বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ: বড় পর্দায় খেলা দেখবেন যেসব জায়গায়
Published: 10th, June 2025 GMT
গ্যালারিতে বসে বাংলাদেশ দলের খেলা উপভোগ করতে কার না মন চায়! কিন্তু সেই চাওয়া সবার পূরণ না হওয়াটাও স্বাভাবিক। এবার বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট ছেড়েছিল বাফুফে। সেই টিকিট রাতারাতি ‘সোল্ড আউট’ হয়ে যায়।
এর মধ্যে ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা, টিকিটের জন্য ডিজিটাল লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি অনেকে। যা নিয়ে দর্শকদের অভিযোগেরও শেষ নেই। তবে যাঁরা গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখতে পারবেন না তাদের জন্য থাকছে বিকল্প ব্যবস্থা।
ম্যাচের অফিশিয়াল সম্প্রচার চ্যানেল টি-স্পোর্টস জানিয়েছে, দেশের আটটি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে। স্থানগুলো হচ্ছে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহের জেলা পরিষদ চত্বর, রংপুরের জেলা পরিষদ চত্বর, রাজশাহীর নানকিং বাজার, সিলেটের জিরো পয়েন্ট, খুলনার শিববাড়ি মোড় ও বরিশালের বেল’স পার্ক।
এ ছাড়া রাজধানীর রূপনগর-পল্লবী এলাকায় ১২টি স্থানে বড় পর্দায় খেলার দেখার ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা-১৬ আসনের (রূপনগর ও পল্লবী থানা) মোট ১২টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে।
জায়গাগুলো হচ্ছে: ঘরোয়া মোড়, দুয়ারিপাড়া মোড়, দোরেন মোড়, ট-ব্লক মোড়, পার্ক কলোনি মোড়, মধ্য রাস্তা মোড় (সেকশন-৭, উত্তর সাইড), শহীদ আসিফ চত্বর (ধানসিঁড়ি স্কুল মোড়), মুসলিম বাজার ঈদগাহ মাঠ, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ (ই ব্লক মোড়), লালমাটিয়া স্ট্যান্ড (বাউনিয়াবাদ, মিরপুর-১১ মোড়), আলুবদি পুরাতন স্ট্যান্ড-আমতলা, বায়তুল আমান জামে মসজিদ মোড় (১১/সি, পল্লবী)|
আরও পড়ুন‘বিস্মিত’ সিঙ্গাপুর কোচ সমীহ করছেন হামজার বাংলাদেশকে ১৫ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম, শমিত সোমদের আগমনে দেশের ফুটবলে বেড়েছে সাধারণ মানুষের আগ্রহ। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ড্র করার পর সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। ম্যাচটি শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায়।
২০২৭ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে হবে এএফসি এশিয়ান কাপের ১৯তম আসর। সেখানে ২৪ দল লড়বে শিরোপার জন্য। বাংলাদেশও সেই ২৪ দলের একটি দল হতে চায়। সে জন্য আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার কাজটা সহজ হবে না। বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ‘সি’ গ্রুপের লড়াইটা এমনিতেই জমে উঠেছে। বাংলাদেশসহ বাকি তিন দল হংকং, ভারত ও সিঙ্গাপুরের পয়েন্ট সমান এক করে।
আরও পড়ুনএশিয়ান কাপে খেলতে হলে কী করতে হবে বাংলাদেশকে, কীভাবে কাজ করছে বাছাইপর্ব৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বড় পর দ য় খ ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।