কানাডার টিশ কলম্বিয়াতে শাশ্বত সৌম্য নামে বাংলাদেশি এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় কেলৌনা ক্যাম্পাসের পাশের ওকানাগান লেক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশে তার বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জে বলে জানা গেছে।

সৌম্যর সহকর্মীরা জানান, শাশ্বত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৪.

০ জিপিএ নিয়ে সিএসই-তে প্রথম হিসাবে ২০২১ সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নের পর সৌম্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন কয়েক মাস। তারপর বুয়েটেও কিছু মাস শিক্ষকতা করে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, এমআইটিতে। এমআইটিতে পিএইচডি ডিগ্রি তিন বছরে প্রায় শেষ করার পথে ছিলেন। গত দিনগুলোতে কানাডা-আমেরিকার বেশ কিছু প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ওপর বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। যার মধ্যে ছিল বার্কলি, প্রিন্সটন, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ও। দুদিন আগেই ইউনিভারসিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে তার রিসার্চের বিষয় এআই নিয়ে আলোচনা করেছেন। এনএলপি গ্রুপ থেকে অফারও পেয়েছিলেন এবং তিনি মৃত্যুর আগে তার শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে কানাডায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

কানাডার আরসিএমপি জানিয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম বা কাউকে সন্দেহ করা হচ্ছে না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য

এছাড়াও পড়ুন:

দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।” 

আরো পড়ুন:

কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ 

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”

‍“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”

ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ