লাল গ্রহ মঙ্গল নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক। হাওয়াইতে অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ উঁচু আরসিয়া মনসের দারুণ এক ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

নাসার ২০০১ সালের মার্স ওডিসি অরবিটার লাল গ্রহের মেঘের মধ্য দিয়ে উঁকি দিয়ে ২০ কিলোমিটার উঁচু একটি আগ্নেয়গিরির ছবি তুলেছে। মঙ্গল গ্রহের ভোরবেলায় বায়ুমণ্ডলের ওপরের অংশ থেকে তোলা ছবিতে সবুজ ধোঁয়াশা দেখা যাচ্ছে। আরসিয়া মনস পৃথিবীর বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি মাউনা লোয়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ উঁচু। ১২০ কিলোমিটার প্রস্থের আরসিয়া মনসের শীর্ষ পৃথিবীর অনেক আগ্নেয়গিরির চেয়ে বড়।

এ মাসের শুরুতে থার্মাল এমিশন ইমেজিং সিস্টেম (থেমিস) ব্যবহার করে তোলা হয়েছে আগ্নেয়গিরির ছবিটি। প্রথমবারের মতো গ্রহের বিশাল আগ্নেয়গিরির ছবি তুলতে পেরে বেশ উৎসাহিত নাসা। অভিযানের অপারেশনপ্রধান অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জোনাথন হিল বলেন, ‘আমরা আরসিয়া মনসের ছবি তুলেছি। আমরা ভোরের মেঘের ওপরে চূড়াটি দেখার চেষ্টা করেছি। আমরা হতাশ হইনি। আরসিয়া মনসের ওপর যে বিশেষ হালকা মেঘ দেখা যায়, সেটা অ্যাফেলিয়ন।’

মঙ্গলের মেঘ বোঝা মঙ্গলের আবহাওয়া ও ধূলিঝড়ের মতো ঘটনা কীভাবে ঘটে তা বোঝার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে নাসা। নাসার জেপিএল এক্সে এক বার্তায় জানিয়েছে, ওডিসি অরবিটার আরসিয়া মনসের একটি অত্যাশ্চর্য দৃশ্য ধারণ করেছে। আগ্নেয়গিরিটি পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু আগ্নেয়গিরির চেয়ে অনেক বড়। নতুন ছবি মঙ্গল গ্রহের ঋতু অনুসারে ধূলি ও বরফের মেঘ কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা অধ্যয়ন করতে সাহায্য করবে।

ওডিসি অরবিটার ২০০১ সালে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। অন্য কোনো গ্রহের প্রদক্ষিণ করা দীর্ঘতম চলমান মিশনের মধ্যে অন্যতম এটি। বিস্ময়কর ছবিটি তোলার জন্য অরবিটারটি কক্ষপথে চলার সময় ৯০ ডিগ্রি ঘুরে ছবি তোলে। ক্যামেরার চোখ দিয়ে বিজ্ঞানীরা ধূলি ও বরফের মেঘের স্তর দেখতে পাচ্ছেন। মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গ্রহ বিজ্ঞানী মাইকেল ডি স্মিথ বলেন, ‘আমরা এই ছবি থেকে সত্যিই উল্লেখযোগ্য ঋতুগত পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে বিকশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে নতুন সূত্র দিতে পারে।’

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগ ন য গ র র অরব ট র ল গ রহ গ রহ র মনস র

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ