‘চোখের সামনে আদরের সন্তান মারা গেল, কিছুই করতে পারলাম না’
Published: 8th, June 2025 GMT
পরিবারের সদস্যরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। ১৫ মাস বয়সী শিশু আসাদুল্লাহ্ বাবার পাশেই ছিল। কোনো এক ফাঁকে শিশুটি মুরগির মাংসের ছোট্ট একটি হাড় মুখে দেয়। হাড়টি গলায় আটকে যায়। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে বাবা আশরাফুল ইসলাম চিৎকার দিয়ে ওঠেন। সন্তানের মুখ থেকে হাড় বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে অন্তত চারটি হাসপাতালে ঘুরেছেন। সবাই বলেছেন, শিশুটি বেঁচে নেই।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ঈদের দিন দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামে। একমাত্র শিশুপুত্রকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন বাবা আশরাফুল ইসলাম (২৮), মা আছিয়া বেগম (২৪) ও শিশুটির দাদি আশেয়া বেগম (৫০)।
আজ রোববার দুপুরে কুট্টাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আশরাফুল ইসলাম চিৎকার করে কান্না করছেন। মা আছিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। শিশুটির দাদি আশেয়া বেগমও বিলাপ করছিলেন। আশরাফুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আদরের সন্তানটি মারা গেল। কিছুই করতে পারলাম না। আর কারও সন্তান যেন এমনভাবে চলে না যায়। আর কোনো বাবার যেন এমন দৃশ্য দেখতে না হয়।’
দাদি আশেয়া আক্তার বলেন, ‘কাল দুপুরে আমার নাতি আমার সঙ্গেই ছিল। কিছুক্ষণ ফরই এই ঘটনা ঘটল। জ্বর-তাপে মারা গেলে মনকে বুঝাতে ফারতাম। কিন্তু একি অইল মুহূর্তের মধ্যে তাজা একটি প্রাণ শেষ অইয়া গেল। আমরা মানতে পারছি না।’
সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শুভজিৎ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আশর ফ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত