বিরাটদের পক্ষে বাজি ধরে ১.৩ মিলিয়ন ডলার জিতলেন র্যাপার ড্রেক
Published: 4th, June 2025 GMT
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। প্রথমবারের মতো বেঙ্গালুরু জিতল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। ১৮ বছর একই দলে খেলেছেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। কিন্তু এবারই প্রথম শিরোপা জিতলেন।
মাঠের ২২ গজে বিরাট উড়িয়েছেন শিরোপার পতাকা। অপেক্ষা ফুরিয়েছে তার। মাঠের বাইরেও ঠিক এমনই এক জয় হয়েছে কানাডিয়ান র্যাপার ড্রেকের। যিনি বেঙ্গালুরুর পক্ষে ফাইনালে বাজি ধরেছিলেন।
৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বাজি ধরেছিলেন বিরাট কোহলি, জস হ্যাজেলউডদের জন্য। ভাগ্য তার পাশেই থেকেছে। বেঙ্গালুরু জেতায় বাজিও জিতেছেন ড্রেক। বাজিতে ১.
আরো পড়ুন:
আইপিএল জেতার মঞ্চে বিরাট বললেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে পারফর্ম করলে লোকে হাত মেলাবে’
‘আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে, আইপিএল জেতা অবিশ্বাস্য অনুভূতি’
বেঙ্গালুরুর এবারের স্লোগান ছিল, “Ee sala cup namde”—যার মানে “এইবার কাপ আমাদেরই!” ফাইনালের আগে ড্রেক এই স্লোগান পোস্ট করেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। জানিয়ে দেন, আরসিবির জন্য ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার বাজি ধরেছেন অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম স্টেকে।
ফাইনালের পর রি-পোস্টে জানান, ১.৩ মিলিয়ন ডলার এখন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ২০২৪ সালের আইপিএলে ড্রেক প্রথমবারের মতো ক্রিকেটে বাজি ধরেছিলেন। সেবার কলকাতা সাইট রাইডার্সের হয়ে বাজি ধরেছিলেন। যারা ফাইনাল জিতেছিল। এবার ড্রেকের ভাগ্য খুলল আরসিবি।
বাজি ধরে ড্রেক যে শুধু জেতেন বিষয়টি এমন নয়, ফুটবল থেকে শুরু করে বাস্কেটবল, টেনিস, আমেরিকান ফুটবল, এমনকি UFC—সব জায়গাতেই ড্রেকের বাজি ধরে হারের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলে টানা দ্বিতীয়বার ভাগ্য খুলল তার। নিশ্চয়ই পাখি চোখে পরখ করে পরের আসরগুলোতেও বাজি ধরবেন।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ সম্মাননা পেলেন শাখাওয়াত হোসেন
প্রথমবার আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডসে ‘বেস্ট হসপিটালিটি আইকন’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। নিউইয়র্কের কুইন্সে গত ২৪ মে অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন জর্জিয়ার সিনেটর শেখ রহমান।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে রন্ধনশিল্প ও আতিথেয়তা শিল্পে উৎকর্ষের স্বীকৃতি প্রদানের এ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও উদ্ভাবকরা। খালিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ ইউএসএ এবং আশা গ্রুপ ইউএসএ আয়োজিত আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ডস একটি মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ, যা আতিথেয়তা ও রন্ধনশিল্পে অসাধারণ অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। প্রথমবার ১৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আতিথেয়তা শিল্পে তার অনন্য অদ্বিতীয় নেতৃত্ব, যুগান্তকারী অবদান ও রূপান্তরকারী প্রভাবের স্বীকৃতি এই সম্মাননা। বিশেষ করে, ফুড কস্ট অপ্টিমাইজেশনের ওপর তার উদ্ভাবনী কাজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তার এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের মুহূর্ত, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের আতিথেয়তা শিল্পের ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে তুলে ধরে।
মো. শাখাওয়াত হোসেন এরই মধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সম্মাননা হলো- যুক্তাজ্যের এশিয়ান ক্যাটারিং ফেডারেশন প্রদত্ত এশিয়ান কারি অ্যাওয়ার্ড ২০২১, সাউথ এশিয়ান ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ‘ট্যুরিজম ফেস অব সাউথ এশিয়া’ খেতাব, নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হোটেল ইন্ডাস্ট্রি আর্কিটেকচার, ইন্টেরিয়র অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সম্মেলনে ‘বাংলাদেশের সেরা হোটেলিয়ার’ পুরস্কার। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শেফস ক্যুলিনারি কাপ কোরিয়া ২০২৪ ও ২০২৫-এর বিচারক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন একমাত্র বাংলাদেশি হোটেলিয়ার, যিনি এই শিল্পের একজন অভিজ্ঞ পেশাজীবী, শিক্ষক ও গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি করছেন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসেবে পড়ান। তার প্রভাব শুধু করপোরেট ও একাডেমিক ক্ষেত্রেই নয়, তিনি শেফস ফেডারেশন অব বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম নেটওয়ার্ক ঢাকা চ্যাপ্টারের পরিচালক এবং ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক পদসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।