টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ম্যুরাল ভেঙে এক ছাত্রী নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাদিয়া আক্তার (১১) ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। সে পাটজাগ গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা জালাল উদ্দিনের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় চত্বরে ম্যুরাল স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল। ঈদের সাত দিন আগে নির্মাণকাজ শুরু হয়। গতকাল বিকেলে সাদিয়া, আমেনা ও নেহা ওই স্কুল মাঠে খেলছিল। সন্ধ্যার আগে ওই তিনজন নির্মাণাধীন স্থাপনার ওপর ওঠে। একপর্যায়ে সেটি ধসে পড়লে সাদিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হয়। আমেনা ও নেহা সামান্য আহত হয়।

পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা নিছক একটি দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় আমরা মর্মহত।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ভুঞা বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায়

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে স্কুল শিক্ষক ও অফিস সহায়ককে বিদায় জানিয়েছেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়।

বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে বিদ্যালয়ের হলরুমে স্মৃতিচারণামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. দেদারুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন আলম, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা, সিনিয়র শিক্ষক রুহুল আমিন প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় নিখোঁজের ৩৬ দিনেও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি

স্কুল ভবনে ক্লাস চলাকালে বিধ্বস্ত হয় প্রশিক্ষণ বিমান

আয়োজকরা জানান, দীর্ঘদিন শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমান এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। সম্প্রতি তারা অবসরে গেছেন। তাদের বিদায় সংবর্ধনা স্মরণীয় করে রাখতে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘‘দীর্ঘ ২১ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছি। চলার পথে কোনো ভুল-ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা করবেন। চাকরি জীবন শেষে এমন সংবর্ধনা পাব কল্পনাও করিনি। এ জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’’ এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা বলেন, ‘‘চাকরি জীবনে সবাইকেই অবসর নিতে হবে। আজ আমরা ইংরেজি শিক্ষক আজিবর রহমান ও অফিস সহায়ক মশিয়ার রহমানকে বিদায় জানিয়েছি। এটা কষ্টের হলেও সবাইকে মেনে নিতে হবে। বিদায়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে তাদের দুজনকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।’’

ঢাকা/সোহাগ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ