বন্দরে ট্রাকের ধাক্কায় ৩ সন্তানের জনক সোহেল নিহত, গ্রেপ্তার ১
Published: 4th, June 2025 GMT
বন্দরে হেলপার দিয়ে ট্রাক চালানোর সময় বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় ৩ সন্তানের জনক সোহেল (৩৫) নিহত হয়েছে। নিহত সোহেল বন্দর থানার পশ্চিম হাজীপুর এলাকার আউয়াল মুন্সী ছেলে। গত মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত পৌনে ১২টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের হাজীপুর বাসস্ট্যান্ডে এ র্দূঘটনাটি ঘটে।
দূর্ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে র্দূঘটনা কবলিত ট্রাকটি জব্দ করে। সে সাথে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ঘাতক হেলপারকে আটক করতে সক্ষম হয় ।
আটককৃত হেলপার সাদ্দাম (২৮) নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে। পলাতক ট্রাক চালক সাহাদাত হোসেন (৪৫) একই জেলার একই থানার আটাই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা আউয়াল মুন্সী বাদী হয়ে ঘটনার ওই রাতে আটককৃত ঘাতক হেলপার ও পলাতক চালককে আসামী করে বন্দর থানায় সড়ক র্দূঘটনা আইনে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘাতক হেলপার সাদ্দামকে বুধবার (৪ জুন) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, মামলার বাদী ছেলে সোহেল গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় বন্দর রেললাইন হইতে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরার সময় হাজীপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে পৌছলে ওই সময় একটি বড় ট্রাক যাহার রেজিষ্টেশন নং- ঢাকা মেট্রো-৮-৮৪-০৩৯৩ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাইয়া স্ব-জোরে পথচারি সোহেলকে পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারিলে ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে তাহার মাথা ও মুখমন্ডল মারাত্মকভাবে জখম প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক হেলপারকে আটক করে উক্ত মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ