‎গ্যালারিতে বসে বাংলাদেশ দলের খেলা উপভোগ করতে কার না মন চায়! কিন্তু সেই চাওয়া সবার পূরণ না হওয়াটাও স্বাভাবিক। এবার বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট ছেড়েছিল বাফুফে। সেই টিকিট রাতারাতি ‘সোল্ড আউট’ হয়ে যায়।

‎এর মধ্যে ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা, টিকিটের জন্য ডিজিটাল লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি অনেকে। যা নিয়ে দর্শকদের অভিযোগেরও শেষ নেই। তবে যাঁরা গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখতে পারবেন না তাদের জন্য থাকছে বিকল্প ব্যবস্থা।

ম্যাচের অফিশিয়াল সম্প্রচার চ্যানেল টি-স্পোর্টস জানিয়েছে, ‎দেশের আটটি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে। স্থানগুলো হচ্ছে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবর, চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহের জেলা পরিষদ চত্বর, রংপুরের জেলা পরিষদ চত্বর, রাজশাহীর নানকিং বাজার, সিলেটের জিরো পয়েন্ট, খুলনার শিববাড়ি মোড় ও বরিশালের বেল’স পার্ক।

এ ছাড়া রাজধানীর রূপনগর-পল্লবী এলাকায় ১২টি স্থানে বড় পর্দায় খেলার দেখার ব্যবস্থা করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা-১৬ আসনের (রূপনগর ও পল্লবী থানা) মোট ১২টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হবে।

জায়গাগুলো হচ্ছে: ঘরোয়া মোড়, দুয়ারিপাড়া মোড়, দোরেন মোড়, ট-ব্লক মোড়, পার্ক কলোনি মোড়, মধ্য রাস্তা মোড় (সেকশন-৭, উত্তর সাইড), শহীদ আসিফ চত্বর (ধানসিঁড়ি স্কুল মোড়), মুসলিম বাজার ঈদগাহ মাঠ, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ (ই ব্লক মোড়), লালমাটিয়া স্ট্যান্ড (বাউনিয়াবাদ, মিরপুর-১১ মোড়), আলুবদি পুরাতন স্ট্যান্ড-আমতলা, বায়তুল আমান জামে মসজিদ মোড় (১১/সি, পল্লবী)|

আরও পড়ুন‎‘বিস্মিত’ সিঙ্গাপুর কোচ সমীহ করছেন হামজার বাংলাদেশকে ১৫ ঘণ্টা আগে

‎‎হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম, শমিত সোমদের আগমনে দেশের ফুটবলে বেড়েছে সাধারণ মানুষের আগ্রহ। গত মার্চে ভারতের বিপক্ষে ড্র করার পর সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। ম্যাচটি শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৭টায়। 

‎২০২৭ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবে হবে এএফসি এশিয়ান কাপের ১৯তম আসর। সেখানে ২৪ দল লড়বে শিরোপার জন্য। বাংলাদেশও সেই ২৪ দলের একটি দল হতে চায়। সে জন্য আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

‎যদিও চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার কাজটা সহজ হবে না। বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ‘সি’ গ্রুপের লড়াইটা এমনিতেই জমে উঠেছে। বাংলাদেশসহ বাকি তিন দল হংকং, ভারত ও সিঙ্গাপুরের পয়েন্ট সমান এক করে।

আরও পড়ুনএশিয়ান কাপে খেলতে হলে কী করতে হবে বাংলাদেশকে, কীভাবে কাজ করছে বাছাইপর্ব৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বড় পর দ য় খ ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে পাঙাশের বৃহত্তম আড়ত দ্বীপনগর, পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি অনেক মাছ
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক