একটি ‘বড়’ পদের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টাকে কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব
Published: 4th, June 2025 GMT
একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নিজের ঢোল পেটাচ্ছি না। আমি প্রত্যাশা করি, আমার যাঁরা সহকর্মী আছেন, তাঁরা যেন এই নৈতিক অবস্থানটা নেন।’
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, ‘এখানে একটা উদাহরণ বলি। কোনো একটা কেসের ক্ষেত্রে আমার কাছে তদবির এসেছিল যে একজনকে একটা বড় পোস্টিং দেওয়ার জন্য। তাঁর জন্য প্রথিতযশা একজন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল (বুদ্ধিজীবী) তিনিও আমাকে (তদবির) করেছিলেন। যেহেতু সেই নিয়োগ যুক্তিযুক্ত হবে না, মানে যিনি পদ চাচ্ছিলেন সেই পদে তাঁকে দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, তাঁর ট্র্যাক রেকর্ড ভালো নয়। আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করি। তখন তিনি অন্য পথে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছিলেন যে তাঁরা এত টাকা.
দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁদের নেই।
আরও পড়ুন২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম, প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে৫২ মিনিট আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ত ব উপদ ষ ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীর ৩৫ গ্রামে ঈদ উদযাপন
পটুয়াখালীর বদরপুর দরবার শরীফ এলাকাসহ ৩৫ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আজ শুক্রবার (৬ জুন) এসব গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার আগাম ঈদ উৎসব করছেন।
এসব গ্রামগুলোর মধ্যে পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ এলাকা ও ছোটবিঘাইসহ ৪টি, গলাচিপা উপজেলার সেনের হাওলা, গ্রামর্দন, নিজ হাওলাসহ ৫টি। বাউফল উপজেলার মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বি-পাশা, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠি, বানাজোড়া ও আমিরাবাদসহ ১৩টি। কলাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ দেবপুর, নাইয়াপট্টি, নিশানবাড়িয়া, মরিচবুনিয়া, শাফাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলীসহ ১০টি গ্রাম এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার কাছিয়াবুনিয়া, নিজ হাওলা, আমলিবাড়িয়াসহ ৪ গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
এসব গ্রামের মধ্যে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরীফের মেজো হুজুর শাহ সাইয়্যেদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী। এ ঈদের নামাজে শতাধিক মুসুল্লী অংশগ্রহণ করে।
বরদরপুর দরবার শরীফের মেজো হুজুর শাহ সাইয়্যেদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী জানান, সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৯২৮ সাল থেকে এই ৯৮ বছর যাবত এসব গ্রামে আগাম রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। এসব মুসুল্লীরা বদরপুর দরবার শরীফ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারী।