হামজার গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ, মাঠের বাইরে চরম অব্যস্থাপনা
Published: 4th, June 2025 GMT
জামাল ভূঁইয়া কর্নার নিতে এগিয়ে গেলেন—ডান পায়ের ভেতরটা দিয়ে বাঁকানো এক বল উঠল ভুটানের গোলমুখে। লাল জার্সির কয়েকজন ফুটবলার তখন বলের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এ যেন গোলের মরিয়া চেষ্টা!
এমন সময় ভীড়ের মধ্যে লাফিয়ে উঠে হেড করলেন হামজা চৌধুরী! ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া, লেস্টার সিটির হয়ে ৯১ ম্যাচে একমাত্র গোলের সেই স্মৃতি পেছনে ফেলে আজ যেন এক নতুন পরিচয়ে হাজির তিনি। বাংলাদেশের জার্সিতে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ, আর তাতেই ইতিহাস লিখলেন হামজা! নিখুঁত এক হেড—বল ছুঁল জালের ভিতর। মুহূর্তেই গর্জে উঠল ঢাকা স্টেডিয়াম!
ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৬ মিনিট। গোল হজম করে হতবাক ভুটান, আর গ্যালারিতে তখন উত্তেজনার বিস্ফোরণ। যেন একটি গোলেই ফিরে এলো বাংলাদেশের ফুটবলের বহু প্রতীক্ষিত আত্মবিশ্বাস। সেই পুরোনো দিনের ধ্বনি, 'বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ'।
মাঝে ভুটান কয়েকবার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দিতে। কিন্তু তেমন আঁচড় কাটতে পারেনি। বরং অভিষিক্ত ফাহামিদুল ৩২ মিনিটে প্রায় গোল করেই ফেলেছিলেন। তাঁর শট ফেরান ভুটানের গোলকিপার। বাঁ দিকে উইং ধরে তাঁর দৌড়, ক্রস বিপদের গন্ধ ছড়িয়েছে ভুটানের রক্ষণে। জামালও ছিলেন আক্রমণে সক্রিয়। তবে বাইরে মেরে সুযোগ হারিয়েছেন। ৩৮ মিনিটে আকার সেই জামাল। বক্সের ভেতর থেকে জামালের শট গোলকিপার আটকেছেন।
ভারত ম্যাচে অনেক সময় বাংলাদেশ লো ব্লক করেছে, কিন্তু ভুটান তো আর ভারত নয়। ফলে বাংলাদেশের রক্ষণ অনেক সময়ই ওপরে উঠে খেলেছে। হামজা বেশির ভাগ সময়ই ছিলেন ভুটানের সীমানায়। রক্ষণ কাজে তাঁর খুব একটা দরকারও হয়নি।
মাঠে যখন বাংলাদেশ খেলছে, মাঠের বাইরে তখন চরম বিশৃঙ্খলা। হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে ভেতরে যাওয়ার যে ফটক, সেটি ভেঙে ফেলেন দর্শকেরা। টিকিট নিয়েও অনেক ঢুকতে পারছিলেন না। যে কারণে ধৈয্য হারিয়ে ফটক ভেঙ্গে অনেক দর্শক ভেতরে ঢোকেন। সব মিলিয়ে মাঠের খেলায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ম্যাাচ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ পাস নম্বর পাবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫