শ্রেয়াস আইয়ার কি জানেন, তিনি এখন বিবাহিত?

ভারতের ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে না করলেও তাঁর সঙ্গে মনে মনে বিয়ে সেরে ফেলেছেন এক মডেল ও নায়িকা। শুধু মনে মনে বিয়েই সারেননি, সন্তানের মা–ও হয়ে গেছেন।

এই মডেল ও নায়িকার নাম এডিন রোজ। দুবাইয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা রোজ ভারতের বিনোদন অঙ্গনে আলোচিত ‘বিগ বস ১৮’ দিয়ে। রোজের আইয়ার-প্রীতিও নতুন কিছু নয়। তবে এবার এক অনুষ্ঠানে এসে কল্পনায় বিয়ে সেরে বাচ্চার মা হয়ে হয়ে যাওয়ারও ‘খবর’ শুনিয়েছেন রোজ।

ফিল্মিজ্ঞান নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে হাজির হয়ে নিজের ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তামিল সিনেমা ‘রাবানাসুরাা’য় কাজ করা রোজ। সেখানে একপর্যায়ে ভালো লাগার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রোজ বলেন, ‘আমি যে শ্রেয়াস আইয়ারকে পছন্দ করি, সেটা “বিগ বস”–এর প্রথম থেকে সবাই জানে। অনেকবার বলেছি। এমন না যে প্রচারের জন্য বলেছি। তাঁকে আমার ভালো লাগে। ভালো লাগার কথাই বলেছি। যার যাকে পছন্দ, সে তার কথাই তো বলবে।’

সঞ্চালক আগের আলোচনার সূত্র ধরে রোজকে বলেন, ‘তুমি তো নিজেকে শ্রেয়াস আইয়ারের স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেছ।’ জোরের সঙ্গে ‘অবশ্যই’ উচ্চারণ করে রোজ যোগ করেন, ‘ইতিবাচক মানসিকতা তো থাকতে হবে। আমি তো বিশ্বাস করি আমি আইয়ারের বাচ্চার মা। মানসিকভাবে আমি তো তার সঙ্গে বিবাহিতই। এটাই সাফ কথা।’

আরও পড়ুনবিয়ের প্রস্তাব প্যারিসের পার্কে, প্রেম শুরু হয়েছিল ৭টি ফ্রিজ উপহার দিয়ে১৮ মে ২০২৫

সঞ্চালক হাসতে হাসতে ‘শ্রেয়াস আইয়ারের বাচ্চার মা’ বলতে থাকলে রোজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আবারও নিজের কথার পুনরাবৃত্তি করেন, ‘হ্যাঁ, মানসিকভাবে আমি সে জায়গাতেই আছি।’

অবশ্য এখন পর্যন্ত পাঞ্জাব কিংস অধিনায়কের সঙ্গে দেখা হয়েছে কি না জিজ্ঞাসায় ‘না’–ই বলেছেন রোজ।

২০২০ সালে দুবাই থেকে ভারতে ফিরে আসা এই রোজ যে ক্রিকেটার ও নায়িকাদের জুটি বেশ পছন্দ করেন, সেটি বোঝা গেছে অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরেও। তাঁর মতে, প্রেমের আদর্শ জুটি বিরাট কোহলি-আনুশকা শর্মা। ক্রিকেট ও বলিউডের দুই তারকার নাম উল্লেখ করে রোজ বলেন, ‘তাদের মতো সুন্দর, একে অপরকে সম্মান করা জুটি আমি আর দেখিনি। যদি কাউকে বলি, আমি কেমন বিয়ে চাই—আমি বিরাট-আনুশকাকে দেখাব।’

আরও পড়ুনকোহলি–আনুশকা থেকে পন্ত–ইশা: ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ স্টোরি’২৩ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ র য় স আইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতের নারীদের জন্য ‘অর্ধেক আকাশ’ খুলল মে মাসে

ভারতীয় নারী জাতির ক্ষমতায়নের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ১৭ জন অসম সাহসী ব্যতিক্রমীর নাম, যাঁরা ২০২৫ সালের ৩০ মে মহারাষ্ট্রের পুনের ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি (এনডিএ) থেকে স্নাতক হলেন। ৩১৯ জন পুরুষ সহপাঠীর সঙ্গে ‘পাসিং আউট প্যারেড’, যার পোশাকি নাম ‘অন্তিম পাগ’, তাতে অংশ নিলেন ভারতের তিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই ১৭ জন হবু নারী কর্মকর্তা।

এনডিএর ৭৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষদের সঙ্গে পায়ে পা ও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই সঙ্গে একই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে শামিল হতে চলেছেন এই নারীরা। কিছুকাল আগেও যে অধিকার দেশের নারীদের ছিল না, যা ছিল তাঁদের কল্পনার অতীত, ৩০ মে তা ধরা দিল।

নারী ‘অর্ধেক আকাশ’ হলেও ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে পুরুষের মতো তাঁদের সমান অধিকার ছিল না পাঁচ বছর আগেও। ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই অধিকার তাঁদের অর্পণ করেন। তত দিন পর্যন্ত স্নাতক হওয়ার পর নারীরা চেন্নাইয়ের ‘অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে’ এক বছরের ‘কোর্স’ করে সেনাবাহিনীতে কর্মকর্তা হতে পারতেন। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি টপকানোর পর এনডিএতে পুরুষদের মতো তিন বছরের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর স্নাতক হয়ে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী কমিশন পদে নিযুক্তি পেতেন না। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ওই ১৭ জন নারী সেই অধিকার অর্জন করলেন।

কতটা কঠিন সেই প্রশিক্ষণ? একটা ছোট্ট উদাহরণ হলো, পুরুষদের সঙ্গে তাঁদের মতো ১৪ কিলোমিটার দৌড়নোর পর লিখিত পরীক্ষা দিতে বসা। এ দিনটির কথা কল্পনা করেই সম্ভবত ২০২১ সালে ভারতের তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবনে সে বছরের অন্তিম পাগের সমাবর্তনের আসরে বলেছিলেন, ‘আজ থেকে ৪০ বছর পর হয়তো দেখা যাবে, আজ আমি যেখানে দাঁড়িয়ে, কোনো নারী সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অভিবাদন গ্রহণ করছেন।’

সে বছরেই এনডিএর দরজা প্রথমবারের মতো নারীদের জন্য খোলা হয়েছিল। ৩০ মে সেই নারীরা স্নাতক হওয়ার পর জেনারেল নরবনে সংবাদমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে লিঙ্গের সাম্যতা অর্জনে এটাই প্রথম পদক্ষেপ। এঁরাই একদিন সামনে থেকে বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের গর্বিত করবেন।’

পরিবর্তন শুধু সামাজিক ও মানসিক স্তরে নয়, এতকালের বন্ধ দরজা নারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে এনডিএকেও অনেক বদলাতে হয়েছে। এযাবৎ নারীবর্জিত শিক্ষাকেন্দ্রে নারীদের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান ও শৌচালয়ের বন্দোবস্ত করতে হয়েছে। বদলাতে হয়েছে নিরাপত্তা প্রটোকল। নতুন নিয়মাবলি ও বিধিমালা তৈরি করতে হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছেন এক নারী ক্যাডেট–৩০ মে, পুনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ