জাপানি বিজ্ঞানীরা নতুন ধরনের প্লাস্টিক উপাদান তৈরি করেছেন, যা মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্রের পানিতে দ্রবীভূত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন উপাদানে তৈরি প্লাস্টিকের কোনো অবশিষ্টাংশ জমা হয় না। কয়েক দশক ধরে প্লাস্টিক বিশ্বব্যাপী সমুদ্রদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। আমাদের খাবারে বেশ বড় মাত্রায় এখন মাইক্রোপ্লাস্টিক দেখা যায়। মাইক্রোপ্লাস্টিক উপাদান মানব প্লাসেন্টাতেও দেখা যায়। জাপানের বিজ্ঞানীদের তৈরি একটি নতুন প্লাস্টিক উপাদান আমাদের সমুদ্রদূষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

জাপানের রিকেন সেন্টার ফর ইমার্জেন্ট ম্যাটার সায়েন্স ও টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই উপাদান তৈরি করেছেন। নতুন প্লাস্টিক উপাদান পেট্রোলিয়ামভিত্তিক প্লাস্টিকের মতো। সাধারণ প্লাস্টিক পচতে বা ভাঙতে ২০ থেকে ৫০০ বছর সময় নেয়। অন্যদিকে নতুন প্লাস্টিকের পদার্থ লবণের সংস্পর্শে এলে মূল উপাদান ভেঙে যায়। নতুন উপাদান তখন পানিতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত হয়। নতুন পদার্থের মাধ্যমে কোনো মাইক্রোপ্লাস্টিক বা ন্যানোপ্লাস্টিক কণা তৈরি হয় না। গবেষকেরা টোকিওর কাছে ওয়াকো শহরের একটি ল্যাবে নতুন ক্ষয়যোগ্য প্লাস্টিক উপাদানটি প্রদর্শন করেছেন। প্রদর্শনের সময় বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত পানিতে নতুন পদার্থ যেভাবে দ্রবীভূত হয় তার ওপর আলোকপাত করেন। নতুন উপাদানটি সম্পূর্ণরূপে ভাঙতে প্রায় ২০০ ঘণ্টা সময় নেয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন প্লাস্টিক উপাদান মানুষের জন্য বিষাক্ত নয়। আগুন প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন ও কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গত করে না।

জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি অনুসারে, ২০৪০ সাল নাগাদ প্লাস্টিক দূষণ তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তখন প্রতিবছর কেবল সমুদ্রে ২৩ থেকে ৩৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন বর্জ্য যোগ হতে পারে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল স ট ক উপ দ ন নত ন প ল স ট ক

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ