পবিত্র ঈদুল আজহার দিন গতকাল শনিবার রাজধানীসহ দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। আবার গতকালই দেশের অন্তত ১৩ জেলায় বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ রোববার এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরই সঙ্গে কিছু স্থানে বৃষ্টিও হতে পারে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে আজ। এটি বাড়তে পারে আগামী বুধবার থেকে। 

গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ রোদে ঝলমলে ছিল। কিন্তু দুপুর ১২টার দিক থেকেই আকাশে মেঘ জমে। দুপুর ১২টার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত রাজধানীতে ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এটি গতকালের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি। গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে—৩৪ মিলিমিটার। গতকাল বগুড়া, ময়মনসিংহ ও বরিশালের কিছু স্থানেও বৃষ্টি হয়। তবে এই বৃষ্টির মধ্যেও গতকাল খুলনা বিভাগের সর্বত্র এবং রাজশাহী, রংপুর ও পঞ্চগড় জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খুলনায়—৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, রোববারের আবহাওয়া পরিস্থিতি শনিবারের চেয়ে খুব ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা কম। রোববারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে এর পাশাপাশি ময়মনসিংহ, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর এখন কম সক্রিয়। তাতে এখন বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে।

গত মে মাসের শেষ এবং চলতি মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। মে মাসের শেষে বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়। এরই মধ্যে ২৪ মে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। এ দুয়ের প্রভাবে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। বৃষ্টি বাড়লেও গরম কিন্তু কমছে না। এর কারণ প্রসঙ্গে বাতাসের প্রচুর আর্দ্রতার কথা বলছেন আবহাওয়াবিদেরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে ক্রেতারা বলছেন ‘জিতছি’, বিক্রেতার মুখ মলিন

আগামী শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহূর্তে জমজমাট পশুর হাটগুলো। এবার ঈদ উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলায় ৫২টি স্থায়ী ও ১০০টি অস্থায়ী জায়গায় হাট বসেছে। হাটগুলোতে দেশীয় জাতের পশু সরবরাহ থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি কম। ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরুর বেচা–কেনা হচ্ছে খুব কম।

গত কয়েক বছরের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম দামে গরু কিনে ক্রেতারা বলছেন ‘জিতছি’, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে বিক্রেতাদের মুখ অনেকটা মলিন। আজ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী বাজার গরু হাটে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করে দেখা গেছে এমন চিত্র।

প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনায় এবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয় ৫ লাখ ৭০ হাজার পশু, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত থাকবে দেড় লাখের বেশি।

ময়মনসিংহে পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার গবাদিপশুর আমদানি ভালো হলেও বেচা–বিক্রি অনেক কম। সে কারণে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষক ও খামারিরা।

ময়মনসিংহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওয়াহেদুল আলম বলেন, হাটগুলোতে যেন অসুস্থ প্রাণী বিক্রি না হয়, সে ব্যাপারে ৫২টি মেডিকেল টিম মনিটরিং করছে। এবার বাজারে প্রচুর পশু থাকলেও ক্রেতার সংখ্যা কম। খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকে হয়তো পশু বিক্রি করবেন না। গরুর চাহিদা সব সময় থাকে। পরে অনেকে কাঙ্ক্ষিত দামে বিক্রি করতে পারবেন।

সোহাগী হাট থেকে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নিজ পুবাইল গ্রামের রেজাউল করিম দেড় লাখ টাকায় একটি ষাঁড় কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আশপাশের অনেক বাজার ঘুরেছি, আজ কিনে ফেলেছি। দাম অনেক কম, এমন সাইজের গরু গত বছর ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছি। এবার কোরবানির পশু কিনে জেতা হয়েছে।’

ময়মনসিংহ নগরের বলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস ৬৫ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। গরুটি বিক্রি করেন চর সৈয়দ ভাকুরি গ্রামের ফারুক মিয়া। তিনি বলেন, ভেবেছিলেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু বাজার মন্দা। তাই কম দামে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে থাকা গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আজ বিক্রেতারাও দাম নিয়ে বেশি দরাদরি করছেন না। মাঝিয়কান্দি গ্রামের রুবেল মিয়া ১ লাখ ২৮ হাজার ও ৮৭ হাজার টাকায় দুটি গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা কম, কিন্তু গরু অনেক বেশি। এবার অনেক কম দামে তিনি গরু কিনতে পেরেছেন।

বেলা একটার দিকে সোহাগীর ভালুকাপুর গ্রামের আঞ্জু মিয়া নিজের গরু নিয়ে আসেন। তিনি ভেবেছিলেন, দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন, কিন্তু এখন ১ লাখ ১০ হাজার দাম চাচ্ছেন। তাতেও ক্রেতারা রাজি হচ্ছেন না। কারণ, বাজারে এবার গরুর সংখ্যা অনেক বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘তাণ্ডব’ চলাকালে কারিগরি ত্রুটি, ছায়াবাণী হল ভাঙচুর 
  • সর্বাত্মক সতর্কতা দুর্ঘটনা কমাতে পারে
  • গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমেছে, চলছে স্বাভাবিক গতিতে
  • মহাখালী টার্মিনালে বাস নেই, অনেক যাত্রীর টিকেট ফেরত
  • বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মসজিদে ধাক্কা, বাবা-ছেলের মৃত্যু
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানবাহনে ধীরগতি
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, ধীর গতি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও
  • ময়মনসিংহে ক্রেতারা বলছেন ‘জিতছি’, বিক্রেতার মুখ মলিন