ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর বিশাল মাধ্যাকর্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন মহাজাগতিক সত্তা। এই সত্তা যেন সবকিছুকে আটকে রাখে। ধসে পড়া বিশাল নক্ষত্র থেকে তৈরি হওয়া ব্ল্যাকহোল আলোও শুষে নেয়। সিঙ্গুলারিটিজ বা এককতা আর ইভেন্ট হরাইজন (দিগন্তসীমা) তৈরি করে। অদৃশ্য হলেও আশপাশের অন্য সব বস্তু বা পদার্থের ওপর প্রভাবের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। বিভিন্ন ব্ল্যাকহোলকে ছায়াপথের কেন্দ্রে দেখা যায়।
ব্ল্যাকহোল অতি রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তু, যা ভীষণ শক্তিশালী, এখান থেকে আলোও বের হতে পারে না। বিশাল নক্ষত্র যখন তাদের নিজস্ব মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অধীনে ভেঙে পড়ে, তখন ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়। ব্ল্যাকহোল একটি ঘন বিন্দু তৈরি করে, যাকে এককতা বলা হয়, যা দিগন্তসীমাবেষ্টিত থাকে। ব্ল্যাকহোলের ধারণা ১৯১৬ সালে চালু হয়েছিল। ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এখনো বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে চলেছেন।
গাইয়া বিএইচ১ বর্তমানে পৃথিবীর নিকটতম ব্ল্যাকহোল। প্রায় ১ হাজার ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে ওফিউকাস নামক নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটি। অন্য সব ব্ল্যাকহোলের বিপরীতে গাইয়া বিএইচ১ একটি বাইনারি সিস্টেমের অংশ, যার একটি সূর্যের মতো নক্ষত্র রয়েছে। এটি সক্রিয়ভাবে উপাদান টেনে নেয় না, যার ফলে এটি শান্ত ও শনাক্ত করা বেশ কঠিন। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গাইয়া উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে আবিষ্কৃত হয়েছে এই ব্ল্যাকহোল। বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষীয় টানের কারণে তার সঙ্গী নক্ষত্রের গতিতে পরিবর্তন শনাক্ত করে গাইয়া বিএইচ১ ব্ল্যাকহোল আবিষ্কার করেন।
অন্যদিকে টিওএন৬১৮ সবচেয়ে বড় পরিচিত ব্ল্যাকহোল। এটি সূর্যের ভরের প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি গুণ বড়। এটি একটি অতিবৃহৎ ব্ল্যাকহোল, যা পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। একটি দূরবর্তী কোয়াসারের মধ্যে অবস্থান করছে। অত্যন্ত শক্তিশালী কোয়াসার থেকে নির্গত তীব্র আলো পর্যবেক্ষণ করে ব্ল্যাকহোলটি শনাক্ত করা হয়েছে।
মিল্কিওয়ের কেন্দ্রীয় ব্ল্যাকহোল স্যাজিটেরিয়াস আ স্টার। এটি একটি অতিবৃহৎ ব্ল্যাকহোল, যা পৃথিবী থেকে প্রায় ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটির ভর সূর্যের প্রায় ৪০ লাখ গুণ বেশি। বিশাল ভর থাকা সত্ত্বেও স্যাজিটেরিয়াস আ স্টার অন্যান্য গ্যালাক্সিতে পাওয়া সক্রিয় ব্ল্যাকহোলের তুলনায় শান্ত।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে লাখ লাখ ব্ল্যাকহোল রয়েছে। এসব ব্ল্যাকহোল সুপারনোভা বিস্ফোরণে তাদের জীবনচক্র শেষ করে দেওয়া বিশাল নক্ষত্রের অবশিষ্টাংশ থেকে তৈরি হয়েছে। যদিও মাত্র কয়েক ডজন ব্ল্যাকহোল সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা গেছে। অনেক ব্ল্যাকহোল সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের চেয়ে বেশ ছোট। তারা নীরবে মহাকাশে ঘুরে বেড়ায়, কখনো কখনো অন্যান্য তারার সঙ্গে বাইনারি সিস্টেমে প্রবেশ করে এমন সব উপাদান টেনে নেয়, যা তাদের উপস্থিতি প্রকাশ করে।
চারপাশের শক্তি ও বিকিরণের কারণে প্রায়ই ব্ল্যাকহোলকে অবিশ্বাস্যরকম উত্তপ্ত বলে মনে করা হয়। যদিও ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রস্থলের তাপমাত্রা পরম শূন্য বা মাইনাস ২৭৩ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। পরম শূন্য হলো সম্ভাব্য সবচেয়ে ঠান্ডা তাপমাত্রা, যেখানে পারমাণবিক গতি প্রায় থেমে যায়। এই শীতলতা দেখা দেয়, কারণ এককতা হলো অসীম ঘনত্ব ও মাধ্যাকর্ষণ বিন্দুর এমন এক পরিস্থিতি, যেখানে পদার্থবিদ্যার সাধারণ নিয়ম দেখা যায়। তীব্র মহাকর্ষীয় টান সবকিছুকে আটকে রাখে; কিন্তু দিগন্তসীমার ভেতর থেকে কোনো তাপ বা আলো বেরিয়ে আসে না। মজার বিষয় হলো, ব্ল্যাকহোলের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় হিমায়িত থাকলেও দিগন্তের ঠিক বাইরের অঞ্চলটি হকিং বিকিরণ নামে একটি ক্ষীণ আভা নির্গত করতে পারে। ব্ল্যাকহোলের সীমানার কাছে কোয়ান্টাম প্রভাবের কারণে এমনটা ঘটে।
ব্ল্যাকহোল তৈরির পদ্ধতি নিয়ে অনেক রহস্য রয়েছে। বৃহৎ নক্ষত্রগুলো যখন তাদের জীবনচক্রের শেষ প্রান্তে পৌঁছায়, তখন ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়। নক্ষত্র তার জীবনকালে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবহার করে। বাহ্যিক চাপ তৈরি করে, যা মহাকর্ষের অভ্যন্তরীণ টানকে ভারসাম্যপূর্ণ করে। যখন নক্ষত্রের জ্বালানি ফুরিয়ে যায়, তখন এই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে তারাটি ভেঙে পড়ে। সূর্যের ভরের ২০ গুণের বেশি বিশাল নক্ষত্রের ক্ষেত্রে এই পতন বেশ তীব্র হয়। তখন তারার কেন্দ্র সিঙ্গুলারিটি নামক একটি একক বিন্দুতে সংকুচিত হয়, যা একটি দিগন্তসীমাদ্বারা বেষ্টিত থাকে। তখন একটি ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়। নক্ষত্রের বাইরের স্তর একটি সুপারনোভাতে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা মহাকাশে বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেয়। নক্ষত্রীয় ব্ল্যাকহোল ছাড়াও সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল রয়েছে, যা লাখ লাখ বছর ধরে তৈরি হয়েছে। ছোট ছোট ব্ল্যাকহোলের মিলন বা ছায়াপথের কেন্দ্রে বিশাল গ্যাস মেঘের পতনের কারণেও ব্ল্যাকহোল তৈরি হয়।
বিভিন্ন ব্ল্যাকহোল অদৃশ্য থাকে। তাদের মাধ্যাকর্ষণ এতটাই শক্তিশালী যে আলোও বের হতে পারে না। যার ফলে ব্ল্যাকহোলকে সম্পূর্ণ কালো দেখায়। একটি ব্ল্যাকহোলের চারপাশে প্রায়ই একটি জ্বলন্ত অ্যাক্রিশন ডিস্ক থাকে, যা গ্যাস, ধুলা ও অন্যান্য পদার্থের একটি ঘূর্ণমান বলয়। এর ফলে সর্পিলভাবে বিভিন্ন বস্তু প্রবেশ করার সময় উজ্জ্বল বিকিরণ নির্গত করে। এই ডিস্ক অবিশ্বাস্যভাবে আলোকিত হতে পারে, যা অনেক সময় সমগ্র ছায়াপথে দেখা যায়। ব্ল্যাকহোলের তীব্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে তাদের চারপাশে আলো বেঁকে যায় ও বিকৃত করতে পারে। এতে মহাকর্ষীয় লেন্সিং নামে একটি ঘটনা তৈরি হয়। আলোর এই বিকৃতি রিংয়ের মতো অদ্ভুত দৃশ্যমান প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। ২০১৯ সালে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ প্রথমবারের মতো একটি ব্ল্যাকহোলের ছায়ার ছবি ধারণ করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ত
এছাড়াও পড়ুন:
শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?
বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।”
একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।”
শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।”
শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।”
শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি।
১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা।
দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী।
১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।
একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা।
অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।
ঢাকা/শান্ত