কোহলির নামে থানায় অভিযোগ, পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে
Published: 8th, June 2025 GMT
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) আইপিএল শিরোপা উদ্যাপন ঘিরে ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনায় বিরাট কোহলির নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে কোহলিকে ‘আইপিএলের মাধ্যমে জুয়া’ প্রচার করে ভিড় উসকে দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে। অভিযোগকারী ভারতের সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধের মামলা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
তবে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি। প্রাণহানির ঘটনায় এরই মধ্যে যে মামলা হয়েছে, সেটির চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।
৩ জুন আহমেদাবাদে পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় আরসিবি। পরদিন দলটি বেঙ্গালুরুতে ফিরলে ভক্ত–সমর্থকদের ঢল নামে। বিরাট কোহলি–রজত পতিদাররা যখন এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ভেতরে বিজয় উদ্যাপন করছিলেন, তখন স্টেডিয়ামের বাইরে ভিড়ে পদদলিত হয়ে ১১ জন নিহত ও অনেকে আহত হন।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কোহলিদের শিরোপা–উদ্যাপন দেখতে হাজির হন প্রচুর দর্শক–সমর্থক।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে চামড়া কেউ পুঁতে ফেললেন, কেউ রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অলিগলি ঘুরে ৫২০টি চামড়া কিনেছিলেন মৌসুমি বিক্রেতা নুরুল আবসার। একেকটি চামড়া গড়ে ২০০ টাকার বেশি দরে কেনা পড়ে। তাঁর মোট খরচ হয় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু একটা চামড়াও তিনি বিক্রি করতে পারেননি। আজ রোববার নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় সড়কে চামড়া ফেলে দিয়ে তিনি বাড়ি চলে যান।
সকাল নয়টায় আতুরার ডিপো এলাকায় গিয়ে নুরুল আবসারের সঙ্গে কথা হয়। তখনো তিনি আড়তদারের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করছিলেন চামড়া নিতে। কেউ নেননি। নুরুল আবসার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১১টায় তিনি চামড়া নিয়ে নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পৌঁছান। সেই থেকে চামড়া বিক্রি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ৫০ টাকাও কেউ দিতে চাইছেন না। তাঁর কাছে ছোট, মাঝারি, বড়—তিন আকারের চামড়াই আছে।
নুরুল আবসার ছোট দুটি পিকআপে করে এই চামড়া আনেন। সঙ্গে আরও দু–তিনজন এসেছিলেন। তিনি জানান, চা খাওয়ার টাকাটাও তুলতে পারছেন না। এভাবে লোকসান হবে, তিনি ভাবেননি।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় আবার যোগাযোগ করলে নুরুল আবসার জানান, চামড়া বিক্রি হয়নি। সড়কে ওপর ফেলে রেখে তিনি চলে যাচ্ছেন বাড়িতে। তাঁর পুরো টাকাই লোকসান হলো।
শুধু নুরুল আবসার নন, নগরের আতুরার ডিপো, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, পতেঙ্গার অনেক মৌসুমি বিক্রেতা কেনা দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারেননি। কেউ চামড়া পুঁতে ফেলেছেন। কেউ রাস্তায় ফেলে চলে গেছেন। অবশ্য কেউ কেউ লোকসানে বিক্রি করেছেন।
ঈদের দিন চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় মৌসুমি বিক্রেতারা চামড়া নিয়ে বসেন। তবে সবচেয়ে বেশি বিক্রিবাট্টা হয় চৌমুহনী এলাকায়। অলিগলি থেকে চামড়া কিনে এখানেই এনে জড়ো করেন মৌসুমি বিক্রেতারা। পরে আড়তদার কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা এসে এ চামড়া নিয়ে যান। চামড়া মূলত নিয়ে যাওয়া হয় নগরের আতুরার ডিপো এলাকায়। সেখানে রয়েছে বড় আড়ত। উপজেলা থেকেও চামড়া আসে এসব আড়তে।
আরেক মৌসুমি ব্যবসায়ী দিদার আলম হাটহাজারী উপজেলা থেকে ৬০০ চামড়া নিয়ে এসেছেন। তিনিও বিক্রি করতে না পেরে চামড়া সড়কের ওপর ফেলে বাড়ি যাওয়ার মনস্থির করেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপোর পাশে আমিন জুট মিল এলাকায়