চলতি বছরের শুরুতেই রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। সম্প্রতি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের এক মধুর মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রোজা।

তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে এ তারকা দম্পতিকে তুষারপাতের মাঝে রোমান্টিক সময় কাটাতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা বরফের আবরণে ঢাকা এক মনোরম পরিবেশে তাহসান ও রোজা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ধরা দিয়েছেন।

তুষারকণার মাঝে তারা নিজেদের মতো করে সময় উপভোগ করছেন। যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই বিশেষ মুহূর্তটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে ভিডিওর ক্যাপশন।

তিনি লিখেছেন, ‘যখন ভালোবাসার মানুষটি আমাকে সারাজীবনের জন্য সঙ্গী হতে বলল।’ এই বাক্যটি তাদের ভালোবাসার প্রস্তাবের মুহূর্তটিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন ভক্তরা।

ক্যাপশনটি তাদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা তাদের অনুরাগীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তাহসান-রোজার এই তুষারশুভ্র ভালোবাসা দেখে ভক্তরা তাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছেন।

৪৫ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ট্রোলের মুখে পড়েছেন তাহসান। যদিও বহুদিন ডিভোর্সের পর একাই ছিলেন তিনি।

২০০৬ সালের ৭ অগস্ট ভালোবেসে রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেন তাহসান। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই কন্যা সন্তান আইরার জন্ম দেন মিথিলা। ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন মিথিলা ও তাহসান। তাহসানকে ডিভোর্সের পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন মিথিলা। সেই সময় অনেক আঙুল উঠেছিল মিথিলার দিকেও। তবে সেসব আলোচনায় কখনো বিচলিত হননি এই দম্পতি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জ আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।

‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।

শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ