সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়ে রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে দেশে ফিরেছেন। গভীররাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। এরপর আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

গত ৭ মে দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে আবদুল হামিদ দেশ ছাড়েন। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তার দেশছাড়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

আরো পড়ুন:

আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ
দায়ীদের শাস্তি পেতেই হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশে ফেরার সময় সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা.

নওশাদ খান। তিনি একজন সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে এসেছেন। উড়োজাহাজ থেকে হুইলচেয়ারে করে আবদুল হামিদকে নামিয়ে আনা হয়।

ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।

আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার ঘটনায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও বিক্ষোভ শুরু হয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 
 

ঢাকা/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত স ব ক র ষ ট রপত আবদ ল হ ম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মন বলছিল, ভালোবাসা আর যত্ন পেলে পাখিটা বাঁচবে

স্কুল থেকে ফিরছিলাম। এমন সময় ডোবার মধ্য থেকে টিয়া পাখির ডাক কানে এল। অল্প বয়স, রাজ্যের কৌতূহল। পাখি পোষার ইচ্ছাও ছিল। কিন্তু বাসার কেউ রাজি হচ্ছিল না। বলত, বনের পাখি পালা যাবে না। তাই ডোবায় যদি পাখি পেয়েই যাই, মন্দ হয় না।

পাখিটিকে কাদার মধ্যে পেলাম। এক পা ভাঙা। রক্ত ঝরছিল। টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে পাখিটিকে পরিষ্কার করলাম। একজনের বুদ্ধিতে পায়ে চুন মেখে বেঁধে দিলাম। আর রোদে রাখলাম। পাখিটির এই অবস্থা দেখে বাসার সবার হয়তো করুণা হলো। কেউ কিছু বলল না। তবে আশপাশের অনেকেই বলল, এই পাখি বাঁচবে না।

কাছেই ছিল পশু হাসপাতাল। পাখিটিকে নিয়ে গেলাম। সবার সে কী তুচ্ছতাচ্ছিল্য। ভাবখানা এমন, পাখির জীবন কোনো জীবনই না। সে মরলেই কী আর বাঁচলেই কী, কারও কিছুই যায়–আসে না। অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখল তারা। তারপর কী করতে হবে বলে দিল। সেই সঙ্গে তারাও বলল, এই পাখি বড়জোর দুই দিন বাঁচতে পারে।

বাসায় এনে আলো জ্বালিয়ে গরম জায়গায় পাখিটিকে রাখলাম। এরপর একজন একটি খাঁচাও জোগাড় করে দিল। আমার মন বলছিল, ভালোবাসা আর যত্ন পেলে ও বাঁচবে। সৃষ্টিকর্তা নিখাদ ভালোবাসা ফেরান না। ভাত, চাল, ধান, যা পাই তাই খেতে দিই। একটু একটু খায়। একসময় বন্ধ হয় রক্ত পড়া। এক দিন দুই দিন করে ২২ দিন চলে যায়। একটু একটু করে সুস্থ হয় সে। নড়েচড়ে বসে। খায়। আমার সে কী আনন্দ।

৪০ দিন চলে গেল। এবার পাখিটি ডাকাডাকি শুরু করে। ভাঙা পা নাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই। ওড়ার চেষ্টা করে। আশপাশের মানুষ হাঁ করে দেখে। মৃতপ্রায় পাখি বাঁচল কীভাবে! চোখেমুখে তাদের নানা প্রশ্ন।

সবাই ভেবেছিল পাখিটি পোষ মেনে গেছে। ও আর যাবে না। একদিন সবার সামনে খাঁচা থেকে পাখিটিকে বের করলাম। সে উড়ে চলে গেল। একবার পেছন ফিরেও তাকাল না। যে মানুষটা মনপ্রাণ উজাড় করে তাকে ভালোবাসল, তার দিকেও তাকাল না। আমি নীরবে কাঁদলাম কিছুক্ষণ। আমি যে তার মায়ার পড়ে গিয়েছিলাম। তাকে ভালোবেসেছিলাম।

এর বহুদিন পরের ঘটনা। ঘরের চালে একটি টিয়া পাখি দেখা গেল। সেই পাখিটি। চালে বসেই ডাকছিল। সবাই খুব অবাক হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন মাঝেমধ্যে সে চালে এসে বসত। কিছুক্ষণ ডাকাডাকি করে চলে যেত। হয়তো ডেকেই সে কৃতজ্ঞতা জানাত।

আমার চোখ ভিজে যায়। একটা অবলা পাখি তার প্রতি ভালোবাসা, যত্নের কথা মনে রেখেছে। এই নশ্বর জীবনে এই প্রাপ্তি নেহাতই কম নয়।

আরও পড়ুনশহরে ফ্ল্যাট আমি ঠিকই নিয়েছি, কিন্তু মা আর কোনো দিন এলেন না১০ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১০ শতাংশ সিমেন্ট আর ৯০ শতাংশ হতাশা, ভাস্কর্যে এ কোন ওয়াসিম আকরাম
  • মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
  • দেশে আরো ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত
  • সাতকানিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত, গ্রেপ্তার চার ভাই
  • গাজায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭২
  • নির্বাচনী প্রচারণাকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী
  • সোনারগাঁয়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে কোরবানির মাংস বিক্রি 
  • ছেলের প্রতি একজন বাবার ভালোবাসা ও একটি সাইকেলের গল্প
  • মন বলছিল, ভালোবাসা আর যত্ন পেলে পাখিটা বাঁচবে