Samakal:
2025-06-06@07:03:13 GMT

কতদিন পর এমন উন্মাদনা

Published: 4th, June 2025 GMT

কতদিন পর এমন উন্মাদনা

দিনের হিসেবে ১ হাজার ৬৫৯, মাসের হিসেবে ৫৫। বছরের হিসেবে সাড়ে চার। দীর্ঘ  প্রতিক্ষার অবসান। কতদিন পর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল উন্মাদনা। দর্শকদের লম্বা লাইন, নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ব্যস্ততা; সবকিছু মিলিয়ে বুধবার বাংলাদেশ-ভুটান ফুটবল ম্যাচ ঘিরে আবেগ আর উচ্ছ্বাস দেখা মিলেছে ফুটবলের হোমগ্রাউন্ড খ্যাত জাতীয় স্টেডিয়ামে।

২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচই ছিল জাতীয় স্টেডিয়ামে সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সংস্কার কাজের জন্য এরপর কেটে যায় চার বছরের বেশি। ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে ফুটবল যেন ফিরেছে তার আপন ভূমিতে। নবরূপে সজ্জিত এই ভেন্যুতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

প্রেসবক্স থেকে শুরু করে সবকিছুতেই নতুনত্বেও ছোঁয়া। হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুল ইসলামদের মতো প্রবাসীদের নিয়ে গড়া বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে গ্যালারি ছিল পরিপূর্ণ। দর্শকদের জন্য গেইট খুলে দেয়া হয় বিকেল ৫টায়। কিন্তু দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার লাইনে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

‘হামজা, হামজা’ স্লোগানে বাইরে যেমন প্রকম্পিত করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা, স্টেডিয়ামের ভেতরের দৃশ্যও ছিল একই। ভুটান ম্যাচে দেখা গেছে সিঙ্গাপুর ম্যাচের উত্তাপ। এক দল সমর্থক লাল সবুজের জার্সি গাঁয়ে জড়িয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে ভুভুজেলার সুর তোলেন। হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট চাই’।

অর্থাৎ প্রতিপক্ষ ভুটান হলেও বাংলাদেশ দলের মতো সমর্থকদেরও ভাবনায় সিঙ্গাপুর ম্যাচ। ফুটবলের জোয়ারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্তারাও নতুন কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। সেই জন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম চালু করে। তাদের বড় ভুলটা ছিল ভুটান ম্যাচের আগে সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট বিক্রি।

এ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোস দেখা যায়। তারপরও ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচে হামজাতে দেখতে পারবেন বলে উচ্ছ্বাস নারায়নগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইয়াসিনের। সমকালের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘হামজার মতো বিশ্বমানের ফুটবলার প্রথমবার ঘরের মাঠে খেলবেন,তাকে সরাসরি না দেখলে কী হয়? আমরা কয়েকজন মিলে এসেছি খেলা দেখতে। ফুটবলের যে জোয়ার উঠেছে তার সামিল হতে জাতীয় স্টেডিয়ামে এসেছি।’

ফুটবল উন্মাদনার বড় অংশজুড়েই আছেন হামজা। মাঠে প্রবেশের সময় গাড়ি থেকে যখন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাঠে নামছিলেন, তাকে ক্যামেরায় বন্দি করার জন্য দর্শকদের সে কি উচ্ছ্বাস। সবুজ গালিচায় হামজা পা রাখতেই পুরো স্টেডিয়ামে ‘হামজা, হামজা’ স্লোগান ওঠে। অনেকদিন পর বাংলাদেশের ফুটবলের এমন চিত্র দেখে সত্তর-আশির দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে উঁকি দেওয়ার কথা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কোটি টাকা টোল আদায়

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার খ্যাত পদ্মা সেতুতে এবারের ঈদযাত্রায় সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু পারাপার করেছে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।

গত বছর ঈদুল ফিতরে আগে এক দিনে এই সেতু পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। যা ছিল পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সর্বচ্চো টোল। 

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদ। 

আরো পড়ুন:

গাবতলীতে পরিবহন সঙ্কট, ঘরমুখো মানুষের ভিড়

টাঙ্গাইলে ট্রেন ও বাসের ছাদ থেকে পড়ে ২ জন নিহত

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ১২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পদ্মা সেতু পারাপার করেছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে ৩৫ হাজার ৯৮৫টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে। এতে এ প্রান্ত দিয়ে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা। জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ১৬ হাজার ৫০২টি গাড়ি। এসময় এ  প্রান্তে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ২০০ টাকা। 

এর আগে, ২০২৪ সালের ১৪ জুন পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকা। যা এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বচ্চাে। চতুর্থ সর্বচ্চো টোল আদায় করা হয় ২০২৩ সালের ২৭ জুন ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। ২০২৪ সালের ১৫ জুন আদার করা  ৪ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। যা টোল আদায়ের রেকর্ডে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। সবকটি সর্বচ্চো টোলের রেকর্ড হয় ঈদকে কেন্দ্র করে।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ