আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এই সরকারের প্রধান সমালোচনা হলো, রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের মধ্যে ঐক্য গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের সময় ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, সরকার নিরপেক্ষ।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এত দিন আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল নির্বাচন আদৌ হবে কি না, কিংবা হলেও সেটা ডিসেম্বর না জুন। এখন সবার আলোচনা ডিসেম্বর না এপ্রিল; অর্থাৎ যারা এত দিন নির্বাচন হবে কি হবে না, তা নিয়ে দোলাচলে ছিল, এখন তাদের আলোচনা নির্দিষ্ট হয়েছে নির্বাচনকালীন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে। এভাবে ধীরে ধীরে তর্ক-বিতর্ক ও অবিশ্বাস কমে আসবে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ নতুন বন্দোবস্তের রাজনীতির জন‍্য ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজ সোমবার বিকেলে রানীরহাটে ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়ন এবি পার্টি আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মজিবুর রহমান মঞ্জু এ কথা বলেন।

ফেনী প্রসঙ্গে এবি পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ফেনী একসময় সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। আমরা সেই সন্ত্রাসের জনপদের থেকে বের হতে চাই। ফেনীর অনেক গুণীজন দেশের সুনাম ছড়িয়েছে। আমরা ফেনীতে আদর্শ রাজনীতি করতে চাই। এবি পার্টির হাত ধরে সেই আদর্শ রাজনীতি বাস্তবায়ন হবে ফেনীতে।’

এবি পার্টি ফেনী জেলার সমাজকল্যাণ সম্পাদক এ বি সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সদর উপজেলার যুগ্ম সদস্যসচিব কামরুল হাছানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম, জেলা আহ্বায়ক আহছান উল্যাহ, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম, ফেনী পৌর আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক যুবনেতা মিজান শাহ আলম, সামছুদ্দিন হায়দার এবং লেখক ও গবেষক নোমান সাইফুল্লাহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম শাহীন সুলতানী, দপ্তর সম্পাদক মীর ইকবাল, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হাবীব মিয়াজী, সদস্য কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ফখরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলার সদস্যসচিব আবু সাইদ খান, যুগ্ম সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শফিউল্যাহ, সদস্যসচিব এস এম ইব্রাহিম, কাজীবাগ ইউনিয়ন আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইলিয়াস, সদস্যসচিব আমান উল্যাহ প্রমুখ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস যসচ ব র ল ইসল ম র জন ত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

স্টিভ জবসের মডেল কন্যাকে কতটা জানেন?

মার্কিন ফ্যাশন মডেল ইভ জবস। অ্যাপল কম্পিউটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কন্যা তিনি। স্টিভ জবস ও লরেন পাওয়েল জবস দম্পতির কন্যা ইভ।

কয়েক দিন আগে বয়সে ছোট প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২৭ বছরের ইভ। তার বরের নাম হ্যারি চার্লস। যুক্তরাজ্যের নাগরিক হ্যারি অলিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী অশ্বারোহী। বয়সে ইভের চেয়ে এক বছরের ছোট হ্যারি। গ্রেট ব্রিটেনে এ জুটির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। 

 

ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইভের জাঁকজমকপূর্ণ বিয়েতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের লোকজন। এ তালিকায় রয়েছেন—তারকা শেফ ব্যারনেস রুথ রজার্স, বিল গেটসের মেয়ে জেসিকা, রোমান আব্রামোভিচের মেয়ে সোফিয়া প্রমুখ। অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাধিকারীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের বিলাসবহুল মিনিবাসের স্রোত বইছিল বিয়ের ভেন্যুতে।

 

জাকজমকপূর্ণ বিয়েতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। সংবাদমাধ্যমটিকে প্রয়াত স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন পাওয়েল জবস বলেন, “ইভ-হ্যারির বিয়েতে ৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকার বেশি)। 

 

১৯৯১ সালে লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন স্টিভ জবস। এ সংসারে তাদের তিন সন্তান। ইভ এ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। ১৯৯৮ সালের ৯ জুলাই ক্যালিফর্নিয়ায় জন্ম। তার বড় বোন এরিন, ভাইয়ের নাম রিড। লিসা নামে তার একটি সৎবোনও রয়েছে।

 

ইভা পড়াশোনা করেছেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২১ সালে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং সমাজ (সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটি) বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। একই বছর প্যারিসে ‘কোপের্নি’ সংস্থার হাত ধরে মডেলিং দুনিয়ায় পা রাখেন। মডেলিং জগতে পা রেখেই চমকে দেন স্টিভ-তনয়া। 

 

অনেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন ইভ। বিখ্যাত ব্যাগ প্রস্তুতকারী সংস্থা লুই ভিতোঁরের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বারোহী হিসাবেও খ্যাতি রয়েছে ইভের। এক সময় বিশ্বের ২৫ বছরের কম বয়সি ১ হাজার সেরা অশ্বারোহীর মধ্যে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।

 

মাত্র ছয় বছর বয়সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে দৌড় শুরু করেছিলেন স্টিভ জবস তনয়া। ঘোড়ায় চড়ার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মেয়ে যাতে পড়াশোনায় মন দেয়, সে দিকে বরাবরই সজাগ দৃষ্টি ছিল ইভের বাবা-মায়ের। তবে গ্রীষ্মাবকাশ ও বসন্তের ছুটির সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি পেতেন ইভ। 

 

ইভ যেখানে অশ্বারোহণের প্রশিক্ষণ নেন, সেই জায়গার মূল্য দেড় কোটি ডলার। ইভ প্রশিক্ষণ শুরু করার পর তার মা ওই জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। তবে মডেল হওয়ার কোনো পরিকল্পনা কখনো ছিল না ইভের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আগে কখনো মডেলিং করিনি। তবে প্রস্তাব পেয়ে ঘাবড়ে যাইনি। আমার মনে হয়েছিল, কেন নয়? এই প্রস্তাব আমাকে আকৃষ্ট করেছিল।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ