জামাল ভূঁইয়া কর্নার নিতে এগিয়ে গেলেন—ডান পায়ের ভেতরটা দিয়ে বাঁকানো এক বল উঠল ভুটানের গোলমুখে। লাল জার্সির কয়েকজন ফুটবলার তখন বলের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এ যেন গোলের মরিয়া চেষ্টা!

এমন সময় ভীড়ের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন হামজা চৌধুরী! ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া, লেস্টার সিটির হয়ে ৯১ ম্যাচে একমাত্র গোলের সেই স্মৃতি পেছনে ফেলে আজ যেন এক নতুন পরিচয়ে হাজির তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ, আর তাতেই ইতিহাস লিখলেন হামজা! নিখুঁত এক হেড—বল ছুঁল জালের ভিতর। মুহূর্তেই গর্জে উঠল ঢাকা স্টেডিয়াম!

ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৬ মিনিট। গোল হজম করে হতবাক ভুটান, আর গ্যালারিতে তখন উত্তেজনার বিস্ফোরণ। যেন একটি গোলেই ফিরে এলো বাংলাদেশের ফুটবলের বহু প্রতীক্ষিত আত্মবিশ্বাস। সেই পুরোনো দিনের ধ্বনি, 'বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ'।

মাঝে ভুটান কয়েকবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দিতে। কিন্তু তেমন আঁচড় কাটতে পারেনি। বরং অভিষিক্ত ফাহামিদুল ৩২ মিনিটে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। তাঁর শট ফেরান ভুটানের গোলকিপার। বাঁ দিকে উইং ধরে তাঁর দৌড়, ক্রস বিপদের গন্ধ ছড়িয়েছে ভুটানের রক্ষণে। জামালও ছিলেন আক্রমণে সক্রিয়। তবে বাইরে মেরে সুযোগ হারিয়েছেন। ৩৮ মিনিটে আকার সেই জামাল। বক্সের ভেতর থেকে জামালের শট গোলকিপার আটকেছেন।

ভারত ম্যাচে অনেক সময় বাংলাদেশ লো ব্লক করেছে, কিন্তু ভুটান তো আর ভারত নয়। ফলে বাংলাদেশের রক্ষণ অনেক সময়ই ওপরে উঠে খেলেছে। হামজা বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন ভুটানের সীমানায়। রক্ষণ কাজে তাঁর খুব একটা দরকারও হয়নি।

মাঠে যখন বাংলাদেশ খেলছে, মাঠের বাইরে তখন চরম বিশৃঙ্খলা। হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে ভেতরে যাওয়ার যে ফটক, সেটি ভেঙে ফেলেন দর্শকেরা। টিকিট নিয়েও অনেক ঢুকতে পারছিলেন না। যে কারণে ধৈয্য হারিয়ে ফটক ভেঙ্গে অনেক দর্শক ভেতরে ঢোকেন। সব মিলিয়ে মাঠের খেলায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাাচ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পাস নম্বর পাবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হামজার গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ, মাঠের বাইরে চরম অব্যস্থাপনা

জামাল ভূঁইয়া কর্নার নিতে এগিয়ে গেলেন—ডান পায়ের ভেতরটা দিয়ে বাঁকানো এক বল উঠল ভুটানের গোলমুখে। লাল জার্সির কয়েকজন ফুটবলার তখন বলের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এ যেন গোলের মরিয়া চেষ্টা!

এমন সময় ভীড়ের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন হামজা চৌধুরী! ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া, লেস্টার সিটির হয়ে ৯১ ম্যাচে একমাত্র গোলের সেই স্মৃতি পেছনে ফেলে আজ যেন এক নতুন পরিচয়ে হাজির তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ, আর তাতেই ইতিহাস লিখলেন হামজা! নিখুঁত এক হেড—বল ছুঁল জালের ভিতর। মুহূর্তেই গর্জে উঠল ঢাকা স্টেডিয়াম!

ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৬ মিনিট। গোল হজম করে হতবাক ভুটান, আর গ্যালারিতে তখন উত্তেজনার বিস্ফোরণ। যেন একটি গোলেই ফিরে এলো বাংলাদেশের ফুটবলের বহু প্রতীক্ষিত আত্মবিশ্বাস। সেই পুরোনো দিনের ধ্বনি, 'বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ'।

মাঝে ভুটান কয়েকবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দিতে। কিন্তু তেমন আঁচড় কাটতে পারেনি। বরং অভিষিক্ত ফাহামিদুল ৩২ মিনিটে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। তাঁর শট ফেরান ভুটানের গোলকিপার। বাঁ দিকে উইং ধরে তাঁর দৌড়, ক্রস বিপদের গন্ধ ছড়িয়েছে ভুটানের রক্ষণে। জামালও ছিলেন আক্রমণে সক্রিয়। তবে বাইরে মেরে সুযোগ হারিয়েছেন। ৩৮ মিনিটে আকার সেই জামাল। বক্সের ভেতর থেকে জামালের শট গোলকিপার আটকেছেন।

ভারত ম্যাচে অনেক সময় বাংলাদেশ লো ব্লক করেছে, কিন্তু ভুটান তো আর ভারত নয়। ফলে বাংলাদেশের রক্ষণ অনেক সময়ই ওপরে উঠে খেলেছে। হামজা বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন ভুটানের সীমানায়। রক্ষণ কাজে তাঁর খুব একটা দরকারও হয়নি।

মাঠে যখন বাংলাদেশ খেলছে, মাঠের বাইরে তখন চরম বিশৃঙ্খলা। হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে ভেতরে যাওয়ার যে ফটক, সেটি ভেঙে ফেলেন দর্শকেরা। টিকিট নিয়েও অনেক ঢুকতে পারছিলেন না। যে কারণে ধৈয্য হারিয়ে ফটক ভেঙ্গে অনেক দর্শক ভেতরে ঢোকেন। সব মিলিয়ে মাঠের খেলায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাাচ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পাস নম্বর পাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ