ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি, ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মৃত্যু
Published: 8th, June 2025 GMT
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করেছে। দেশটিতে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
রবিবার (৮ জুন) ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৮ জন, এতে মোট আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬,১৩৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে কোভিড রোগে আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কর্ণাটকে দুজন, কেরালায় তিনজন এবং তামিলনাড়ুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ফের রণক্ষেত্র মণিপুর, কারফিউ জারি-ইন্টারনেট বন্ধ
ভারতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন
কেরালা, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, রাজস্থান ও দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কেরালায় ১৪৪ জন, গুজরাটে ১০৫ জন, পশ্চিমবঙ্গে ৭১ জন, গুজরাটে ২৪ জন এবং দিল্লিতে ২১ জন নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠা কোভিড রোগীর সংখ্যা রবিবার দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৩৭ জনে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ২২ মে দেশে মোট সক্রিয় রোগী ছিল ২৫৭ জন।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন র ম ত য
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।