পুতিনের সঙ্গে বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব জেলেনস্কি
Published: 5th, June 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি আরো বলেছেন, কিয়েভ যেকোনো দিন ইস্তাম্বুল, সুইজারল্যান্ড কিংবা ভ্যাটিকানে (পুতিনের সঙ্গে) বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।
বুধবার (৪ জুন) ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইউক্রিনফর্মকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই প্রস্তাব দিয়েছেন। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
জেলেনস্কি বলেন, “রাশিয়ানরা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত নয়- অন্তত তাদের বর্তমান প্রতিনিধিদলের স্তরে নয়। তারা আমাদের সরাসরি বলেছে, এটি শীর্ষ নেতাদের বিষয়। তাই আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি— শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার আগ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া হোক। আমি মনে করি, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররাও এতে সমর্থন দেবেন।”
আরো পড়ুন:
উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ‘বাকযুদ্ধ’
তিনি জানান, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সোমবার থেকেই শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করা সম্ভব। আলোচনার সম্ভাব্য স্থান হিসেবে ইস্তাম্বুল, ভ্যাটিকান এবং সুইজারল্যান্ডের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি।
জেলেনস্কির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন, তাহলে তা কার্যকর হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও একটি চারপক্ষীয় বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন- যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউক্রেন এবং তুরস্ক থাকবে।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যেকোনো দিন এই ধরনের বৈঠকে প্রস্তুত।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি বৈঠক ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে রাশিয়া একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিতে পারে। তবে সফল আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকলে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব।
জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রস্তাবে সমর্থন দিলে তা সহায়ক হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান আগে এক ফোনালাপে জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি চারপক্ষীয় বৈঠক চান।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা যেকোনো দিন এই ধরনের বৈঠকে প্রস্তুত।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি বৈঠক ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে রাশিয়া একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিতে পারে। তবে সফল আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকলে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়ানো সম্ভব।
জেলেনস্কি জানান, তিনি যুদ্ধবিরতি ছাড়াও পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় যেতে প্রস্তুত, তবে যদি আলোচনার পরও রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জরুরি।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন য ক তর ষ ট র ইউক র ন র প রস ত ব প রস ত ত ত রস ক
এছাড়াও পড়ুন:
জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচনের ঘোষণা এলে ভালো হতো: নুর
আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, জানুয়ারিতে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচনের ঘোষণা এলে ভালো হতো।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোজা থাকবে। এরপর ঈদ। আবার ঈদের পর এপ্রিল মাসে পাবলিক পরীক্ষা আছে। সব মিলিয়ে মনে হয়, জানুয়ারিতে কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে নির্বাচনের ঘোষণা এলে ভালো হতো।
নুরুল হক বলেন, ‘দলীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে আরও আলাপ-আলোচনা করতে হবে। আমার মতে, রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল। তবে নির্বাচন কবে হবে, সেটি নিয়ে সংশয় ছিল। সে ক্ষেত্রে সরকার নির্বাচনের যে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সেটি ইতিবাচক।’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ঈদুল আজহার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বৈঠক করলে তখন নির্বাচনের বিষয়ে নিশ্চয়ই আলাপ হবে। সেখানে নির্বাচন আরও এগিয়ে আনার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কথা বলতে পারে।