সংসদ ছাড়া বাজেট ও জবাবদিহির প্রশ্ন
Published: 4th, June 2025 GMT
বার্ষিক বাজেট গণতন্ত্রের একটি মৌলিক স্তম্ভ। স্বভাবতই এটি একটি রাজনৈতিক দলিল। বাজেট জনগণ থেকে প্রাপ্ত রাজনৈতিক সরকারের ম্যান্ডেট ও অগ্রাধিকার প্রতিফলিত করার কৌশল ও বাস্তবায়নকাঠামোর আর্থিক প্রতিবেদন। জাতীয় সম্পদ কীভাবে বণ্টিত হবে এবং এর দ্বারা কারা উপকৃত হবে, তার একটি নীলনকশা হচ্ছে বাজেট।
এ কারণেই সরকার বাজেট সংসদে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরে। প্রতিটি দফা যাচাই-বাছাই ও কাটছাঁট করে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের মৌলিক অধিকারের আইনি কাঠামো প্রদান করেন।
সংগত কারণেই জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০২৫-২৬ সালের বাজেট প্রণয়নে ভিন্ন পথ বেছে নিতে হয়েছে। সংসদ না থাকায় সংবিধানের ৯৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাজেটসংক্রান্ত আইনকাঠামো নিষ্পন্ন করা হবে। সংসদীয় বিতর্ক এবং ‘অনুদানের দাবির’ ওপর ভোট অনুপস্থিত থাকায় সরকার জনগণের মতামত চেয়েছে।
তবে অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য স্থাপনের মাধ্যমে আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল। তা হাতছাড়া হলো। এটি হলে যুগান্তকারী নজির তৈরি হতে পারত। ৯৩ (৩) বিধান ধারাবাহিকতা রক্ষার সুযোগ দেয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তা ধারণ করতে সরকার জনগণের সঙ্গে ‘অনুপস্থিত সংযোগ’ পূরণে অন্যান্য বিষয়ে যেমন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে, বাজেট বিষয়েও আলোচনা করতে পারত। এতে বিভাজনের বদলে রাজনৈতিক ঐকমত্য মজবুত হতো। বাজেট বিষয়ে বর্তমান সংবিধানের জনগণের সার্বভৌমত্ব ও কর্তৃত্ব স্থাপনবিষয়ক ঘাটতি রয়েছে। এ আলোচনা করতে পারলে সেই ঘাটতি পূরণে সংস্কারের রূপরেখাও অর্জিত হতো।
বাজেট রাজনৈতিক প্রক্রিয়াবাজেটে সংসদীয় নিয়ন্ত্রণের যাত্রা দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। ১২১৫ সালে ‘ম্যাগনাকার্টা’ রাজার কর আরোপের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে সীমিত করেছিল। এটি সম্পূর্ণ প্রতিনিধিত্বমূলক না হলেও এতে ‘রাজ্যের সাধারণ পরামর্শের’ সম্মতির প্রয়োজন ছিল। যুক্তরাজ্যে ১৬৮৮-৮৯ সালের বিপ্লব সুদৃঢ় করেছিল কর ও ব্যয়ের ওপর সংসদের কর্তৃত্বকে। পরবর্তী সময়ে ‘প্রতিনিধিত্ব ছাড়া কর আরোপ নয়’, এই স্লোগান অষ্টাদশ শতাব্দীতে আমেরিকান বিপ্লবকে প্রজ্বলিত করেছিল। অর্থাৎ যতক্ষণ না নাগরিকদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কর ধার্য হয় ও সেই কর ব্যয় করা, ততক্ষণ নাগরিকদের কর দিতে বাধ্য করা উচিত নয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে উদীয়মান বুর্জোয়া ও সামন্ত শাসকশ্রেণির মধ্যে দীর্ঘ সংগ্রামের পর ফ্রান্স আধুনিক বাজেটপদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিল। ফলে জনগণের তথা রাষ্ট্রীয় অর্থের ওপর সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকা গণতান্ত্রিক অগ্রগতির একটি বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে নিশ্চিত হয় যে আইন প্রণয়নকারী পক্ষ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং রাজস্ব সংগ্রহ ও ব্যয়ের বিষয়েও তাদের চূড়ান্ত অধিকার আছে।
বাজেট–ব্যবস্থা ও জবাবদিহির ঘাটতিঅর্থমন্ত্রী প্রতি অর্থবছরের জন্য প্রজাতন্ত্রের আনুমানিক আয় ও ব্যয়ের বিবরণ তথা বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সংসদে পেশ করেন। তা করা হয় সংবিধানের ৮৭ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের পুরো এক মাস আগে বিতর্কের সুযোগ তৈরি করতে এই দলিল সংসদে উপস্থাপিত হয়।
সংসদ সদস্যরা ‘অনুদানের দাবি’ অর্থাৎ মন্ত্রণালয়গুলোর প্রস্তাবিত ব্যয় যাচাই-বাছাই করেন। ৮৯ (২) অনুচ্ছেদমতে, বার্ষিক আর্থিক বিবরণীর ব্যয়সংক্রান্ত বিষয় দাবির আকারে সংসদে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হয়। আর সংসদ অনুমোদন বা অননুমোদন বা উল্লিখিত অর্থের পরিমাণ হ্রাস করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত। এটি নিছক আমলাতান্ত্রিক আচার নয়। এটি জবাবদিহির মৌলিক নীতি। অর্থাৎ সরকার রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক (৭ [১] অনুচ্ছেদ) তথা জনগণের কাছ থেকে তহবিল ‘দাবি’ করছে।
সংসদ সদস্যগণ বরাদ্দ কমাতে ‘কাটছাঁট প্রস্তাব’ আনতে পারেন এবং অনুমোদন, কমানো বা বাতিলও করতে পারেন। ৮৮ অনুচ্ছেদের কিছু অ-ভোটযোগ্য ব্যয়ের তালিকা বাদে প্রতিটি ‘অনুদানের দাবি’ ভোটে উপস্থাপিত হয়। এটি নিশ্চিত করে যে জনগণের প্রতিনিধিরা প্রতিটি ব্যয় সরাসরি অনুমোদন করেন। প্রতিটি দাবি অনুমোদিত হওয়ার পর আইনি কাঠামোয় স্থায়ী রূপ পায়। ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর প্রস্তাব নির্ধারণকারী ‘অর্থ বিল’ নিয়ে বিতর্ক হয়ে পাস হলে নতুন কর আইন কার্যকর হয়। ৯০ (১) অনুচ্ছেদ অনুসরণে ‘সমন্বিত তহবিল’ থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিতে ‘আর্থিক অনুমোদন বিল’ উত্থাপন করে পাস করা হয়।
বাজেট ‘অর্থবিল’ হওয়ায় সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয় না। দলের বাইরে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ না থাকায় দলের বাইরের প্রস্তাব যুক্ত করা কঠিন। সত্যিকারের বিতর্কের অভাব এবং অর্থবহ সংশোধনী প্রস্তাব করার অক্ষমতা সংসদীয় জবাবদিহিকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করে। সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলো প্রায়ই মন্ত্রণালয় দ্বারা বাস্তবায়িত হয় না।
এই পদ্ধতিগত দুর্বলতা আইন প্রণয়নকারী শাখার তদারকি করার ক্ষমতাকে সীমিত করে। অবাস্তব রাজস্ব পূর্বাভাস এবং পরিপূরক বাজেটের ওপর ঘন ঘন নির্ভরতার কারণে বাজেটের সামগ্রিক বিশ্বাসযোগ্যতাও প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পদ্ধতিগত দুর্বলতা, সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশের বাজেট–ব্যবস্থায় প্রকৃত জবাবদিহিকে দুর্বল করে। মৌলিক প্রশ্ন থেকেই যায় যে জাতীয় বাজেট কার জন্য, কেন এবং কীভাবে নির্ধারিত হয়?
অন্তর্বর্তীকালীন শাসনসংক্রান্ত রীতিনীতির অনুপস্থিতিঅন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডিসেম্বর-জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে। একটি সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এবারের বাজেটের অর্থবছরে নির্বাচিত সরকার আসার সম্ভাবনা আছে। বাজেট অনুমোদনের পদ্ধতিতে অবিচ্ছিন্ন সরকারি সেবার প্রয়োজনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বৈধতার নীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পন্থা থাকে। বাংলাদেশের বহাল সংসদীয় গণতন্ত্রে তা নেই।
ওয়েস্টমিনস্টার ঐতিহ্য অনুসরণকারী দেশ, যেমন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি ‘অন্তর্বর্তীকালীন শাসনসংক্রান্ত রীতিনীতি’ মেনে চলে। তাদের অলিখিত কিন্তু দৃঢ়ভাবে অনুসৃত নিয়মগুলো নির্দেশ করে যে নতুন ম্যান্ডেট নেই এবং দায়িত্ব ছেড়ে দেবে, এমন সরকার বড় ধরনের নীতি পরিবর্তন, উল্লেখযোগ্য কর সমন্বয় বা নতুন, বৃহৎ আকারের আর্থিক প্রতিশ্রুতি এড়ানো উচিত।
উদাহরণস্বরূপ, যতক্ষণ না নতুন নির্বাচিত সরকার তার বাজেট উপস্থাপন করে, কানাডা নতুন অর্থবছরের প্রথম কয়েক মাসের সরকারি ব্যয় মেটানোর জন্য ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরবরাহ’ বা ‘হিসাবের ওপর ভোট’ ব্যবহার করে। একইভাবে ভারত ‘অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট’ এবং ‘হিসাবের ওপর ভোট’ (সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের অধীনে) ব্যবহার করে অস্থায়ী আর্থিক পরিকল্পনা করে। জার্মানির সংসদীয় ব্যবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কে আরও সংজ্ঞায়িত আইনি কাঠামো রয়েছে। ব্রাজিলের মতো দেশগুলো ‘অংশগ্রহণমূলক বাজেটিং’ ব্যবস্থায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
জবাবদিহির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়াবাজেট অনুমোদনের জন্য প্রচলিত সাংবিধানিক পদ্ধতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। সংবিধানে উল্লিখিত জনগণের চূড়ান্ত মালিকানা এবং সরকারি তহবিলের ওপর নিয়ন্ত্রণ-বাস্তবায়নে ব্যাপক সংস্কার জরুরি।
সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক জবাবদিহির চেতনাকে যথাসম্ভব সমুন্নত রাখা। আনুষ্ঠানিক সংসদীয় বিতর্ক না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনা করা। জবাবদিহি এবং বাংলাদেশে সংসদীয় তদারকি শক্তিশালী করার জন্য মৌলিক সাংবিধানিক ও পদ্ধতিগত সংস্কারও অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে জুলাই সনদে সংসদীয় কমিটিকে শক্তিশালী করা, স্বচ্ছতা এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য পরিষ্কার নির্দেশিকাসহ বিস্তৃত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
● ড.
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
* মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক অন চ ছ দ অন র জন য প প রস ত ব র জন ত ক সরক র র উপস থ প ন সরক র ব যবস থ জনগণ র কর ছ ল র র জন ব তর ক অন ম দ ন র জন উল ল খ আর থ ক ক ষমত র ওপর র একট
এছাড়াও পড়ুন:
বাজেটে আগের আমলের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে: গণ অধিকার পরিষদ
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান–পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক। এ বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। এতে আগের আমলের ছাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, এনবিআর রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ঠিক করেছে, তা পূরণে নতুন কোনো প্রস্তাব নেই। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন নিয়ে টানাপোড়েন, দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্বের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা আরও বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
গণ অধিকার পরিষদ জানায়, গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার কর্মসংস্থান নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা প্রকাশ করবে বলে সবার ধারণা ছিল। কারণ, চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বৈষম্য দূরীকরণের আন্দোলন থেকেই গণ–অভ্যুত্থান রচিত হয়। কিন্তু বেকারদের জন্য আলাদা কোনো ঘোষণা নেই।
দলটি আরও জানিয়েছে, মানুষের আয় ও ব্যয়ের তারতম্য কমানো বা বেকারত্ব-দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তুষ্ট করতে তাঁদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এতে ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য ও মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সাম্য প্রতিষ্ঠায় সরকারের চিন্তা এই বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।
শিক্ষা ও চিকিৎসা খাত নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চিন্তা আওয়ামী সরকারের চিন্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দলটি। তারা বলেছে, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার এমন নীতি–বিবর্জিত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতা এখনো ‘অপর্যাপ্ত’ উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদ বলেছে, বাজেটে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনা নেই। বিশেষ করে শেয়ারবাজারে একের পর এক লোকসান অনেককে পথে বসিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে কার্যকর পরিকল্পনা দরকার ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন প্রমুখ।