রাস্তায় দাঁড়িয়ে রিকশা ভাড়া করার সময় ট্রাকচাপায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসক নিহত
Published: 8th, June 2025 GMT
সিলেটে ট্রাকের চাপায় রহিমা আক্তার (২৭) নামের এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া দুইটার দিকে নগরের জিতু মিয়ার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রহিমা আক্তার সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক এবং দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকার আবু নসরের মেয়ে।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে সিলেট নগরের জিতু মিয়া মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রিকশাচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা বলছিলেন রহিমা। এ সময় দক্ষিণ সুরমার দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক ওই চিকিৎসক ও রিকশাচালককে চাপা দেয়। একপর্যায়ে রাস্তায় চলাচল করা আরেকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকেও ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে রিকশাচালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকের সঙ্গে রহিমা আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রহিমার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পর ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারী ট্রাকটি ফেলে পালিয়েছেন বলে জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুল হাবিব। তিনি বলেন, তাঁদের আটকের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
টিউলিপের কোনো চিঠি সরকার এখনও পায়নি: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন লন্ডন সফরে তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক চিঠি দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। তবে সরকার এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আমরা এমন কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না, যা আমরা দেখিনি।’
রোববার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা জানান।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চিঠি লিখেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। চলতি সপ্তাহে তার লন্ডন সফরের সময় চলমান বিতর্ক নিয়ে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন। এই সফরে রাজা চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ড. ইউনূস। চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, তিনি আশা করেন, একটি বৈঠক ‘ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রচারিত ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। আমার মায়ের বোন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে আমার কাছে দুদকের জিজ্ঞাসার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জন্ম লন্ডনে। গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি সংসদে। বাংলাদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। দেশটি আমার হৃদয়ের খুব কাছের। কিন্তু এটি সেই দেশ নয় যেখানে আমি জন্মেছি, বাস করি বা আমার কর্মজীবন গড়ে তুলেছি। দুদককে এ বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অস্বীকার করছে এবং দৃশ্যত ঢাকার ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে।’
টিউলিপ চিঠিতে বলেছেন, ‘এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি পদক্ষেপ গণমাধ্যমকে জানানো হয়। আমার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। আপনি বুঝবেন যে দেশের জন্য আমার কাজ করা থেকে ওই প্রতিবেদনগুলো যেন বিঘ্ন না ঘটায়, তা নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।’