রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় বহুতল ভবন থেকে পড়ে আবদুল বাকী (৬৮) নামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

এদিকে মঙ্গলবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বাসায় হিমেল দেবনাথ (৩০) নামে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক সমকালকে বলেন, তেজগাঁও কলেজের রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুল বাকী পূর্ব রাজাবাজারের ৩৬ নম্বর বাসার দশম তলায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন। সকাল ৮টার দিকে তিনি ভবনটির ছাদে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। একপর্যায়ে নিচে পড়ে যান। এটি দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু, তা ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্মৃতিশক্তি লোপের সমস্যায় ভুগছিলেন বাকী। এজন্য চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। অসুস্থতাজনিত হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী তাকে ছাদ থেকে লাফ দিতে দেখেছেন। রাজাবাজারের বাসায় তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছেলে থাকেন। বড় ছেলে সিলেটে চাকরি করেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের শান্তিনিকেতন এলাকার বাসায় মঙ্গলবার রাতে শিক্ষার্থী হিমেল দেবনাথকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত ১টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ খবর পায়, হিমেল অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাঁর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। তবে তিনি অতীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। হিমেলের বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায়। 

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল শ উদ ধ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রাম থেকে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার রাত ২ টায় তার নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম হায়দার নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন ফরহাদ হোসেনসহ আরও দুইজন।

নগরকান্দা থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সোমবার বিকালে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. রাজু মোল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
 
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন মালামালের ভাগ ও কাবিখা-কাবিটার টাকা দাবি করতেন মেজর হায়দার। রাজু মোল্লা আরও জানান, ২৯ মে গণকবরের পাশে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন মেজর হায়দার, পরে তার দোকানে মোটরসাইকেলে এসে লোকজন আবারও হুমকি দেয়।

গ্রেপ্তারের সময় ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়ান, যা পরে পুলিশ মাইকিং করে মিথ্যা প্রমাণ করে।

এছাড়া, সম্প্রতি এক নারী নেত্রীর বোনকে ইভটিজিং নিয়ে উত্তেজনার সময় মেজর হায়দার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, মেজর হায়দার SS07 নামের একটি বাহিনী গঠন করে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতেন এবং এনসিপির নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন। এমনকি এনসিপির ব্যানারে একাধিক জনসংযোগ কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেন।

তবে এনসিপির ফরিদপুর জেলা সংগঠক মো. বায়োজিদ হোসেন জানান, “তিনি আমাদের দলের কেউ নন, শুধু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।” একইভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও তাকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন এবং তাকে “বাটপার প্রকৃতির” বলে অভিহিত করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পূর্ব রাজাবাজার থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
  • ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গ্রেপ্তার