ঢাকা-উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ বাড়ায় যমুনা সেতুর উপর দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতুর উপর দিয়ে ঢাকা-উত্তরাঞ্চল অভিমুখে ৩৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। 

মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সেতুর উপর পরপর চারটি যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বেপরোয়া চলাচল করতে বেপরোয়া সেতুর দক্ষিণ লেনে বুধবার সকালে দুটি ট্রাক, একটি আরেকটির পেছনে ধাক্কা দেয়। রাতে দুটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটে।

খবর পেয়ে সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা রেকার নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকগুলি সরিয়ে ফেলতে কালক্ষেপণ করে।

বেলা ১১টায় টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় বলে সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল মুঠোফোনে সমকালকে জানান, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখে সেতু দিয়ে গতরাতে প্রায় ৩৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়ায় চালক যাত্রীদের হুড়োহুড়ি বেড়েছে। হুড়োহুড়ি করে যেতে সেতুর উপর আজ সকাল পর্যন্ত চারটি যানবাহন ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন রেকার দিয়ে সরিয়ে নিরাপদে রাখতেও সময় লাগে। এতে উভয় দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। এ সময় চালক-যাত্রীরা কিছুটা বিড়ম্বনা পড়লেও তা সাময়িক।

এদিকে, যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে কড্ডায় ওভারব্রিজের নিচে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চল ও সিরাজগঞ্জ জেলা সদর, বেলকুচি ও কামারখন্দ অভিমুখে যেতে ঢাকা রংপুর মহাসড়কের কড্ডায় বাস-ট্রাক, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যত্রতত্র চলাচল করায় কিছুক্ষণ পরপরই জটলা বাড়ছে।

বেলা ১১টায় কড্ডা ট্রাফিক ফাঁড়ির ইনচার্জ আসাদ উদ্দিন জানান, বিষয়টি দ্রুত দেখবেন।

অন্যদিকে, ঢাকা-রংপুর, ঢাকা-রাজশাহী ও বগুড়া নগরবাড়ি মহাসড়কের কেন্দ্রবিন্দু সিরাজগঞ্জের হাটিকুলরুল মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলাগামী যানবাহন চালকদের সচেতন করতে দেখা যায়। মাইকে বারবার সতর্ক করার পরও এখানে পশ্চিমে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে ক্ষুদ্র তিন চাকার যানবাহনকে অবৈধভাবে মহাসড়কে যত্রতত্র চলতে দেখা যায়। 

বগুড়া হাইওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো.

শহীদ উল্লাহ জানান, যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড়ে উত্তরাঞ্চল-দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখে সিরাজগঞ্জ-বগুড়া দিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়লেও আপাতত জটলা নেই।

সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল কো-অপারেশন (সাসেক-টু) প্রকল্পের চার রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার লিমিটেডের ছয় নম্বর প্যাকেজের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এখলাছ উদ্দিন দুপুরে সমকালকে বলেন, ঈদের ছুটিতে বুধবার বেলা ১১টায় পাবনায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। যাবার পথে ঢাকা-রংপুর ও নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কে যানবাহল জটলা দেখতে পাওয়া যায়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ঈদয ত র স ত র উপর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ