রোজাকে সারাজীবনের জন্য সঙ্গী হতে বললেন তাহসান
Published: 4th, June 2025 GMT
চলতি বছরের শুরুতেই রোজা আহমেদকে বিয়ে করেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। সম্প্রতি তাদের ব্যক্তিগত জীবনের এক মধুর মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রোজা।
তিনি তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যেখানে এ তারকা দম্পতিকে তুষারপাতের মাঝে রোমান্টিক সময় কাটাতে দেখা যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা বরফের আবরণে ঢাকা এক মনোরম পরিবেশে তাহসান ও রোজা একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ধরা দিয়েছেন।
তুষারকণার মাঝে তারা নিজেদের মতো করে সময় উপভোগ করছেন। যা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই বিশেষ মুহূর্তটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছে ভিডিওর ক্যাপশন।
তিনি লিখেছেন, ‘যখন ভালোবাসার মানুষটি আমাকে সারাজীবনের জন্য সঙ্গী হতে বলল।’ এই বাক্যটি তাদের ভালোবাসার প্রস্তাবের মুহূর্তটিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন ভক্তরা।
ক্যাপশনটি তাদের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা তাদের অনুরাগীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। তাহসান-রোজার এই তুষারশুভ্র ভালোবাসা দেখে ভক্তরা তাদের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছেন।
৪৫ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করায় ট্রোলের মুখে পড়েছেন তাহসান। যদিও বহুদিন ডিভোর্সের পর একাই ছিলেন তিনি।
২০০৬ সালের ৭ অগস্ট ভালোবেসে রাফিয়াত রশিদ মিথিলাকে বিয়ে করেন তাহসান। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই কন্যা সন্তান আইরার জন্ম দেন মিথিলা। ২০১৭ সালে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন মিথিলা ও তাহসান। তাহসানকে ডিভোর্সের পর ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন মিথিলা। সেই সময় অনেক আঙুল উঠেছিল মিথিলার দিকেও। তবে সেসব আলোচনায় কখনো বিচলিত হননি এই দম্পতি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জ আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত
ছোটবেলার কুরবানির ঈদ খুব আনন্দের ছিলো। আমার বেড় ওঠা ঢাকায়। ইকবাল রোডে আমার বাবার বাড়ি। সাড়ে বারো কাঠা জায়গা নিয়ে ছিল আমাদের বাড়িটা। ঘরের সামনে বিরাট উঠান ছিলো। কুরবানির জন্য কেনা গরু ওই উঠানে রাখা হতো। শুধু আমাদের গরু না, মামা, খালাদের কেনা গরুও ওই একই উঠানে রাখা হতো।
ঈদের আগের দিন বাবা, মামারা সবাই একসঙ্গে গরু কিনতে যেতেন। মামারা গরু কিনতে যাওয়ার আগে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মা অনেক রকম খাবার রান্না করতেন। যেমন— খিচুরি, মুরগির মাংস, ডিম ভাজি। সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে গাবতলী হাটে গরু কিনতে যেতেন। বড়দের সঙ্গে আমিও যেতাম। বিকালের আগে গরু কিনে বাসায় ফিরে আসতাম। রাতে আবার সবাই একসঙ্গে খেতো। এবং পরের দিনের গরু কুরবানির প্ল্যানিং হতো। অবশ্য বিকালের পরে নারীরা অর্থাৎ নানী, খালারা সবাই আসতেন গরু দেখতে। বাড়িটা উৎসবমুখর হয়ে উঠতো। সবমিলিয়ে আমাদের বাড়িতে ঈদের আগের দিন আরেকটি ঈদ হয়ে যেত।
সেই সময় সবাই একসঙ্গে ঈদ করা হতো। বাড়ির উঠানেই গরু কুরবানি করা হতো। মাংস ভাগ করে বিলানো হতো। এরপর মামা, খালারা তাদের ভাগের মাংস নিয়ে বিকালে নিজেদের বাড়িতে চলে যেতেন। এই যে ঈদের আগের দিন গরু কেনা থেকে কুরবানি এই সময়টুকুতে আত্মীয় স্বজনেরা সবাই মিলে একটি পরিবার হয়ে উঠতো।
আরো পড়ুন:
চলতি মাসে মুক্তি পাবে আলোচিত পাঁচ সিনেমা
বিয়ে করলেন হিনা খান, ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইটাও চলছে
সবার আলাদা বাসা এবং আলাদা ফ্ল্যাট বাড়ি হওয়ার পর থেকে আর এই সুযোগটুকু রইলো না। সময়ের পরিবর্তনে মানুষজন অনেকে হারিয়ে গেলো, অনেকে বিদেশে চলে গেলো। এভাবে করে ভাঙতে ভাঙতে এখন যার যার ঈদ তার তার।
এখন হয়তো আগের চেয়ে অনেক বড় গরু কুরবানি দেওয়া হয় কিন্তু আগের ঈদের আনন্দটা এখন আর খুঁজে পাই না।
অনুলিখন: স্বরলিপি
ঢাকা/লিপি