পরিবারের সদস্যরা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। ১৫ মাস বয়সী শিশু আসাদুল্লাহ্ বাবার পাশেই ছিল। কোনো এক ফাঁকে শিশুটি মুরগির মাংসের ছোট্ট একটি হাড় মুখে দেয়। হাড়টি গলায় আটকে যায়। শিশুটির গোঙানির শব্দ পেয়ে বাবা আশরাফুল ইসলাম চিৎকার দিয়ে ওঠেন। সন্তানের মুখ থেকে হাড় বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এরপর পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে নিয়ে অন্তত চারটি হাসপাতালে ঘুরেছেন। সবাই বলেছেন, শিশুটি বেঁচে নেই।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার ঈদের দিন দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামে। একমাত্র শিশুপুত্রকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন বাবা আশরাফুল ইসলাম (২৮), মা আছিয়া বেগম (২৪) ও শিশুটির দাদি আশেয়া বেগম (৫০)।

আজ রোববার দুপুরে কুট্টাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, আশরাফুল ইসলাম চিৎকার করে কান্না করছেন। মা আছিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। শিশুটির দাদি আশেয়া বেগমও বিলাপ করছিলেন। আশরাফুল ইসলাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আদরের সন্তানটি মারা গেল। কিছুই করতে পারলাম না। আর কারও সন্তান যেন এমনভাবে চলে না যায়। আর কোনো বাবার যেন এমন দৃশ্য দেখতে না হয়।’

দাদি আশেয়া আক্তার বলেন, ‘কাল দুপুরে আমার নাতি আমার সঙ্গেই ছিল। কিছুক্ষণ ফরই এই ঘটনা ঘটল। জ্বর-তাপে মারা গেলে মনকে বুঝাতে ফারতাম। কিন্তু একি অইল মুহূর্তের মধ্যে তাজা একটি প্রাণ শেষ অইয়া গেল। আমরা মানতে পারছি না।’

সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শুভজিৎ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আশর ফ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে গতকাল বুধবার রাত থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকা বিভাগসহ দেশের চার বিভাগের অধিকাংশ স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল দেওয়া আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ বেশি আছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা ট্রলার ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে নাজমুল হক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমি বায়ু অনেকটাই সক্রিয়। এর প্রভাবে আজ ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ স্থানে এবং রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক স্থানে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় রাজধানীতে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আজ খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পরিমাণ ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটারের মধ্যে হলে তাকে ভারী বৃষ্টি বলা হয়।

আগামী শনি বা রোববার থেকে ময়মনসিংহ, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাজমুল হক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ