সিদ্ধিরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার যুবকের পরিচয় সনাক্ত
Published: 4th, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। তার নাম দেলোয়ার হোসেন। সে চাঁদপুরের উত্তর মতলব ফরাজীকান্দি বড় হলুদিয়ার মো: মোহন বেপারীর ছেলে।
সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল দুই নাম্বার ঢাকেশ^রী এলাকায় বাড়ায় বসবাস করে ব্যাটারি চালিত অটো রিকসা চালাতো দেলোয়ার হোসেন।
এদিকে লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টায়ও পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এমনকি এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে। এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সালেকুজ্জামানকে সাংবাদিকরা কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এমনকি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন আলমও সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করছেন না। ফলে এই ঘটনার কোন আপডেট তথ্য পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের নিস্ক্রীয়তায় মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে একই এলাকায় নৃসংশ দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা বলেন, রাতের বেলা পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে।
প্রসঙ্গত: মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া দক্ষিন কদমতলী অনাবিল ব্রিজ সংলগ্ন ভান্ডারির পুল খালপাড় এলাকার ফখরুল ইসলামের মালিকানাধীন দোকান ঘরের সাটারের নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার দৃশ্য ও র্দুগন্ধ পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেয়।
পরে বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত হিসেবে দেলোয়ার হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ওই দোকানের ভেতর থেকে। লাশের পা দড়ি দিয়ে বাঁধা এবং কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা ছিল। কালো ক্যামিকেল যুক্ত কিছু দিয়ে মুখ বিকৃতি করে দেয়া হয়েছে।
লাশের কমর থেকে নিচের দিকে কোন কাপড় নেই। দেখে মনে হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে অটো চালক দেলোয়ার হোসেনকে।
দোকান মালিক ইসলাম জানিয়েছেন, গত ১ জুন তিনি এক ব্যক্তিকে দোকানটি ভাড়া দেন। তবে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কিংবা ছবি সংগ্রহ করেননি।
ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে কেবল একটি মোবাইল নম্বর রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, তার ধারণাও নেই লোকটা কে ছিল, কী করত। চুক্তিপত্রে শুধু নাম্বার ছিল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য স দ ধ রগঞ জ য বক ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ