কানাডায় নৌকাডুবিতে নিহত দুই বাংলাদেশির জানাজা বুধবার
Published: 10th, June 2025 GMT
কানাডায় ক্যানো (নৌকা) উল্টে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আগামীকাল বুধবার টরেন্টো শহরে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সময় বাদ আসর (৭.৩০ টা) টরেন্টোর ৩৪৭ ডেনফোথ রোডের সুন্নাতুল জামাত মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুন অন্টারিওর লিনজির একটি কটেজ সংলগ্ন হ্রদে ক্যানোইং করতে গিয়ে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭-এর ক্যাপ্টেন সাইফুজ্জামান গুড্ডু ও তার বন্ধু বিজিএমইএর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহিল রাকিব পানিতে ডুবে মারা যান।
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিপি২৪ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় কোনো ঝড় বা তীব্র বাতাসের খবর পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা আবহাওয়ার তথ্য ও অন্যান্য কারণ পর্যালোচনা করছেন। ইতোমধ্যেই কাওয়ার্থা লেক সিটি এবং অন্টারিও পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুইজনের মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ন হত
এছাড়াও পড়ুন:
আইসিসির হল অব ফেমে ধোনিসহ ৭ ক্রিকেটার
ভারতের মাহেন্দ্র সিং ধোনী, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও গ্র্যায়েম স্মিথসহ আরো সাত ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক সানা মির।
এই তালিকায় আরো রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ম্যাথু হেইডেন, নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টরি ও ইংল্যান্ডের সারা টেইলর। নারী ক্রিকেটে অবদানের জন্য সানা মির ও সারা টেইলরকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি।
পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন সানা মির। ২০০৫ সালে অভিষেকের পর পাকিস্তানের হয়ে ১২০টি ওয়ানডে এবং ১০৬টি টি২০ খেলেছেন। এর মধ্যে ৭২টি ওয়ানডে এবং ৬৫টি টি২০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন। ২০১০ ও ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানের স্বর্ণপদক জয়ে অধিনায়ক ছিলেন সানা মির। নিয়েছেন ১৫১ উইকেট। ২০১৮ সালে ওয়ানডে বোলারদের র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানেও ছিলেন সানা মীর।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক ধোনি ২০০৭ সালে প্রথম টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দেন ভারতকে। দুই বছর পর ২০১৩ সালে তার নেতৃত্বে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে। তিনি একমাত্র অধিনায়ক যার অধীনে ভারত আইসিসির তিনটি সাদা বলের ট্রফিই জিতেছে। তার অধীনে ভারত টেস্ট র্যাংকিংয়ে শীর্ষেও উঠেছিল।
প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হিসেবে আমলা টেস্টে ত্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২০১২ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি ৩১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
সব ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি ৫৫টির বেশি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেছেন। গ্রায়েম স্মিথ ১০৯টি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্ব দেন, যার মধ্যে ৫৩টি জয় পেয়েছেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টিরও বেশি টেস্টে অধিনায়কত্ব করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১৫০টি ওয়ানডেতেও অধিনায়ক ছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, যা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সারাহ টেইলর ছিলেন ইংল্যান্ড নারী দলের ২০০৯ সালের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কান্ডারি। তিনি ২০১৭ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে ৪৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। অসাধারণ উইকেটকিপিংয়ের জন্য খ্যাত টেইলর সব ফরম্যাটে মিলিয়ে ২৩২টি ডিসমিসাল করেছেন।