শিল্প ও সাংস্কৃতিক খাতে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বের লক্ষ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘কানেকশনস থ্রু কালচার (সিটিসি)’ গ্র্যান্টসের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যসহ ১৯টি অংশীদার দেশের শিল্পী ও সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানগুলো এই অনুদানের মাধ্যমে বহুপক্ষীয় সাংস্কৃতিক প্রকল্পে কাজ করতে পারবে। বিস্তারিত তথ্য ও আবেদন ফরম পাওয়া যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে।

সিটিসি প্রকল্পে সর্বোচ্চ ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। রেসিডেন্সি, পারফরম্যান্স, পলিসি ল্যাব, প্রদর্শনী, গবেষণা ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ এই অনুদানের আওতায় আসবে, যা অর্থবহ সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব জোরদার করতে সহায়তা করবে। স্থাপত্য, নকশা, ফ্যাশন ও কারুশিল্প, থিয়েটার, নৃত্য ও সার্কাস, সাহিত্য, চলচ্চিত্র ও সৃজনশীল প্রযুক্তি, ভিজ্যুয়াল আর্টস, সংগীতসহ সব শাখা থেকে আবেদন গ্রহণযোগ্য। প্রকল্প ডিজিটাল, সশরীর কিংবা হাইব্রিড হতে পারবে। এর মেয়াদ এ বছরের অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

গত বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ৮৪টি প্রকল্প এই অনুদান পেয়েছিল। এবার প্রায় ৯০টি যৌথ উদ্যোগ অনুদান পাবে।

উদ্যোগ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিল সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল আর্টস ডিরেক্টর জিল রিচেনস বলেছেন, ‘কানেকশনস থ্রু কালচার শুধু একটি গ্র্যান্ট প্রোগ্রামই নয়, এ উদ্যোগ সৃজনশীল অংশীদারত্বে পরিবর্তন আনতে একটি প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। যেসব প্রকল্প শিল্পকলা ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবে এবং সংস্কৃতি ও সমাজের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে, আমরা সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে পাশে থাকতে চাই।’
আবেদনের শেষ সময়
এ অনুদান পেতে আবেদনের শেষ সময় ২৩ জুন রাত আটটা (বাংলাদেশ সময়)।

আরও পড়ুনঢাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ‘অব্যবস্থাপনা’, কমছে শিক্ষার্থী ২৪ মে ২০২৫আরও পড়ুনআইডিবি মুসলিমদের দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে মাসিক হাতখরচও২২ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব র ট শ ক উন স ল প রকল প অন দ ন

এছাড়াও পড়ুন:

অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করবে গুগল ক্রোম

ইন্টারনেট ব্যবহারে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে গুগল। ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে প্রকাশিতব্য ক্রোম ব্রাউজারের ১৫৪তম সংস্করণে ডিফল্টভাবে সব ওয়েবসাইট নিরাপদ এইচটিটিপিএস (হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল সিকিউর) সংযোগে লোড হবে। কোনো ওয়েবসাইট যদি এখনো অনিরাপদ এইচটিটিপি (হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল) প্রোটোকলে চলে, তবে সেই সাইটে প্রবেশের আগে ব্যবহারকারীর অনুমতি চাইবে ক্রোম।

গুগল ২০২১ সালে ‘এইচটিটিপিএস ফার্স্ট মোড’ চালু করে। ওই সুবিধা চালু থাকলে ব্যবহারকারীরা চাইলে ব্রাউজারে ‘অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস’ অপশনটি সক্রিয় করতে পারতেন। এতে ক্রোম প্রথমে নিরাপদ সংযোগে সাইটে প্রবেশের চেষ্টা করে। সংযোগ না পাওয়া গেলে সতর্কবার্তা দেখায়। এবার গুগল ফিচারটি ডিফল্টভাবে সক্রিয় করতে যাচ্ছে, যাতে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ সংযোগে কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ না করেন এবং মাঝপথে কেউ ডেটা চুরি বা বিকৃত করতে না পারে।

গুগলের ক্রোম নিরাপত্তা দল এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে ক্রোম ১৫৪ সংস্করণ প্রকাশের সময় থেকে ডিফল্টভাবে অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস চালু করা হবে। এর ফলে কোনো ওয়েবসাইটে নিরাপদ সংযোগ না থাকলে প্রথমবার প্রবেশের আগে ক্রোম ব্যবহারকারীর অনুমতি চাইবে। গুগল আরও জানিয়েছে, অনিরাপদ সংযোগের সুযোগ নিয়ে আক্রমণকারীরা ব্রাউজারের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ব্যবহারকারীর অজান্তে ক্ষতিকর কনটেন্ট, ম্যালওয়্যার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য পাঠাতে পারে। এতে তথ্য চুরি বা সামাজিক প্রকৌশলভিত্তিক আক্রমণের ঝুঁকি থাকে।

তবে ক্রোম একই ওয়েবসাইটে বারবার সতর্কবার্তা দেখাবে না। কোনো অনিরাপদ সাইট নিয়মিত ব্যবহার করলে সেই সাইটে আর সতর্কতা দেখানো হবে না। নতুন বা খুব কম দেখা ওয়েবসাইটে ঢোকার সময়ই কেবল সতর্কবার্তা দেখানো হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে শুধু পাবলিক ওয়েবসাইটের জন্য এই সতর্কতা চালু রাখতে পারবেন অথবা পাবলিক ও ব্যক্তিগত দুই ধরনের সাইটের জন্যই সেটিংটি সক্রিয় করতে পারবেন। যদিও ব্যক্তিগত বা অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যেও কিছু ঝুঁকি থাকে, তবু সেগুলো সাধারণত পাবলিক সাইটের তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, এসব সাইট সাধারণত গৃহস্থালি ওয়াই–ফাই বা কোনো প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে সীমাবদ্ধ থাকে, যেখানে বাইরের আক্রমণের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম।

গুগল জানিয়েছে, এই পরিবর্তনে ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন সতর্কবার্তা দেখার আশঙ্কা নেই। বর্তমানে ইন্টারনেটে ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে নিরাপদ এইচটিটিপিএস প্রোটোকল ব্যবহার করছে, যেখানে ২০১৫ সালে এই হার ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ।

সব ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাটি চালুর আগে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিতব্য ক্রোমের ১৪৭তম সংস্করণে ‘এনহান্সড সেফ ব্রাউজিং’ সুবিধা ব্যবহারকারী এক শ কোটি মানুষের জন্য প্রকাশ্য ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস’ চালু করা হবে। গুগল বলেছে, ‘আমরা আশা করছি, এই পরিবর্তন অধিকাংশ ব্যবহারকারীর জন্য নির্বিঘ্ন হবে। তবে কেউ চাইলে ব্রাউজারের সেটিং থেকে “অলওয়েজ ইউজ সিকিউর কানেকশনস” বন্ধ করতে পারবেন। ওয়েব ডেভেলপার বা তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের এখনই এই ফিচারটি সক্রিয় করে রাখা উচিত, যাতে আগেভাগেই অনিরাপদ ওয়েবসাইট শনাক্ত করা যায়।’

ইন্টারনেট নিরাপত্তা বাড়াতে গুগল আগেও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ক্রোমে ‘এইচটিটিপিএস আপগ্রেড’ নামের ফিচার যোগ করা হয়, যা ওয়েবপেজের অভ্যন্তরীণ এইচটিটিপি লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিরাপদ সংযোগে রূপান্তর করে।

সূত্র: ব্লিপিংকম্পিউটার ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সতর্ক করবে গুগল ক্রোম