে সই প্রসঙ্গ

অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করলে তার আইনগত মূল্য কী হবে—এ প্রসঙ্গ ওঠে শুনানিতে। বিরতির পর শুনানিতে অংশ নিয়ে এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিবের অপর আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, রায় ঘোষণা ও রায়ে সই করা দুটি ভিন্ন বিষয়। রায় ঘোষণার সময় এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদে আসীন ছিলেন। সংক্ষিপ্ত রায়ে যা ছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

দেওয়ানি কার্যবিধি, আপিল বিভাগের রুলস ও সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘শর্ট অর্ডারের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ রায়ে যে পার্থক্য, তা পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন একজন বিচারপতি। এই বিচারপতিও বলেননি অবসরের পরে বিচারপতি খায়রুল হকের লেখা রায়টি অবৈধ হয়েছে। স্বাক্ষর পরে করেছেন বলে রায় অবৈধ বলা যাবে না। কারণ, অবসরের পর কোনো বিচারপতি রায়ে সই করতে পারবেন না কিংবা কত দিনের মধ্যে সই না করলে সেটি অবৈধ হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই।’

রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘প্রকাশ্য আদালতে কোনো বিচারপতি যখন কোনো রায় দেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে দিলে ছোটখাটো দাড়ি, কমা, শব্দ বাদ পড়েছে—এগুলো ছাড়া যেকোনো পরিবর্তন করতে হলে অবশ্যই সেটি রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) ছাড়া হবে না, যার ওপর শুনানি চলছে।’

এ মামলায় সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি নামের একটি সংগঠন ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়। ওই প্রসঙ্গে সংগঠনটির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক বলেন, ‘অবসরের পর রায়ে সই করলে তা বাতিল বা অকার্যকর হবে না। যেদিন প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা করলেন, সেই তারিখ হচ্ছে মূল। এটি হচ্ছে রায়ের তারিখ। কবে সই করলেন, এটি প্রাসঙ্গিক নয়। আপিল বিভাগের রুলসে বলা আছে, এ ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) বিধান কার্যকর হবে না। আপিল বিভাগের জন্য সিপিসি প্রযোজ্য নয়।’

মামলার পূর্বাপর

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আপিল বিভাগের ২০১১ সালের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন পৃথক আবেদন (রিভিউ) করেন। সেন্টার ফর ল গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি ইন্টারভেনার (পক্ষ) হিসেবে যুক্ত হয়।

রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বিএনপির মহাসচিবের করা রিভিউ আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিলের সঙ্গে অপর রিভিউ আবেদনগুলো শুনানির জন্য যুক্ত হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। এ অনুসারে পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের করা রিভিউসহ অপর রিভিউ আবেদন এবং বিএনপির মহাসচিবের আপিল শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।

পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তির করা আপিলের ওপর ২১ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। এরপর ইন্টারভেনার হিসেবে যুক্ত সংগঠনের পক্ষে শুনানি করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। এরপর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম বদরুদ্দোজা বাদল এবং এ এস এম শাহরিয়ার কবির শুনানি করেন। শাহরিয়ার কবিরের বক্তব্য উপস্থাপনের পর হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (রিভিউ আবেদনকারী) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিবের পক্ষে জয়নুল আবেদীন শুনানি শুরু করেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক বছর পর গত আগস্টে বিচারপতি খায়রুল হক গ্রেপ্তার হন। তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারযুক্ত সংবিধানই জনগণ চায়
  • খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত
  • এখন দেখছি নতুন প্রতারকের জন্ম হয়েছে: কায়সার কামাল
  • ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকের বিরুদ্ধে ৫০ কোটি ডলার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ
  • ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, এখনো কেন গুলি করছেন’