বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাবেক এমপির মেয়ের মৃত্যু, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ
Published: 7th, June 2025 GMT
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আজমেরী মোনালিসা (২৭) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আজমেরী বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রয়াত জাফরুল হাসানের ছোট মেয়ে। তাঁর স্বামী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দম্পতির দেড় বছরের একটি মেয়ে আছে।
বরগুনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা দাবি করছেন, তাঁরা সাধ্যমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কিছুটা সুস্থবোধ করলে গতকাল সকালে চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় চলে যান আজমেরী। রাতে শ্বাসকষ্ট হলে আবার তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
আজমেরীর পরিবার জানায়, গত বুধবার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির সময় আজমেরীর রক্তে ১ লাখ ৪৪ হাজার প্লাটিলেট থাকলেও এক দিনের ব্যবধানে তা কমে ৪৪ হাজারে নেমে আসে। পরে গতকাল দুপুরে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যান। পরে সন্ধ্যার দিকে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় পরীক্ষায় তাঁর রক্তে মাত্র ২৫ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়।
আজমেরীর বড় ভাই মঈনুল হাসান বলেন, ‘আমার বোনের রক্তের প্লাটিলেট যখন ১ লাখ ৪৪ হাজার থেকে কমে মাত্র ৪৪ হাজারে নামে, তখন উন্নত চিকিৎসার দাবি করলেও চিকিৎসকেরা তা শোনেননি। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভালো হাসপাতালে পাঠানো হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাজকিয়া সিদ্দিকীহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিকিৎসাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি ছিল না। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। বর্তমানে জেলায় ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায় চার শতাধিক রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে প্রায় এক থেকে দেড় শ রোগীই ডেঙ্গু আক্রান্ত। ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য আলাদা দল গঠন করা দরকার।’
জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর থেকে এখন পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ১ হাজার ২২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে এ রোগে মারা গেছেন মোট ৩ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪৪ হ জ র আজম র বরগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব
পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।