মেসির সঙ্গে ৬ মিনিট খেলেই ১৭ বছর বয়সী কিশোরের ইতিহাস
Published: 6th, June 2025 GMT
তাঁর আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াটাই ছিল বড় চমক। তবে শুধু জায়গা নয়, এখন রেকর্ড গড়া অভিষেকও হয়ে গেল আর্জেন্টিনার উদীয়মান তরুণ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর। আজ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমেই রেকর্ডটি গড়েছেন ১৭ বছর ৯ মাস ২২ দিন বয়সী এই ফুটবলার।
মাস্তানতুয়োনো কিছুদিন ধরেই ছিলেন আলোচনায়। রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজির মধ্যে কোন ক্লাবে যাবেন, তা নিয়েই যত আলোচনা। ইউরোপের দুই সেরা ক্লাবের এমন টানাটানিই বলে দিচ্ছে, তরুণ ফুটবলারটি কতটা প্রতিভাবান।
আর এ আলোচনার মধ্যেই আজ আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয়েছে মাস্তানতুয়োনোর। আজ ম্যাচের ৮৪ মিনিটে থিয়াগো আলমাদার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রিভার প্লেটে খেলা এ মিডফিল্ডার। অল্প সময়ের জন্য মাঠে নেমে ম্যাচের বাকি সময়ে তিনি বল স্পর্শ করেছেন ৮বার। ৩টি পাস দিয়েছেন, তিনটি–ই ছিল সঠিক।
আরও পড়ুনমেসির ফেরার ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে জেতালেন আলভারেজ৯ ঘণ্টা আগেতবে এই সব পরিসংখ্যান নয়, মাস্তানতুয়োনো রেকর্ড গড়েছেন মাঠে নেমেই। তিনিই এখন আর্জেন্টিনার হয়ে অফিশিয়াল ম্যাচ খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার। এই রেকর্ড গড়ার পথে মাস্তানতুয়োনো ভেঙেছেন জুয়ান সারনারির প্রায় ৬৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯৬০ সালে ১৮ বছর ১ মাস ২২ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার অফিশিয়াল ম্যাচ খেলেছিলেন সারনারি। আজ সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মাস্তানতুয়োনো।
বল দখলের লড়াইয়ে মাস্তানতুয়োনো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ত নত য় ন আর জ ন ট ন ফ টবল র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।