দুপুরেই হাট প্রায় ফাঁকা, ক্রেতাও কম
Published: 6th, June 2025 GMT
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা থেকে ৪৭টি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন চারজন পাইকার। তাঁদের একজন কালাম মিয়া। উত্তরায় দিয়াবাড়ি পশুর হাটের ৮ নম্বর হাসিল আদায়ের ঘরের সামনে তিনটি গরু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে কথা হয় কালাম মিয়ার সঙ্গে। কালাম প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের আনা ৪১টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এর মধ্যে বুধবার বিক্রি হয়েছিল চারটি। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতেই বিক্রি করেছেন ৩২টি গরু। আর আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে পাঁচটি গরু বিক্রি করেছেন। বাকি যে ছয়টি আছে, ওগুলোও দ্রুতই বেচা হয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা কামালের। সেই ছয়টি গরুর তিনটি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে আগামীকাল শনিবার। তাই আজই কোরবানির হাটের শেষ দিন। তবে হাটগুলোতে পশু থাকা সাপেক্ষে ঈদের দিনেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়ে থাকে।
আজ বেলা দেড়টার দিকে উত্তরা দিয়াবাড়ির অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে গরু রাখার নির্ধারিত জায়গাগুলো প্রায় ফাঁকা, গরু নেই বললেই চলে। হাটে যা কিছু অবিক্রীত গরু-খাসি রয়ে গেছে, সেসব নিয়ে রাস্তার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছেন ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
এদিকে হাটে কোরবানির পশু কিনতে আগ্রহী ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম দেখা গেছে। এর মধ্যে বেলা পৌনে দুইটার দিকে হয়ে যায় এক পশলা বৃষ্টি। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের উপস্থিতি আরও কমে যায়। ক্রেতা কম থাকায় কিছু ব্যবসায়ী গরু অন্য হাটে, নয়তো ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধিরা মাইকে ঘোষণা করছিলেন, বিক্রেতারা কেউ গরু নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
পাবনার সাঁথিয়া এলাকার ব্যবসায়ী খালেক মজুমদার হাটের এক নম্বর হাসিল ঘরের কাছাকাছি স্থানে রাস্তার পাশে দুটি গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর পেছনে গরু রাখার নির্ধারিত জায়গাগুলো একেবারেই ফাঁকা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই জায়গায়গুলোতে গরু ভর্তি ছিল।
উত্তরা দিয়াবাড়ির অস্থায়ী পশুর হাটে দুপুরের দিকে এমন ফাঁকা হয়ে যায়। হাটে আসা অধিকাংশ গরু বিক্রি হয়ে গেছে। ৬ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রব ন র
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত